শিয়াল হাটুর নীচে কামড়ায় আর বাঘ মানুষের কলিজা খায়! সুতারাং শিয়ালের হাত থেকে উদ্ধার করে আমাদেরকে বাঘের হাতে জিম্মি করবেন না
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ৩০ নভেম্বর, ২০১৬, ০৪:৫৮:০৮ বিকাল
শিয়ালের হাত থেকে উদ্ধার করে আমাদেরকে বাঘের হাতে জিম্মি করবেন না শিয়াল হাটুর নীচে কামড়ায় আর বাঘ মানুষের কলিজা খায়.. ! মরহুম শহীদ অধ্যাপক গোলাম আজম
কবি নজরুল একদিন কথার প্রসঙ্গে বলেছিলেন খোদার বক্ষে লাথি মার' এই কথা বলার পর পুরো কুমিল্লা উত্তাল হয়ে গেল! মাওলানারা তাকে কাফের ঘোষনা দিলেন এবং বললেন যে মানুষ খোদার বুকে লাথি মারতে পারে সেই বেয়াদবের জায়গা এই দেশে হবেনা।
কবিকে বলা হলো এর জবাব দিতে হবে! কবি বললেন, ঠিক আছে আমি জবাব দিবো। আপনারা
একটি সমাবেশের আয়োজন করেন।সমাবেশের
আয়োজন করা হল।হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হল।
কবি আসলেন, সবাই কবিকে বেইজ্জত করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেন।কবি মঞ্চে উঠে শুধু দুইটি কথা বললেনঃ খোদা নিরাকার! তাঁর বুকে কি লাথি মারা সম্ভব? যে খোদার বুক আছে সেই খোদার বুকে লাথি মারতে বলেছি। কবি এ কথার দ্বারা দেব দেবীকে বুঝিয়েছেন!
দুধ বিক্রি করে চা খাওয়া জনগণ আর নুরাণী জর্দা দিয়ে পান খাওয়া মাওলানাদের বুঝ হয়ে গেল। না বুঝে চিল্লাইয়া, এক কাপ চায়ের বিনিময়ে বিক্রি হয় একমাত্র হুজুগে বাঙ্গালীরাই..!
স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধ করেনি। অস্ত্র হাতে নেয়নি। এই কারনেই শুরু হয়ে গেল
রাজাকার উপাধি..! আজ ৪৫ বছরেও কেউ জানতে চায়নি জামায়াতের বক্তব্যটি আসলে কী ছিল কেউ জানতে চায়নি জামায়াত ইসলাম কেন সেদিন অস্ত্র হাতে নেয়নি..?
জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার বিরোধী ছিলোনা।যুদ্ধের কৌশলের বিরোধী ছিল..! মরহুম গোলাম আজম সাহেব সেদিন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলেছিলেন, পূর্ব আর পশ্চিম পাকিস্তান ভৌগলিক সীমারেখার যে পার্থক্য,এইভাবে কোন দেশ চলতে পারেনা। আমরা আজ না হয় কাল স্বাধীন হবোই হব। দয়া করে আপনি গান্ধীর ফাঁদে পা দিবেন না।
শিয়ালের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করে বাঘের হাতে জিম্মি করবেন না।কারণ শিয়াল হাটুর নীচে কামড়ায় আর বাঘ মানুষের কলিজা খায়..!
শেখ মুজিবুর রহমান গোলাম আজম সাহেবকে আস্বস্ত করলেন যে, আপনি কোন চিন্তা করবেন না। শেখ সাহেব ৭ই মার্চ ভাষণের একদিন আগেও
স্বাধীনতার ঘোষণার বিরুদ্ধে ছিলেন।
কিন্তু কিছু বাংলাদেশী গান্ধীর ভাড়াটে দালাল শেখ
সাহেবকে জোর করে স্বাধীনতা ঘোষণা করালো। যদিও শেখ সাহেবের গোটা ভাষনে স্বাধীনতা ঘোষনার পক্ষে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই!
এই অগোছালো সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের কোন আলেম সমাজ মেনে নেয়নি। জামায়াতে ইসলামীও তাদের একটি অংশ। সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে এক কোটি মানুষও এই স্বাধীনতা চায়নি।
আপনি আপনার এলাকায় যাচাই করুন কয়জন মুক্তিযোদ্ধা আছে..? যুদ্ধ বেজে গেল,পাকিস্তানিরা ভারতের উপর ক্ষেপে গিয়ে পাইকারী ভাবে হিন্দুদের হত্যা করা শুরু করে। ভারত সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে অনেক পরে।দেখা গেল উভয় পক্ষে মুসলমান মরতেছে, মজা মারতেছে ভারত।
এরই মধ্যে ভারত আবার পাকিস্তান বাহিনীর প্রধান নিয়াজীকে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিল। নিয়াজী মেনে নিল। যুদ্ধ বিরতি হয়ে গেল ৯৩ হাজার সৈন্যের পরাজয় যা মুসলমানের ইতিহাসের মধ্যে আরেকটি কলংকের ইতিহাস।
এগুলো সবার জানা বিষয়।কিন্তু এই বাস্তব ইতিহাস আজ জাতির কাছে বিলুপ্ত। এই ইতিহাস আজ হাস্যকর। এই অপরাধে আজ জামায়াতের উপর এত নির্যাতন,তারা ফাঁসির মঞ্চে..!
কবি নজরুলের কথার মত বাঙ্গালিরা কিছুদিন পর বুঝতে শুরু করে জামায়াতে ইসলামীর ভাষা। স্বাধীনতার পর যখন ভারতীয় সৈন্যদল বাংলাদেশের সব জিনিষ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে তখন সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল অস্ত্র উচিয়ে বলেছিলেনঃ আমাদের আরো একটি মুক্তিযুদ্ধের দরকার।
স্বাধীনতার পর শুরু হল ভারতের যুদ্ধের বিনিময়।নয় মাস আগে শেখ সাহেবের সাথে কথা বলতে গান্ধীর বুক কাঁপতো। সেই গান্ধী শেখ সাহেবকে ২৫
বছরের গোলামী চুক্তি করালো। এখনো জাতি
জানেনা, এই গোলামী চুক্তিতে আসলে কী লিখা
ছিল?
সেখানে ছিল শেখ সাহেবকে গান্ধী বললোঃ
'ফারাক্কা বাঁধটি একটু খুলে দাও' শুধু পানির কিউসেক পরীক্ষা করার জন্য। ৭ দিন পর আবার বন্ধ করে ফেলবো। কিন্তু আজ ৪৫ বছরে হয়ে গেলো,এখনও সেই ৭দিন শেষ হলো না!
হঠাৎ আমরা হয়ে গেলাম এক হিন্দু রাজার গোলাম। এই গোলামীর বোঝা বহন করে’ এখনও চলেছি। এখন একজন 'বঙ্গবীর'খেতাব প্রাপ্ত কাদের সিদ্দিকী যখন বলেঃ "স্বাধীনতা যুদ্ধ করে ভুল করেছি"।
জামায়াত যেটা ৪৫ বছর পূর্বে বুঝেছিল, সেটা আমরা আজ বুঝতেছি।অনেক মুক্তিযুদ্ধা যখন বলেনঃ যদি এমন জানতাম স্বাধীনতা যুদ্ধ করতাম না। তাহলে এখন প্রমাণিত হলো ৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল! আজ ন্যায্য মুল্যে কিনা স্বাধীনতা বিনামুল্যে ভোগ করছে ভারত!
যে বাঙ্গালীরা চিন্তা নাকরেই কবি নজরুলকে কাফের ডাকলো, সেই বাঙ্গালীরাই না বুঝে জামায়াতে ইসলামীকে রাজাকার ডাকা শুরু করলো এবং তাদের সাথে যোগ দিলো কিছু ফতোয়াবাজরাও।
এমন একদিন আসবে যেদিন বাঙ্গালী জাতি নিজের ভুল বুঝেবে কিন্তু তাদের আর করার কিছুই থাকবেনা। আল্লাহ আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে হেফাজত করার তাওফিক দান করুন। হে আল্লাহ..! আমাদের স্বাধীনতা আমাদের জন্য অত্যান্ত গৌরবের।
বিষয়: বিবিধ
২৩৫৪ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর উদাহরণসহ গুরুত্বপূর্ণ একটি লিখা মাশাআল্লাহ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মুসলমান ভাই হয়েও তারা আমাদেরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো , নিজেদের আপ কান্ট্রির লোক বলতো ।
জামায়াত এরকম পরিস্থিতি থেকে কি বের হতে চেয়েছিল ? এরা তো পাক হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেছিল নিরীহ মুসলমানদেরকে মারতে ।
আমাদের সরকার গুলোর নতজানু নীতির কারণে আমাদের স্বাধীনতাটা কি ফেলনা হয়ে গেল আর বড় হয়ে গেল ৭১ এ জামায়াতের দূরদর্শিতা ?
০ নিরীহ মুসলমান ভাইদেরকে যারা হত্যা করে তারা কতটুকু মুসলমান ?
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন