নিয়মিত সবসময় পাঠ করার মত সহজ দশটি দোয়া (আযকার) যার সাওয়াব অনেক বেশি আসুন তা নিয়মিত সব সময় পাঠ করি

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:৩৮:৫৫ রাত

আসুন এই দোয়া সমুহ সবসময় নিয়মিত পড়ার তথা পাঠ করার অভ্যাস সৃষ্টি করি এবং অন্যকেও তা পড়ার জন্য উৎসাহ দান করি সহজ এই দশটি দোয়া বা আযকার যার সাওয়াব কিন্তু অনেক গুণ বেশি

১। ১০০ বার سُبْحَانَ اللهِ পাঠ করলে ১০০০ সাওয়াব লিখা হয় এবং ১০০০ গুনাহ মাফ করা হয় । (সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৩)

২। الحَمْدُ للهِ মীযানের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং সর্বোত্তম দোআ’। (তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২)

৩। لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ হলো সর্বোত্তম যিকর। (তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২)

৪। سُبْحَانَ اللهِ، وَالحَمْدُ للهِ، وَلاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ، وَاللهُ أكْبَرُ এই কালিমাগুলি আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় এবং নবী (সাঃ) বলেছেনঃ পৃথিবীর সমস্ত জিনিসের চাইতে আমার নিকট অধিক প্রিয়। ( সহীহ মুসলিম -৩/১৬৮৫, ৪/২০৭২)

৫। যে ব্যক্তি سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবেন সমুদ্রের ফেনা পরিমান (সগীরা) গুনাহ থাকলে ও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে।(সহীহ আল-বুখারী-৭/১৬৮,সহীহ মুসলিম-৪/২০৭১) এছাড়াও সবসময় তা পাঠ করা যায় কারন তা আল্লাহর নিকট প্রিয় আহাব্বিল কালাম বা প্রিয় কালিমা।

৬। নবী (সঃ) বলেনঃ سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحَانَ اللهِ العظيمِ এই কালীমাগুলি জিহ্বায় উচ্চারনে সহজ , মীযানের পাল্লায় ভারী দয়াময় আল্লাহর নিকট প্রিয় । (সহিহ আল- বুখারী-৭/১৬৮,সহীহ মুসলিম-৪/২০৭২)

৭। যে ব্যক্তি وَبِحَمْدِهِ العظيم سُبْحَانَ اللهِ (সুবহানাল্লাহিল আজিমি ওয়া বিহামদিহি) করবে প্রতিবারে তার জন্য জান্নাতে একটি করে (জান্নাতী)খেজুর গাছ রোপন করা হবে ।

(আত-তিরমিযী-৫/৫১১,আল-হাকীম-১/৫০১, সহীহ আল-জামে’-৫/৫৩১, সহীহ আত-তিরমিজী-৩/১৬০ )

৮। নবী (সঃ) বলেনঃ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ হচ্ছে জান্নাতের গুপ্তধন সমুহের মধ্যে একটি গুপ্তধন।

(সহীহ আল-বুখারী -১১/২১৩, সহীহ মুসলিম- ৪/২০৭৬)

৯। নবী (সঃ) বলেনঃ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ وَ سُبْحَانَ اللهِ، وَالحَمْدُ للهِ، وَلاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ، وَاللهُ أكْبَرُ এই কালীমাগুলি হচ্ছে অবশিষ্ট নেকআ’মল সমুহ । ( আহমাদ (সহীহ)-৫১৩, মাজমাউজ জাওয়াঈদ-১/২৯৭ )

১০। নবী (সঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তাআ’লা তার প্রতি দশ বার রহমত বর্ষন করবেন। এবংনবীজি (সাঃ) আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি সকালে দশবার এবং বিকেলে দশবার দুরুদ পাঠ করবে সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার শাফায়াত পাবেন। (তাবারানী,মাজমুয়াউজ জাওয়াঈদ-১০/১২০, সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব-১/২৭৩)

আল্লাহ আমাদেরকে এই আমল গুলা নিয়মিত করার তাওফিক দান করুন।

বিষয়: বিবিধ

২০৯২ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

380261
২৯ নভেম্বর ২০১৬ সকাল ০৬:৫১
স্বপন২ লিখেছেন : ভালো লাগলো / অনেক ধন্যবাদ
২৯ নভেম্বর ২০১৬ দুপুর ০৩:৩২
314723
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভালো লাগার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকুন
380270
২৯ নভেম্বর ২০১৬ দুপুর ০৩:৩৩
রাশেদ বিন জাফর লিখেছেন : ধন্যবাদ
২৯ নভেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩৩
314725
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ
380281
৩০ নভেম্বর ২০১৬ সকাল ০৬:০৯
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : ভালো লাগলো | অনেক ধন্যবাদ |
৩০ নভেম্বর ২০১৬ বিকাল ০৪:২১
314749
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভালো লাগার জন্য আপনাকে ও অনেক অনেক ধন্যবাদGood Luck Good Luck
380319
৩০ নভেম্বর ২০১৬ রাত ১০:০৯
হতভাগা লিখেছেন : কোন্‌ দোয়া পড়লে নাকি ৮০ লাখ নেকি পাওয়া যায় ?
০১ ডিসেম্বর ২০১৬ রাত ০৪:০১
314763
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ৮০ লাখের নিদ্দিষ্ট কোন নেকির দোয়া আছে কিনা আমার নজরে পড়েনি। তবে আমাদের কিছু অতি উৎসাহি ফযায়েলী লোক আছে তাদের কাছে লাকের নিছে নেকি নেই শুধূ লাখ লাখ নেকি এগুলুর কোন দলিল নেই আপনাকে ধন্যবাদ
380817
২১ ডিসেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০৩
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ক্বাল্ব/অন্তর সুস্থ করার কয়েকটি উপায়। আল্লাহ বলেন ___________
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻗَﺪْ ﺟَﺎﺀَﺗْﻜُﻢْ ﻣَﻮْﻋِﻈَﺔٌ ﻣِﻦْ ﺭَﺑِّﻜُﻢْ ﻭَﺷِﻔَﺎﺀٌ ﻟِﻤَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼُّﺪُﻭﺭِ ﻭَﻫُﺪًﻯ ﻭَﺭَﺣْﻤَﺔٌ ﻟِﻠْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ
হে মানবজাতি, তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে উপদেশ এসেছে এবং তাতে আছে অন্তরের রোগের নিরাময় আর মুমিনদের জন্য হেদায়াত ও রহমত। ইউনুস, ১০/৫৭
১। অজ্ঞতা দুর করাঃ অজ্ঞতার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অজ্ঞ নিজেও জানে না, সে যে অজ্ঞ। সে যে অজ্ঞ সেটা জানার ও বুঝার জন্য তার অজ্ঞতা দুর করা প্রয়োজন।
ﻛَﺬَٰﻟِﻚَ ﻳَﻄْﺒَﻊُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻰٰ ﻗُﻠُﻮﺏِ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
যাদের জ্ঞান নেই, এমনিভাবে আল্লাহ তাদের হৃদয়ে মোহর মেরে দেন। আর-রূম, ৩০/৫৯
ﺃَﻻ ﺇِﻧَّﻬُﻢْ ﻫُﻢُ ﺍﻟﺴُّﻔَﻬَﺎﺀُ ﻭَﻟَﻜِﻦْ ﻻ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
জেনে রাখ, নিশ্চয় তারা নির্বোধ; কিন্তু তারা তা জানে না। আল-বাকারাহ, ২/১৩
ﻗُﻞْ ﻫَﻞْ ﻳَﺴْﺘَﻮِﻱ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻻ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳَﺘَﺬَﻛَّﺮُ ﺃُﻭﻟُﻮ ﺍﻷﻟْﺒَﺎﺏِ
তুমি বল, ‘যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান?’ বিবেকবান লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করবে। আয-যুমার, ৩৯/৯
২। আল্লাহর প্রতি ঈমান ঈমান আনাঃ
ﻣَﺎ ﺃَﺻَﺎﺏَ ﻣِﻦْ ﻣُﺼِﻴﺒَﺔٍ ﺇِﻟَّﺎ ﺑِﺈِﺫْﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﻭَﻣَﻦْ ﻳُﺆْﻣِﻦْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻳَﻬْﺪِ ﻗَﻠْﺒَﻪُ ۚ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻜُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻋَﻠِﻴﻢٌ
আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন বিপদ আসে না। যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে, আল্লাহ তার অন্তরকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন এবং আল্লাহ সকল বিষয়ে মহাজ্ঞানী। আত-তাগাবুন ৬৪/১১
ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﻧْﺰَﻝَ ﺍﻟﺴَّﻜِﻴﻨَﺔَ ﻓِﻲ ﻗُﻠُﻮﺏِ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻟِﻴَﺰْﺩَﺍﺩُﻭﺍ ﺇِﻳﻤَﺎﻧًﺎ ﻣَﻊَ ﺇِﻳﻤَﺎﻧِﻬِﻢْ
তিনি মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি নাযিল করেন যেন তাদের ঈমানের সাথে ঈমান আরও বৃদ্ধি পায়। আল-ফাত্হ, ৪৮/৪
৩। আল্লাহকে অধিক স্মরণ করাঃ
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻭَﺗَﻄْﻤَﺌِﻦُّ ﻗُﻠُﻮﺑُﻬُﻢْ ﺑِﺬِﻛْﺮِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۗ ﺃَﻟَﺎ ﺑِﺬِﻛْﺮِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗَﻄْﻤَﺌِﻦُّ ﺍﻟْﻘُﻠُﻮﺏُ
যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে; জেনে রাখ; আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তর প্রশান্ত হয়। আর-রাদ, ১৩/২৮
৪। অন্তর কুফরীমুক্ত করাঃ
ﻣَﻦْ ﻛَﻔَﺮَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِ ﺇِﻳﻤَﺎﻧِﻪِ ﺇِﻻ ﻣَﻦْ ﺃُﻛْﺮِﻩَ ﻭَﻗَﻠْﺒُﻪُ ﻣُﻄْﻤَﺌِﻦٌّ ﺑِﺎﻹﻳﻤَﺎﻥِ ﻭَﻟَﻜِﻦْ ﻣَﻦْ ﺷَﺮَﺡَ ﺑِﺎﻟْﻜُﻔْﺮِ ﺻَﺪْﺭًﺍ ﻓَﻌَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻏَﻀَﺐٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﻋَﻈِﻴﻢٌ
যে ব্যক্তি ঈমান আনার পরে আল্লাহর প্রতি কুফরী করেছে আর যারা তার অন্তর কুফরীর জন্য উন্মুক্ত করেছে তবে তাদের উপর আল্লাহর ক্রোধ, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি কিন্তু তার জন্য নয় যাকে বাধ্য করা হয়েছে আর তার অন্তর ঈমানের উপর অবিচল থাকে। আন্-নাহল, ১৬/১০৬
৫। অন্তরের মুনাফিকী ত্যাগ করাঃ
ﻫُﻢْ ﻟِﻠْﻜُﻔْﺮِ ﻳَﻮْﻣَﺌِﺬٍ ﺃَﻗْﺮَﺏُ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻟِﻠْﺈِﻳﻤَﺎﻥِ ۚ ﻳَﻘُﻮﻟُﻮﻥَ ﺑِﺄَﻓْﻮَﺍﻫِﻬِﻢْ ﻣَﺎ ﻟَﻴْﺲَ ﻓِﻲ ﻗُﻠُﻮﺑِﻬِﻢْ ۗ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﻤَﺎ ﻳَﻜْﺘُﻤُﻮﻥَ
সেদিন তারা কুফরীর বেশি কাছাকাছি ছিল তাদের ঈমানের তুলনায়। তারা তাদের মুখে বলে, যা তাদের অন্তরসমূহে নেই। আর তারা যা গোপন করে সে সম্পর্কে আল্লাহ অধিক অবগত। আলে-ইমরান, ৩/১৬৭
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝُ ﻟَﺎ ﻳَﺤْﺰُﻧْﻚَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﺴَﺎﺭِﻋُﻮﻥَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻜُﻔْﺮِ ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺁﻣَﻨَّﺎ ﺑِﺄَﻓْﻮَﺍﻫِﻬِﻢْ ﻭَﻟَﻢْ ﺗُﺆْﻣِﻦْ ﻗُﻠُﻮﺑُﻬُﻢْ
হে রাসূল! যারা দৌড়ে দৌড়ে কুফরীতে পতিত হয় তাদের এই কাজ যেন তোমাকে চিন্তিত না করে, তারা তাদের মুখে বলে ‘ঈমান এনেছি’ কিন্তু তাদের অন্তর ঈমান আনেনি। আল-মায়েদা, ৫/৪১

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File