নাসিরনগরের ঘটনা পরিকল্পিতভাবে সরকারি দলের লোকেরাই ঘটিয়েছে
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৭ নভেম্বর, ২০১৬, ০১:২৩:১৩ রাত
সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হকের উপস্থিতিতে এবং মন্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতাদের উস্কানিতে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ি-ঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাই দায়ী।
তাই এ দায় স্বীকার করে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হককে অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিৎ এ ঘটনার দায়-দায়িত্ব স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হক কিছুতেই এড়াতে পারেন না।
ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ি-ঘরে ১ম দফা হামলা এবং ভাংচুরের পরে গত ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর বেষ্টনীর মধ্যে যখন দ্বিতীয় দফায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ি-ঘরে হামলা করা হয় তখন মন্ত্রী ছায়েদুল হক নাসিরনগরে অবস্থান করছিলেন।
এতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর এবং স্থানীয় প্রশাসনের চরম ব্যর্থতাই প্রমাণিত হয়েছে। মন্ত্রী ও প্রশাসনের এ প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকায় জনগণ বিক্ষুব্ধ। উপরন্তু তিনি হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে উস্কানিমূলক ও আপত্তিকর মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়ে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিয়েছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর রহস্যজনক ভূমিকা এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় তিনজন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনার দ্বারা অকাট্যভাবে প্রামাণিত হয়েছে যে, ব্রাহ্মণবাড়ীর নাসিরনগরের এ ঘটনা পরিকল্পিতভাবে সরকারি দলের লোকেরাই ঘটিয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকগণ মনে করেন যে, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরের ঘটনার পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ি-ঘরে হামলা এবং ভাংচুরের ঘটনার পেছনে সরকারের কোন রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি আছে।
এ সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন থেকে সাম্প্রায়িক সন্ত্রাসী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখলকারী ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় এসেছে এখনই দেশবাসীর উচিৎ সচেতনেতার সাথে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
এ ঘটনার দায় স্বীকার করে অবিলম্বে মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিৎ অবৈধ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হকের । সেই সাথে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরসহ বিভিন্ন জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ি-ঘরে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ঐ সব ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ব্লগারদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানাচ্ছি।
বিষয়: বিবিধ
৯৪৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলাদেশে একটা রায়ট লাগানোর জন্য মুখিয়ে আছে হিন্দু ও হিন্দুদের পক্ষে কাজ করা কিছু দল । কারণ মোদি আসার পর বাংলাদেশে এখন হিন্দুদের সংখ্যা হয়ে গেছে প্রায় ১০০ কোটির মত।
মন্তব্য করতে লগইন করুন