যদি কৃতজ্ঞ থাকো তাহলে আমি তোমাদের আরো বেশী দেবো আর যদি নিয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞ হও তাহলে আমার শাস্তি বড়ই কঠিন
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৫ নভেম্বর, ২০১৬, ০২:২২:৫২ দুপুর
বান্দাহর প্রতি আল্লাহ তায়ালার রয়েছে অফুরন্ত নেয়ামত। আর নে‘য়ামত সমূহের শুকরিয়া আদায়ের জন্য আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিচ্ছেন, “স্মরণ করো তোমাদের রব এই বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, যদি কৃতজ্ঞ থাকো তাহলে আমি তোমাদের আরো বেশী দেবো আর যদি নিয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞ হও তাহলে আমার শাস্তি বড়ই কঠিন৷ (সুরা ইব্রাহীম ৭)
বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।নে‘য়ামত সমূহের যথাযথ শুকরিয়া আদায়ের ওপর নির্ভর করবে বান্দার দুনিয়া ও আখেরাতের জীবনের ফয়সালা। কাজেই শুকরিয়া আদায়ের পদ্ধতি কি, তা আমাদের অবশ্যই জানতে হবে এবং সেভাবেই তা পালনও করতে হবে।
শুকরিয়া আদায়ের পদ্ধতি হচ্ছে ‘হৃদয়ের সমগ্র অনুভুতি দিয়ে তার অনুগ্রহের স্বীকৃতি দেয়া, মুখে এই অনুভূতির স্বীকারোক্তি করা এবং নিজের কার্যকলাপের মাধ্যমে অনুগৃহীত হবার প্রমাণ পেশ করাই হচ্ছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সঠিক উপায়৷
এই তিনটি কাজের সমবেত রূপই হচ্ছে 'শোকর'৷ এই শোকরের দাবী হচ্ছে প্রথমত অনুগ্রহকে অনুগ্রহকারীর অবদান বলে স্বীকার করতে হবে৷ অনুগ্রহের শোকরগুজারী করার এবং নেয়ামতের স্বীকৃতি দেবার ক্ষেত্রে অনুগ্রহকারীর সাথে আর কাউকে শরীক করা যাবে না৷
দ্বিতীয়, অনুগ্রহকারীর প্রতি প্রেম, প্রীতি, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্যের অনুভূতিতে নিজের হৃদয় ভরপুর থাকবে এবং অনুগ্রহকারীর বিরোধীদের প্রতি এ প্রসংগে বিন্দুমাত্র প্রীতি, আন্তরিকতা, আনুগত্য ও বিশ্বস্ততার সম্পর্ক থাকবে না৷
তৃতীয়ত, কার্যত অনুগ্রহকারীর আনুগত্য করতে হবে, তার হুকুম মেনে চলতে হবে এবং তিনি যে নেয়ামতগুলো দান করেছেন সেগুলো তার মর্জীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে না৷
উল্লেখিত শুকরিয়া আদায় করতে পারলে আল্লাহর রেজামন্দি হাসিল করা সম্ভব হবে এবং পরকালে জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্ত হয়ে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত জান্নাতে যাওয়া সম্ভব হবে।
আল্লাহর বাণী, আল্লাহর কি প্রয়োজন তোমাদের অযথা শাস্তি দেবার, যদি তোমরা কৃতজ্ঞ বান্দা হয়ে থাকো৷ এবং ঈমানের নীতির ওপর চলো ? আল্লাহ বড়ই পুরস্কার দানকারী ও সর্বজ্ঞ৷(সূরা নেসা,১৪৭)
রাসূল (সাঃ) রাতে নামাজ পড়তে পড়তে তাঁর পা মোবারক ফুলে যেতো। আয়শা (রাঃ) তা দেখে একবার জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) আপনার একি অবস্থা? আল্লাহ তায়ালাতো আপনাকে নিষ্পাপ বলে ঘোষনা করেছেন। রাসূল (সাঃ) বল্লেন, হে আয়শা ! আমি কি আল্লাহর শোকর গুজারী বান্দা হবো না?
আল্লাহ হু আকবার, আজকে আমাদের অবস্থান কোথায়? হে আল্লাহ ! তুমি আমাদেরকে শোকর-গুজারী বান্দাহ হওয়ার তাওফিক দাও। অামিন সুম্মা আমিন ইয়া রাব্বুল আলামিন।
বিষয়: বিবিধ
১৯০৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগলো / ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন