হে মুসলিম.! মজলুমের বদদোয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করো, কেননা মজলুম আর আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই.! অথচ মুসলিমরা নিজেরাই নিজেদের ওপর জুলুম করেই চলেছে।
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৮ আগস্ট, ২০১৬, ০৫:৫৬:৩১ বিকাল
ইসলামে জুলুম মস্ত বড় অন্যায় বলে বিবেচিত। ইসলাম সব সময় মাজলুমের পক্ষেই থাকবে, এবং যালেমের বিরুদ্ধেই ইসলামের অবস্থান।
ইসলাম বলেছে, একজন মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই, সে তার ওপর জুলুম করতে পারে না এবং জালিমের হাতে সোপর্দও করতে পারে না। (বুখারি)।
বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে জুলুম-নির্যাতন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুসলমানদেরই রুখে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, মুসলমানরা নিজেরাই নিজেদের ওপর জুলুম করছে।
ব্যবসা-বাণিজ্য, কল-কারখানা, মালিক-শ্রমিক. অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিচার-স্বাক্ষী ইত্যাদিসহ সর্বত্রই চলছে জুলুমের মহড়া। প্রায় প্রতিটি মুসলিম দেশে এ চিত্রই দেখা যাচ্ছে।
জালেমরা এখন ইসলামের বিরুদ্ধেও তাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করেছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ, অথচ এদেশেই এখন ইসলামের কথা বলা যায় না।
দেশের ইসলামপ্রিয় ব্যক্তিদের ওপর চলছে নির্যাতনের স্টিমরোলার। মিথ্যা অজুহাতে আলেম-ওলামার ওপর যেমন শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে, তেমনি মিডিয়ায় অপপ্রচারের মাধ্যমে তাদের মানহানি করা হচ্ছে।
এ অবস্থায় যারা নিজেদের মুসলিম বলে দাবি করে, তাদের ঈমানি দায়িত্ব হলো এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। সূরা নেসার 75 আয়াতে আল্লাহ তায়ালা জালেমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর হুকুম দিয়েছেন:
আল্লাহ তায়ালা বলেন তোমাদের কী হলো, তোমরা আল্লাহর পথে অসহায় নরনারী ও শিশুদের জন্য লড়বে না, যারা দুর্বলতার কারণে নির্যাতীত হচ্ছে ? তারা ফরিয়াদ করছে, হে আমাদের রব ! এই জনপদ থেকে আমাদের বের করে নিয়ে যাও, যার অধিবাসীরা জালেম এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের কোন বন্ধু , অভিভাবক ও সাহায্যকারী তৈরী করে দাও৷”
মাজলুমের সাহায়্যে জালিমকে প্রতিরোধ করতে আল্লাহ তায়ালা উৎসাহ দিচ্ছেন যে, জুলুম প্রতিরোধে কোন ভুল করলেও তাদের কোন দোষারোপ করা হবে না, তবে অত্যাচারিত হবার পর যারা প্রতিশোধ নেয়, তাদের বিরুদ্ধে দোষারোপের কোন সুযোগ নেই। শূরা 41
যালেমদের উচিত হবে এখনই এ অপকর্ম থেকে বিরত থাকা। অন্যথায় তারা আল্লাহর পাকড়াও থেকে বাঁচতে পারবে না। আল্লাহর হক আদায় না করলে আল্লাহ ক্ষমা করলেও বান্দার হক বিনষ্টকারীকে আল্লাহ কখনও ক্ষমা করবেন না যতক্ষণ না যার ওপর জুলুম করা হয়েছে, সে ক্ষমা করে দেয়।
আজকে যালেমদের পক্ষে চামচাদের অভাব না থাকলেও কাল তাদের কোন চামচা থাকবেনা। সূরা শূরার 46 আয়াতে বলা হয়েছে, ‘সাবধান! জালেমরা চিরস্থায়ী আযাব ভোগ করতে থাকবে এবং তাদের কোন সহযোগী ও অভিভাবক থাকবে না, যারা আল্লাহর মোকাবিলায় তাদের সাহায্য করবে।
জালিমরা যখন আজাব দেখবে তখন তুমি দেখবে তারা বলছে, (দুনিয়াতে) ফিরে যাওয়ার কোনো পথ রয়েছে কি?’ শূরা 44। ওদের পক্ষে তোষামদ কারীদেরকেও আল্লাহ কোনই ছাড় দিবেন্না।
এ জালেমদের পক্ষে মোটেই সমর্থন দিবে না, অন্যথায় জাহান্নামের গ্রাসে পরিণত হবে এবং তোমরা এমন কোন পৃষ্ঠপোষক পাবে না যে আল্লাহর হাত থেকে তোমাদের রক্ষা করতে পারে আর কোথাও থেকে তোমাদের কাছে কোন সাহায্য পৌঁছুবে না৷ হুদ 113
হে আল্লাহ ! মাজলুমের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য ঈমানী দায়িত্ব পালনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাওফিক দাও। হে মুসলিম.! মজলুমের বদদোয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করো, কেননা মজলুম আর আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই.!
বিষয়: বিবিধ
১৯২১ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ |
আজ ৪৫ বছর পর এসে তারা সেটার প্রায়শ্চিত্ত করছে ।
নবী রাসূলদেরকে নিজামীদের কাতারে নিয়ে আসাটাও আপনাদের এক প্রকার ধান্ধাবাজি । নবী রাসূলেরা নিরীহ মানুষদের হত্যা করেন নি বা করতে সাহায্য করেন নি বা নির্দেশ দিয়ে যান নি ।
০ পেরেশানি ভোগ তো করবেন আপনারা ! করছেন না ? বাংলাদেশের মানুষদের তো এখন ৭১ এর খলনায়কদের পরিনতির মজা লুটার কথা - হচ্ছে না সেটা গত ৫/৬ বছর ধরে ? আরও চাই ?
না হলে অপেক্ষা খুব একটা করতে হবে না , হাসুবুর থেরাপী চালু আছে ।
০ সেটা ঠিকই । তো আপনাদের লিজেন্ডারী নেতারা কাদের পক্ষে একটিভ ছিল ? তারা এখন কোথায় ? বাংলাদেশে ?
ভারত শুরু থেকেই কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টরায়রত ছিল । পরে সশস্ত্রভাবে নেমেছিল । হয়ত এখানে তাদের স্বার্থও ছিল যেমনটা স্বার্থ ছিল জামায়াতেরও ।
যুদ্ধ পরবর্তীকালীন ভারতের আচরণ বাংলাদেশের মানুষেরা মিলাতে পারে না । বাংলাদেশের মানুষ যেমন পাকিস্তানীদের ঠেকিয়েছে তেমনি ভারতকেও ঠেকাবে ।
টু শব্দ না , সজোরেই ঠেকাবে । আর জামায়াতীরা ... আগে তো পাকিস্তানপন্থী থেকে বাংলাদেশী হিসেবে বের হয়ে আসুন ।
বাংলাদেশের সাথে অন্যায় আচরণ করার মজা পাকিস্তান ভোগ করছে ঐ সময় থেকেই । ৭১ এর বন্ধু আমেরিকা নিয়মিত ড্রোন থেরাপী দেয় সেখানে । একটা দেশ কতটা উন্নতির শিখরে পৌছে গেছে সেটা এই নিয়মিত ড্রোন খাওয়া থেকেই বোঝা যায় । পাশে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ভালই আরাম দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন