পৃথিবীর বুকে সর্বপ্রথম ঘর হলো ক্বাবা শরিফ যা মানুষের ইবাদতের জন্যে নির্ধারিত হয়েছে যা মক্কায় অবস্থিত এবং সারা দুনিয়ার মানুষের জন্যই হেদায়েতের কেন্দ্রস্থল।
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৩ আগস্ট, ২০১৬, ০৬:২৬:০৬ সন্ধ্যা
বাইতুল্লাহ নির্মাণকালীন সময়ে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামের ছয়টি দোয়া কুরআনে এসেছে। এর মধ্যে বাইতুল্লার নির্মাণ কাজ যেন আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেন সে ব্যাপারেও আবেদন ছিল। শুরু থেকে যারা বাইতুল্লাহ নির্মাণে অবদান রেখেছেন তাদের সংক্ষিপ্ত তথ্য তুলে ধরা হলো-
হজরত আদম আলাইহিস সালাম পৃথিবীতে আগমন করার পূর্বেই ফেরেশতাদের দ্বারা আল্লাহ তাআলা কাবা ঘরের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। হজরত আদম আলাইহিস সালাম এবং তাঁর সন্তানদের জন্য এ ঘরকেই সর্ব প্রথম কিবলা সাব্যস্ত করা হয়েছে।
কুরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা বাইতুল্লাকে প্রথম ঘর হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন- নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্যে নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত এবং সারা জাহানের মানুষের জন্য হেদায়েত ও বরকতময়। (সুরা ইমরান : আয়াত ৯৬)
হজরত নুহ আলাইহিস সালামের আমলে মহাপ্লাবনের সময় আল্লাহ তাআলা এ ঘরকে চতুর্থ আসমানে তুলে নেন এবং হাজরে আসওয়াদ পাথরটিকে হজরত জিব্রিল আলাইহিস সালাম আবু কুবাইস পাহাড়ে রাখেন।
হজরত নুহ আলাইহিস সালামের মহাপ্লাবনের সময় হতে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের সময় পর্যন্ত এ স্থানটি খালি ছিল। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে কাবা নির্মাণের হুকুম দিলেন। তিনি বাইতুল্লাহ নির্মাণে স্থান দেখিয়ে দেয়ার আবেদন করেন। তখন আল্লাহ তাআলা বাইতুল্লাহ নির্মাণের স্থান দেখিয়ে দেন এবং হাজরে আসওয়াদের সংবাদও জানিয়ে দেন।
বর্ণনায় এসেছে, একটি মেঘখণ্ড বাইতুল্লাহ শরিফের স্থানে ছায়া ফেলে, যা দেখে দেখে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম সে ছায়ার পরিমাপ মোতাবেক বর্তমান পবিত্র বাইতুল্লাহ নির্মাণ করেন।
বাইতুল্লাহ নির্মাণ-
বাইতুল্লাহর বর্তমান অবস্থা পর্যন্ত তা ১০ বার নির্মিত হয়েছে। যার ধারা বর্ণনা তুলে ধরা হলো-
১. ফেরেশতারা সর্বপ্রথম বাইতুল্লাহ নির্মাণ করেন।
২. হজরত আদম আলাইহিস সালামের নির্মাণ।
৩. হজরত শীষ আলাইহিস সালামের নির্মাণ।
৪. হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের নির্মাণ।
৫. আমালেকা সম্প্রদায় কর্তৃক বাইতুল্লাহ নির্মাণ।
৬. জুরহাম গোত্রের নির্মাণ।
৭. কুশাই গোত্রের নির্মাণ।
৮. কুরাইশ গোত্রের নির্মাণ। যে নির্মাণে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শরিক ছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৫ বছর।
৯. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইরের নির্মাণ।
১০. হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের নির্মাণ। বর্তমানও বাইতুল্লাহ হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের নির্মাণের অবস্থাতেই আছে।
এই বাইতুল্লাহ শরিফ আল্লাহ তাআলা কর্তৃক মুসলিম উম্মাহর জন্য কিবলা ও হজ-ওমরাসহ ইবাদাতের নির্ধারতি স্থান। যেখানে সামর্থবান মুসলিম উম্মাহর জন্য হজ আদায়ে যাওয়া আবশ্যক কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে বাইতুল্লা যিয়ারাতের তাওফিক দান করুন। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১৮৫৪ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অজানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা হল আলহামদুলিল্লাহ্।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন