পরিচয় এখনো জানা যায়নি৷ প্রশ্ন হচ্ছে, যাদের নাম, ঠিকানা, পরিচয় এখনো পুলিশ জানে না, তাদের জঙ্গি পরিচয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা, গুলশান হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে কীভাবে নিশ্চিত হলো পুলিশ? নিহতরা আসলে কারা?
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২৭ জুলাই, ২০১৬, ০৬:১৭:৪৪ সন্ধ্যা
আল্লাহ ভালো জানেন কোন মায়ের নিরিহ সন্তানদেরকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা হয়েছে কিনা..?
সন্দেহ শুধু আমাদের না, জার্মানির প্রধান বেতার সার্ভিস ডয়েচে ভেলে-র ব্লগে প্রচারিত প্রতিবেদনেও এ প্রশ্নগুলো এসেছে কল্যানপুর অভিযান যে প্রশ্ন গুলোর উত্তর আমরা এখনো জানিনা।
রাজধানী ঢাকার কল্যাণপুরে পুলিশের অভিযানে যে নয় কথিত ‘জঙ্গি' নিহতের খবর জানিয়েছে পুলিশ৷ রাতভর পাল্টাপাল্টি ‘গুলি ছোড়াছুড়ির পর' পুলিশের অভিযানের প্রশংসার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশ্নও দেখা দিয়েছে৷
পুলিশের অভিযানে নয় ব্যক্তি নিহতের খবর ইতোমধ্যে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছে৷ পুলিশ নিহতদের ‘জঙ্গি' হিসেবে পরিচয় দিলেও, অভিযানের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে৷ যেসব প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি সেগুলোর কয়েকটি তুলে ধরা হলো এখানে
নিহতরা আসলে কারা? পুলিশের তরফ থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নিহতরা সবাই ‘জঙ্গি' ছিল, যাদের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে এবং যাদের অধিকাংশই ছিল উচ্চশিক্ষিত৷ এমনকি গুলশান হামলায় অংশ নেয়ারাও এই একই গ্রুপের সদস্য৷
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানানোর পাশাপাশি এটাও জানিয়েছেন, নিহতদের নাম, ঠিকানা, পরিচয় এখনো জানা যায়নি৷ প্রশ্ন হচ্ছে, যাদের নাম, ঠিকানা, পরিচয় এখনো পুলিশ জানে না,
তাহলে তাদের জঙ্গি পরিচয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা, গুলশান হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে কীভাবে নিশ্চিত হলো পুলিশ? নিহতরা আসলে কারা?
চার পিস্তল দিয়ে রাতভর মুহুর্মুহু গুলি ছোড়া কিভাবে সম্ভব? পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কথিত জঙ্গিরা পুলিশের দিকে কমপক্ষে ১১টি গ্রেনেড ছুড়ে মেরেছে, আর রাতভর মুহুর্মুহু গুলি ছুড়েছে৷
অভিযানের পর চারটি পিস্তল, ২২ রাউন্ড গুলি, ২৩টি গ্রেনেড, কিছু চাকু ও তলোয়াড় এবং পাঁচ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ উদ্ধারের এই তালিকা থেকে পরিষ্কার যে, জঙ্গিদের কাছে গুলি ছোড়ার মতো পিস্তল ছিল চারটি৷
প্রশ্ন হচ্ছে, এই চার পিস্তল দিয়ে হাজার খানেক পুলিশের সঙ্গে কতক্ষণ লড়াই সম্ভব? আর সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে পুলিশের দিকে এত গ্রেনেড, গুলি ছোড়া হলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি হওয়ার কথা৷ পুলিশের সেটা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে তা আরো বিস্তারিত প্রকাশ হওয়া উচিত৷
কালো পাঞ্জাবি আর জিন্স কি কথিত জঙ্গিদের রাতের পোশাক? গুলশান হামলার সময় জঙ্গিরা রেস্তোরাঁয় গিয়েছিল সাধারণ পোশাকে৷ সিরিয়া, ইরাক এবং সংশ্লিষ্ট দেশ দু'টির আশেপাশে ছাড়া অন্য কোথাও ‘ইসলামিক স্টেট'-এর জঙ্গিরা কালো পাঞ্জাবি পরে হামলায় অংশ নিয়েছে এমন তথ্যপ্রমাণ তেমন একটা নেই৷
বরং স্থানীয় জনতার সঙ্গে মিশে যাওয়া যায় এমন পোশাকে তাদের হামলায় অংশ নিতে দেখা যায়৷ কল্যাণপুরে নিহতদের তাই রাতেরবেলা কালো পোশাক পড়ে থাকাটা সন্দেহের উদ্রেক করছে কারো কারো মনে৷ প্রশ্ন জেগেছে, এটা কি তাদের ঘুমানোর পোশাক?
জেএমবি' নাকি ‘ইসলামিক স্টেট? পুলিশের বক্তব্য হচ্ছে, নিহত জঙ্গিরা জেএমবির সদস্য ছিল৷ তবে পুলিশের উদ্ধারকৃত আলামতে যে পতাকা, কালো পোশাক ও পাগড়ি দেখা যাচ্ছে, সেগুলোর মতো পোশাক ও পাগড়ি পরা গুলশানের হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করেছিল ‘ইসলামিক স্টেট'-এর সংবাদসংস্থা ‘আমাক'৷ প্রশ্ন হচ্ছে, এই কথিত জঙ্গিরা কি ইসলামিক স্টেটের জন্য কাজ করতো?
আল্লাহু আকবর' ধ্বনি কয়জন দিয়েছিল? ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মধ্যরাতে আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে ঘটনাস্থল প্রকম্পিত করে তোলা হয়েছিল৷ শব্দের ব্যাপকতায় কমপক্ষে বিশ থেকে ২৫ জন একসঙ্গে এরকম শব্দ করেছে বলে মনে করছেন তারা৷ সেটা যদি হয়, নিহতের সংখ্যা শুধু নয়জন কেন? তাদের সহযোগী আরো কেউ কি ছিল যাদের ধরা যায়নি?
কল্যাণপুরে পুলিশের অভিযানে যদি সত্যিই নয়জন জঙ্গি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অংশ নেয়ার পর গুলিতে নিহত হয়ে থাকে, তাহলে এটা পরিষ্কার যে বাংলাদেশে উগ্রপন্থিরা তাদের শক্তি সাম্প্রতিক সময়ে যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে৷ আর এ রকম পরিস্থিতি একেবারে নিঁখুতভাবে মোকাবিলার কৃতিত্ব অবশ্যই পুলিশ পেতে পারে, যদি উপরের প্রশ্ন গুলোর উত্তর মেলে৷
হে আল্লাহ..! এই জাতি আর কত নাটক দেখার বাঁকি আছে তা আপনিই ভালো জানেন এই জাতির নিরিহ জনগন কিছুই জানেনা।
বিষয়: বিবিধ
২০৬৩ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দ্যা আলটিমেইট প্রতারক ও দ্যা আলটিমেইট মিথ্যুক এর রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহৃত গুটি সমূহের একটি হল তথাকথিত বায়বীয়, ফিক্টিশাস, সিরিয়াল (ধারাবাহিক) 'আইসিস' - যাকে লিটারালী ৩ বছরে বানিজ্যিকভাবে মিডিয়া (মূলতঃ সোশ্যাল মিডিয়া), সরকারের ভিতরস্থ সরকার (এক্সাম্পল টার্কি), ট্রেনিং এর নামে রূপান্তরিত পুলিশ ও স্পেশাল ইউনিটের বিভিন্ন টায়ারে স্থাপিত স্পেশাল এজেন্ট (ইনক্লুডিং ডলারখাদক তথাকথিত নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও টেররিস্ট এ্যাক্সপার্ট) এর পরিকল্পিত, ফ্ল্যাক্সিবল ব্যবহার নিশ্চিত করে বিশ্বময় ব্রান্ডিং করা হয়েছে।
যা যে কোন সাইজ, আকার আকৃতি তে মোল্ড করা যায়, বড় কিংবা ছোট আকারে ব্যাবহার করা যায়। স্বভাবতঃই বিশ্বের মানুষ তাই সমকামী হতে শুরু করে দম্পতি কে জেহাদী? হিসাবে পাই। অনুরূপ ভাবে চোর বদমাশ বাটপার হতে শুরু করে ছাত্র, যুবা, প্রেমিক কে ও আমরা জেহাদী হিসাবে পাই। কিন্তু আজ পয্যন্ত একজন ইসলামিস্টকে জেহাদী হিসাবে পাওয়া গেল না। সো কল্ড এই জেহাদের ডাক শুনলে বায়তুল মোকাররমের খতিব হতে শুরু করে মক্কা মদীনার খতিব ও আতঁকে উঠে। কিন্তু সিএনএন আলজাজিরা আর স্যেকুলার সরকার ও তার আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যেন পন করেছে এটা প্রমান করে ছাড়বেই - গে হলেও মতিন মিয়া আসলেই জেহাদী।
সো আপনি যত লেজিটেমেইট প্রশ্নই তুলেন না কেন - তার উত্তর এ দুনিয়ায় পাবেন না। মানুষ বরং বলতে বাধ্য হবে হুম এরা কিংবা তারা জংগী, সন্ত্রাসী, আতংকবাদী। এর পেছনে কিংবা তার পেছনে মাথামোটা এই ছেলেগুলো ছিল এবং মরেছে ভালই হয়েছে। কিন্তু কখনো বুঝবে না - এ এক মহাপরিকল্পনার অংশ যার মাধ্যমে
- বাংলাদেশকে চুড়ান্ত রকমের বিশৃংখলায় নিমজ্জিত করা হবে - সো দ্যাট আওয়ামী ধর্ম নিরপেক্ষ বনাম ইসলাম ধর্মের ফাইট নিশ্চিত হয়। উপরি হিসাবে ন্যাটো মূলতঃ আমেরিকার কিছু ড্রোনের বোমা এ দেশের মানুষ উপহার হিসাবে পেতে পারে। সর্বোপরি ভারত মাতা সরকার রক্ষার নামে, আতন্কবাদী নির্মূলের নামে এ দেশের মা বোন এর শ্লিলতাহানী করতে পারে এবং অকাতরে খুন ঝরাতে পারে। সর্বোপরী শয়তানের এই প্ল্যান এর সাথে সাথে রাসুলুল্লাহ সঃ এর গাজওয়ায়ে হিন্দ এর পটভূমি, চিত্রায়ন তথা এক্সিকিউশান ও রেজাল্ট মুসলমানের দৃষ্টিগোচর হয়।
আল্লাহ ভাল জানেন।
আল্লাহ্ মালুম!
খুবই সাসপিয়াস টু বি অনেষ্ট!!
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন