তারেক রহমান দুর্নীতিবাজ হিসেবে উচ্চ আদালতে প্রমানীত এমাজউদ্দিনের মত বুদ্ধিজীবিরা এবার বিএনপিকেও ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দেয়া অব্যহত রাখবেন।
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২১ জুলাই, ২০১৬, ০৫:৪৭:২৯ বিকাল
বিএনপি এতদিন একটি কৌশল নিয়েছিল। উচ্চ আদালত যদি কাউকে শাস্তি দেয় বা কারও দোষ সেখানে প্রমানীত হয়, তাহলে তারা সে ব্যপারে প্রতিক্রিয়া দেখাতোনা।
এতদিন জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের শাস্তি ও দন্ড কার্যকর নিয়েও একই কারনে তারা চুপ ছিলেন।
আইনের শাসনের পক্ষেই তাদের অবস্থান- এই অযুহাতেই তারা এই অবস্থান নিয়েছিলেন।
আজ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ৭ বছরের কারাদন্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা ধার্য্য করেছে হাইকোর্ট।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি দল হিসেবে আমরা আশা করবো যে বিএনপি এই ইস্যুতেও তাদের গৌরবজ্জল ইতিহাসের ধারা বজায় রেখে নিরবতা পালন করবেন।
দলের কোন নেতা সাংবাদিক সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়াও জানাবেন না। যদি তারা তা করেন, তাহলে ধরে নিতে হবে আদালতের রায়ের ব্যপারে তাদের শ্রদ্ধা নেই।
আর এটাও আশা করবো যে, তারেক রহমান দুর্নীতিবাজ হিসেবে উচ্চ আদালতে প্রমানীত হওয়ায় এমাজউদ্দিন স্যারের মত বুদ্ধিজীবিরা এবার বিএনপিকেও ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দেয়া অব্যহত রাখবেন।
বিএনপির কিছু বুদ্ধিজীবি,কেন্দ্রীয় নেতা জামায়াতকে জাতীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার অথবা জামায়াতকে ত্যাগ করেও জাতীয় ঐক্য গঠন করতে মরিয়া।আর আওয়ামীলীগ বলছে আগে বিএনপি জাতীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নাকে খত দিক তার পর দেখা যাবে।
বিএনপি যখন জামায়াত মাইনাস করে আওয়ামীলীগের অনুগ্রহ লাভের চেষ্টায় রত তখন আওয়ামীলীগ তারেক রহমানকে ৭ বছরের জেল দিয়ে বুঝিয়ে দিল যে আর বেশী বাড়াবাড়ি করতে চাইলে খালেদা জিয়াকেও জেলে পাটিয়ে দেওয়া হবে।
বিষয়: বিবিধ
২৫৯০ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দূষিত রাজনীতির নামে কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি কারোই কাম্য নয়।
আল্লাহ্ সুবহানুতা’আলা সকলকেই হেদায়ত নসীব করুণ। আমীন।
০ ৯১ এ আওয়ামীগের সাথে যদি যেতও তবুও জামায়াত ও আওয়ামী লীগের আসন মিলে ১১০ টিরও বেশী হত না ।
অন্যদিকে বিএনপি পেয়েছিল ১৪৪/৪৫ টি আসন ।
যে স্বৈরাচারকে মাত্রই ক্ষমতা থেকে নামিয়েছে সবাই মিলে সেই এরশাদ পেয়েছিল ৩০/৩২ টি আসন ।
তখন কাকে সমর্থন দেওয়া উচিত ছিল জামায়াতের ?
খুব নীতিবাগিশ লোক ! তো , আওয়ামী লীগকে তত্ত্বাবধায়কের ফর্মুলা কে দিয়েছিল ?
বিএনপির ২ বার পূর্ণ মেয়াদের শাসনে জামায়াতকে কি ফাঁপড়ে রেখেছিল বিএনপি ?
বরং যে আওয়ামী লীগ ঘাদানিকের সাথে যুক্ত হয়ে গোলাম আজমকে জনতার মন্চে ফাঁসির রায় দিয়েছিল জাহানারা ইমাম মারা যাবার পর সেই আওয়ামী লীগের সাথেই বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল ?
আল্লাহর আইন যদি তার সত্যিই কায়েম করতে চাইতো তাহলে ৭১ এ নিরীহ মুসলমানদের হত্যা করতো না । আল্লাহর আইন নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে বলে না ।
কত যে সৎ লোক ছিল তা ৭১ এ বোঝা গেছে । ৭১ এ কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা তো চায় নি উপরন্তু গর্ব করেছে ।
আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীদের ভালবাসেন না।
বাংলাদেশকে যদি ভালই বাসেন আপনারা তাহলে ৭১ এ কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা চান না কেন ?
আপনাকেও ধন্যবাদ
আবারও বলছি - নিরীহ মুসলমান হত্যা করা কি ইসলাম সমর্থন করে ? আল্লাহ কি এমনটা করতে বলেছেন ? নাকি বলেছেন - একজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করলে সেটা পুরো মানব জাতিকে হত্যা করার সামিল হয় ?
এই প্রশ্ন আপনারা ইচ্ছে করেই এড়িয়ে চলেন । এতে আপনাদের ইনটেনশন আরও ক্লিয়ার হয়ে যায় যে আপনারা আসলেই কতটুকু ইসলামকে ফলো করেন ।
মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ট আমাদের এই দেশে সব ইসলামী দলই ধর্মের নাম করে রাজনীতি করে । ইসলামের জন্য অনূকুল পরিবেশ থাকার পরেও ইসলামী দলগুলোর ভাওতাবাজির জন্য এদেশে ইসলাম কায়েম হওয়া খুবই কঠিন হয়ে আসছে ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে চলে গেলেই বরং বাঁচি । এই গ্যাগ্রিন নিয়ে চললে সারা শরীরে তা ছড়িয়ে যাবে ।
তবুও দেশের অখন্ডতা রক্ষার জন্য আমাদের কাজ করতেই হবে , যদি এতেও পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীন হয়ে যায় তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছেড়ে মূল ভু খন্ডে চলে আসবো । কারণ ওটা আমার দেশ নয় তখন।
অন্যকে অবিশ্বাস করতে বলার আগে নিজেদেরকে আগে জাস্টিফাই করুন , মানুষ কি কারণে আপনাদেরকে বিশ্বাস করবে ? কি মাজেজায় বিশ্বাস করবে যেখানে ৭১ এ আপনাদের ট্র্যাক রেকর্ড অত্যন্ত খারাপ আর আপনারা এর জন্য ক্ষমা না চেয়ে বরং দম্ভ করে বেড়ান ?
ইগো ছেড়ে ক্ষমা চাইলে লাভ বৈ লোকসান হত না আপনাদের যেটা ইমাজ স্যারের কথার জিস্ট ।
আপনারা ৭১ এ বাংলাদেশের মানুষকে ক্ষমা না করলেও বাংলাদেশের মানুষ আপনাদেরকে ক্ষমা করতে পারে । কখনও ট্রাই করে দেখেছিলেন ?
বাংলাদেশের লোক তো আপনাদেরকে সে সুযোগটা এখনও দিয়ে যাচ্ছে এবং এর নিদর্শনও তো আপনারা পেয়েছেন !
এরপরেও কেন ক্ষমা চাচ্ছেন না ? সবই বুঝেন আপনারা , না বোঝারও কিছুই নেই এখানে । কিন্তু শুধু মাত্র ইগোহানীকর হবে বিধায় ও দাম্ভিকতা রহিত হবে - সেই কারণে আপনারা এই কাজটি করছেন না ।
কিভাবে মনে করেন যে নিহতের ওয়ারিশেরা ক্ষমা না করলে আল্লাহ আপনাদের ক্ষমা করবে ? অলরেডি ফাঁসি হওয়া কয়েকজন নেতা নাকি জান্নাতের পাখি হয়ে জান্নাতের বাগানে ঘুরে বেড়াচ্ছে - এরকম কথাও আপনাদের কি বোর্ড হতে বের হয়েছে । ঐসব নেতারা কি নিহতদের ওয়ারিশদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিল ?
নিরীহ মানুষ মারবেন আর বলবেন ইসলাম কায়েম করছেন ! আপনাদের সমস্যা কোথায় কখনও আইডেন্টিফাই করার চেষ্টাও করেছেন ?
উঁমিচাঁদ ইংরেজদের সাথে একটি গোপন বৈঠকে বলেছিল- “দৌলত আমার কাছে ভগবানের দাদামশায়ের চেয়েও বড়”। বিএনপিতেও এমন দৌলতপ্রিয় বিশ্বাসঘাতকদের অভাব নেই। বেগম জিয়া এদের চিহ্নিত করুন, নয়তো একদিন ঠিকই ছোবল খাবেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন