আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতগুলোর মধ্যে রোযা একটি অন্যতম নিয়ামত। দুনিয়াতে আল্লাহর নিয়ামতের সঠিক হিসাব কোন মানুষের পক্ষে বর্ণনা করা সম্ভব নয়।

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৬ জুন, ২০১৬, ০৩:০৩:২৭ দুপুর

দুনিয়াতে আল্লাহ তা‘য়ালার নিয়ামতের সঠিক হিসাব কোন মানুষের পক্ষে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতগুলোর মধ্যে রোযা একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামত।

আর সেই রোযা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলছেন হে বিশ্বাস স্থাপনকারীগণ! তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ন্যায় তোমাদের উপরও রোযা অপরিহার্য কর্তব্যরূপে নির্ধারিত করা হল, যেন তোমরা (যে কোন অবৈধ অপতৎপরতা থেকে) সংযমশীল হতে পারো। (সূরা:বাকারা:১৮৩)

আর যে পবিত্র মাসে রোযাকে ফরয করা হয়েছে সেই মাস সম্পর্কেও আল্লাহ তায়ালা বলছেনঃ “রমযান মাস, যার মধ্যে বিশ্বমানবের জন্যে পথ প্রদর্শক এবং সু-পথের উজ্জল নিদর্শণ ও (হক ও বাতিলের) প্রভেদকারী আল্ কুর’আন অবতীর্ণ হয়েছে। অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সে মাসে উপস্থিত থাকে, সে যেন রোযা রাখে এবং যে ব্যক্তি অসুস্থ বা মুসাফির তার জন্যে অপর কোন দিন হতে গণনা করেবে; তোমাদের পক্ষে যা সহজ আল্লাহ তাই চান ও তোমাদের পক্ষে যা কষ্টকর তা তিনি চান না এবং যেন তোমরা নির্ধারিত সংখ্যা পূরণ করে নিতে পার এবং তোমাদেরকে যে সুপথ দেখিয়েছেন, তজ্জন্যে তোমরা আল্লাহর বড়ত্ব বর্ণনা কর এবং যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।” (সূরা: বাকারা:১৮৫)।

আল্লাহ তা‘আলা কুরআন নাযিলের মাস হিসেবে রমযানকে গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রকৃত পক্ষে কুর’আন নাযিল হওয়াই এ মাসকে মহিমান্বিত করেছে। কাজেই মানুষের চলার পথের কল্যাণময় দিক নির্দেশনা হিসেবে যে কুর’আন প্রেরিত হয়েছে, সেই কুর’আনের বাণী বা নির্দেশনাকে উপলব্ধি করতে এবং নিজ জীবনে রমযানের শিক্ষাকে প্রতিফলিত করতে এ মাসটিতে রয়েছে পূণ্যময় সুযোগ।

রোযার এ পবিত্র মাসে আত্মউপলব্ধি ও আত্মগঠনের শিক্ষা ও অনুশীলন কুর’আন থেকেই নিতে হবে। কারণ মানব জীবনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য যাবতীয় সংকট ও সম্ভবনার দিকনির্দেশনা আল-কুরআনেই রয়েছে।

অতএব মানুষ যদি জীবনের যে কোন ক্ষেত্রে যেমন: ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক. রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক যে কোন বিষয়েই হোক, কুর’আন তথা আল্লাহর নির্দেশনাকে না মেনে, অন্য পথ ও মতের উপর চলে, তবে সে যে বিপথগামী হবে।

কুরআনী জীবন, কুরআনী মূল্যবোধ গঠনে রমযানের প্রশিক্ষণ এবং প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ অনুগ্রহ ও পুরস্কারের যে ঘোষণার কথা জানা যায় কুরআনের সত্যিকার অনুসারী হওয়ার মাধ্যমেই রয়েছে কুরআন নাযিলের মাস রমযান উদযাপনের সার্থকতা।

বিষয়: বিবিধ

১৫৪১ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

371203
০৭ জুন ২০১৬ রাত ০১:৪০
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam. Important writing.
০৭ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:৩২
308045
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে অসংখ্য বার লেখাটি পড়ার জন্য। রমদান আপনার জন্য বয়ে আনুক অনাবিল শান্তি
371233
০৭ জুন ২০১৬ সকাল ১১:৩৩
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : যদি সম্ভব হয়, তাহলে আগামী কালকের আয়োজনে একটা লেখা পোস্ট করার অনুরোধ থাকল।
০৭ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:৩৫
308046
কুয়েত থেকে লিখেছেন : দোয়া করুন ইন্সা'আল্লাহ চেষ্টা করে যাবো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ উৎসাহিত করার জন্য
371267
০৭ জুন ২০১৬ বিকাল ০৪:১০
কুয়েত থেকে লিখেছেন :
রমদান মাস বিশ্বের মুসলিমদের জন্য সংযমের মাস। বিশেষ করে বাংলাদেশীদের জন্যও সংযমের কিন্তু তার পরিবর্তে তা হয়েছে অতি বিলাশীতার মাস। হওয়ার কথা ছিল সংযমের মাস অথচ তা না হয়ে এটা হয়েছে খাদকের মাস!সাহরীতে পোলাও কোর্মা, ইফতারিতে হালিম আর যতরকম ভাজাভুজি তারপর রাত্রে আরেকবার রসিক ভোজন। আহা! কে না চায় এই রসনা বিলাস! তাইতো ব্যাবসায়ীরা এই মোক্ষম সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। খাবার বেশি খায় বলে সরবরাহ বাড়ে অথচ একজন প্রকৃত মুসলিম কখনো খাওয়া নিয়ে ভাবে না। লক্ষ্য থাকে সবর শোকর এবং ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর আদেশ পালন করা। অথচ আমরা এই কুয়েতে দেখছি ব্যবসায়ীরা রোজার খাদ্য সামগ্রী অনেক কমদামে বিক্রি করছে এমনকি বিবিন্ন অপার দিয়ে থাকে সুপার মার্কেট গুলোতেও। আল্লাহ বাংলাদেশের মুসলিমদের মুসলমান হোওয়ার তৌকিক দান করুন।


মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File