কোন জাল হাদীস তো দূরের কথা, কোন যয়ীফ হাদীস দ্বারা আমল করা বৈধ নয়; চাহে সে হাদীস আহকাম সম্পর্কিত হোক অথবা ফাযায়েলে আ’মাল সম্পর্কিত

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৪ জুন, ২০১৬, ০৭:৪৩:৪৮ সন্ধ্যা

রোযা ও রমাদান সম্পর্কিত কিছু যয়ীফ ও জাল হাদীসসমূহ রোযা ও রমাযানকে কেন্দ্র করে বহু যয়ীফ ও জাল হাদীস লোকমুখে তথা বহু বই-পুস্তকে প্রচলিত ও প্রসিদ্ধ হয়ে আছে।

এ স্থলে সেই শ্রেণীরই কিছু হাদীস সংক্ষেপে উল্লেখ করব। যাতে পাঠক তা পাঠ করে সতর্ক হতে পারেন এবং তদ্দবারা আমল ও তাতে উল্লেখিত কথার উপর বিশ্বাস না করে বসেন। আর এ কথা বিদিত যে, কোন জাল তো দূরের কথা, কোন যয়ীফ হাদীস দ্বারা আমল করা বৈধ নয়; চাহে সে হাদীস আহকাম সম্পর্কিত হোক অথবা ফাযায়েলে আ’মাল সম্পর্কিত। বরং সহীহ ও শুদ্ধভাবে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে তাই আমলের জন্য যথেষ্ট; যদি আমরা সত্যপক্ষে আমল করতে চাই।[1] উক্ত প্রকার কিছু হাদীস নিম্নরূপঃ-

১। সালমান ফারেসীর লম্বা হাদীস। যাতে আছে; ‘‘যে ব্যক্তি তাতে কেউ একটি নফল ইবাদত করবে, সে ব্যক্তি অন্য মাসে একটি ফরয আদায়ের সমান সওয়াব লাভ করবে এবং যে কেউ তাতে একটি ফরয আদায় করবে, তার অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করার সমান লাভ করবে। (এ মাসের ১টি নফল ১টি ফরয এবং ১টি ফরয ৭০টি ফরযের সমতুল্য) ---এ মাসে মুমিনের রুযী বৃদ্ধি করা হয়। --- এ মাসের প্রথম ভাগ রহমত, মধ্য ভাগ মাগফিরাত এবং শেষ ভাগ জাহান্নাম থেকে মুক্তি।---’’[2]

২। ‘‘রমাযানের প্রত্যেক রাত্রে মহান আল্লাহ ১০লক্ষ[3] ৬ লক্ষ মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন। এর শেষ রাতে মুক্ত করেন পূর্বে বিগত সকল সংখ্যা পরিমাণ।’’[4] অন্য এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, ‘‘প্রত্যহ ৬০ হাজার মানুষকে মুক্ত করা হয়।’’[5]

৩। ‘‘রমাযান মাসের জন্য বেহেশ্ত্কে সুসজ্জিত করা হয়। প্রথম রাত্রে আরশের নিচে এক প্রকার হাওয়া চলে। --- হুরীগণ বেহেশ্তের উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে বলতে থাকে, ‘আল্লাহর কাছে আমাদের কোন পয়গামদাতা আছে কি? যার সাথে তিনি আমাদের বিবাহ দেবেন---।’ প্রত্যহ ইফতারের সময় আল্লাহ দশ লাখ জাহান্নামীকে মুক্ত করেন। মাসের শেষ দিনে বিগত সকল সংখ্যক মানুষ মুক্ত করেন। শবেকদরের রাতে কাবার পিঠে সবুজ পতাকা গাড়া হয়।--- ফিরিশ্তাগণ ইবাদতকারীদের সাথে মুসাফাহা করেন---।’’[6]

৪। ‘‘রমাযান মাসের জন্য বেহেশ্ত্কে সুসজ্জিত করা হয়। প্রথম রাত্রে আরশের নিচে বেহেশ্তের গাছ-পাতা থেকে হুরীদের উপর এক প্রকার হাওয়া চলে। তখন হুরীগণ বলে, ‘হে রবব! তোমার বান্দাগণের মধ্য হতে আমাদের স্বামী নির্বাচন কর; যাদেরকে দেখে আমাদের এবং আমাদেরকে দেখে তাদের চক্ষু শীতল হয়।’’[7]

৫। ‘‘আল্লাহ রমাযান মাসের প্রথম সকালে কোন মুসলমানকে মাফ না করে ছাড়েন না।’’[8]

৬। রমাযানের পর শ্রেষ্ঠ রোযা, রমাযানের তা’যীমে শা’বানের রোযা এবং সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সদকা হল রমাযানের সদকা।’’[9]

৭। ‘‘শ্রেষ্ঠ দান হল, রমাযান মাসে দান।’’[10]

৮। ‘‘আমার উম্মতকে রমাযানে পাঁচটি জিনিস দান করা হয়েছে; যা ইতিপূর্বে কোন উম্মতকে দান করা হয় নি। ইফতার করা পর্যন্ত পানির মাছ অথবা ফিরিশ্তারা তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ প্রত্যেক দিন বেহেশ্ত্কে সুসজ্জিত করে থাকেন।--’’[11]

৯। ‘‘রজব মাস আগত হলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) দুআ করতেন, ‘হে আল্লাহ আমাদের রজব ও শা’বানে বর্কত দাও এবং রমাযান পৌঁছাও।’’[12]

১০। ‘‘রমাযান প্রবেশ করলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) প্রত্যেক বন্দীকে মুক্তি দিতেন এবং প্রত্যেক যাচ্ঞাকারীকে দান করতেন।’’[13]

১১। ‘‘রমাযান প্রবেশ করলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর রঙ বদলে যেত, তাঁর নামায বেড়ে যেত, দুআয় আকুল হতেন---’’[14]

১২। ‘‘তোমাদের কাছে বর্কতের মাস রমাযান এসে উপস্থিত হয়েছে। --- আল্লাহ এ মাসে তোমাদের আপোসে প্রতিযোগিতা দেখবেন এবং তোমাদেরকে নিয়ে ফিরিশ্তাদের কাছে গর্ব করবেন।---’’[15]

১৩। ‘‘রমাযান মাসের একটি তসবীহ অন্য মাসের হাজার তসবীহ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।’’[16]

১৪। ‘‘রমাযান কি জিনিস তা যদি আমার উম্মত জানত, তাহলে আশা করত যে, সারা বছরটাই যেন রমাযান হোক। যে কেউ রমাযানের একটি রোযা রাখবে, তার সঙ্গে মুক্তার তাঁবুতে আয়তলোচনা একটি হুরীর সাথে বিবাহ দেওয়া হবে। ---প্রত্যেক স্ত্রীর হবে ৭০টি করে ভিন্ন ভিন্ন পরিচ্ছদ। তাকে ৭০ রঙের খোশবু দান করা হবে। --’’[17]

১৫। ‘‘রমাযানের প্রথম রাত্রি এলে আল্লাহ রোযাদার সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। আর যে বান্দার প্রতি আল্লাহ দৃষ্টিপাত করেন, তিনি তাকে আযাব দেন না। রমাযানের প্রত্যেক রাত্রে তিনি ১০ লাখ জাহান্নামীকে মুক্তি দেন।---’’[18]

১৬। ‘‘যে ব্যক্তি মক্কায় রমাযান পেয়ে সেখানে রোযা রাখে এবং যথাসাধ্য রাতের নামায পড়ে, আল্লাহ তার জন্য অন্য জায়গার ১ লাখ মাস রমাযানের সওয়াব লিখে দেন---।’’[19]

১৭। ‘‘মক্কার একটি রমাযান অন্য জায়গার হাজার রমাযান অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।’[20]

১৮। ‘‘মদ্বীনার একটি রমাযান অন্য জায়গার হাজার রমাযান অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।’’[21]

১৯। ‘‘তিন ব্যক্তিকে পানাহারের নিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে না; ইফতারকারী, সেহরী খানে-ওয়ালা----।’’[22]

২০। ‘‘আল্লাহ কিরামান কাতেবীনকে অহী করেছেন যে, আমার রোযাদার বান্দাদের আসরের পর কৃত কোন পাপ লিপিবদ্ধ করো না।’’[23]

২১। ‘‘---আল্লাহর একটি খাদ্য পরিপূর্ণ সুসজ্জিত খাঞ্চা আছে, যাতে এমন সব খাদ্য আছে যা কোন চক্ষু দর্শন করে নি, কোন কর্ণ শ্রবণ করে নি এবং কারো মানুষের মনেও তা কল্পিত হয় নি। যে খাঞ্চাতে রোযাদাররা ছাড়া অন্য কেউ বসবে না।’’[24]

২২। ‘‘যে বান্দা আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য রোযা রাখবে, আমি তার দেহকে সুস্থ রাখব এবং তাকে বৃহৎ সওয়াব দান করব।’’[25]

২৩। ‘‘রোযা রাখ সুস্থ থাকবে।’’[26]

২৪। ‘‘রোযা হল অর্ধেক ধৈর্য।’’[27]

২৫। ‘‘প্রত্যেক জিনিসের যাকাত আছে, আর দেহের যাকাত হল রোযা।’’[28]

২৬। ‘‘রোযাদারের নিকট কেউ খাবার খেলে, খাবার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার জন্য ফিরিশ্তাবর্গ দুআ করতে থাকেন।’’[29]

২৭। ‘‘রোযাদারের অস্থিসমূহ তসবীহ পাঠ করে, এবং যতক্ষণ তার সামনে খাওয়া হয়, ততক্ষণ ফিরিশ্তাগণ তার জন্য দুআ করতে থাকেন।’’[30]

২৮। ‘‘রোযাদারের ঘুম ইবাদত, তার নীরবতা তসবীহ এবং আমলের সওয়াব বহুগুণ।’’[31]

২৯। ‘‘রোযাদার ইবাদতে থাকে; যদিও সে বিছানায় শুয়ে থাকে।’’[32]

৩০। ‘‘রোযা রাখলে সকালে দাঁতন করো এবং বিকালে করো না। কারণ, যে রোযাদারের ঠোঁট দুটি বিকালে শুকিয়ে যায়, কিয়ামতে সেই রোযাদারের চোখের সামনে জ্যোতি হবে।’’[33]

৩১। ‘‘যে কেউ রোযা নষ্ট করবে, সে যেন একটি উঁটনী কুরবানী করে। তা করতে না পারলে সে যেন মিসকীনদেরকে ৭৫ কেজি খেজুর দান করে।’’[34]

৩২। ‘‘যে ব্যক্তি রমাযানের একটি মাত্র রোযা কোন ওযর ও রোগ বিনা নষ্ট করে দেয় সে ব্যক্তি সারা জীবন রোযা রাখলেও তা পূরণ করতে পারবে না।[35]

৩৩। ‘‘পাঁচটি কাজে রোযা ও ওযূ নষ্ট হয়; মিথ্যা বলা, গীবত করা, চুগলী করা, (মহিলার প্রতি) কামদৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখা এবং মিথ্যা কসম খাওয়া।’’[36]

৩৪। ‘‘(যে দুজন মহিলা রক্ত অথবা গোশত ও পুঁজ বমি করেছিল) তারা হালাল জিনিস ব্যবহার না করে রোযা রেখেছিল, কিন্তু আল্লাহ কর্তৃক হারাম জিনিস দ্বারা ইফতার করেছিল। উভয়ে বসে (গীবত করার মাধ্যমে) লোকের গোশত খেয়েছিল।’’[37]

৩৫। ‘‘সফরে রমাযানের রোযা রাখা, ঘরে থাকা অবস্থায় রোযা নষ্টকারীর মত।’’[38]

৩৬। ‘‘যে ব্যক্তি হালাল খেজুর দ্বারা ইফতার করবে, তার নামাযকে ৪ শত গুণ বর্ধিত করা হবে।’’[39]

৩৭। ‘‘যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে রমাযান মাসে একটি রোযাদারকে ইফতার করাবে, সে ব্যক্তির জন্য রমাযানের সমস্ত রাত্রে ফিরিশ্তাবর্গ দুআ করবেন এবং শবেকদরে জিবরাঈল তার সাথে মুসাফাহা করবেন---।’’[40]

৩৮। ‘‘ইফতারের সময় রোযাদারের দুআ রদ্দ্ করা হয় না।’’[41]

৩৯। ‘‘প্রত্যেক রোযাদার বান্দার জন্য ইফতারের সময় কবুলযোগ্য দুআ রয়েছে। তা তাকে দুনিয়ায় দান করা হয় অথবা আখেরাতের জন্য জমা রাখা হয়।’’[42]

৪০। ইফতারের সময় তিনি বলতেন, ‘‘আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু অ আলা রিযক্বিকা আফত্বারতু।’’[43]

৪১। ইফতারের সময় তিনি বলতেন, ‘‘আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু অ আলা রিযক্বিকা আফত্বারতু। ফাতাক্বাববাল মিন্নী, ইন্নাকা আন্তাস সামীউল আলীম।’’[44]

৪২। ইফতারের সময় তিনি বলতেন, ‘‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী আআ’নানী ফাসুমতু অরাযাক্বানী ফাআফত্বারতু।’’[45]

৪৩। ‘‘রমাযানের রাতে মুমিন নামায পড়লে আল্লাহ তার প্রত্যেক সিজদার বিনিময়ে ১৫০০ সওয়াব লিপিবদ্ধ করেন এবং বেহেশ্তে তার জন্য লাল রঙের প্রবালের একটি গৃহ নির্মাণ করা হয়; তার আছে ৬০০০০ দরজা, প্রত্যেক দরজায় আছে একটি করে সবর্ণের মহল---। রমাযানের প্রথম রোযা রাখলে পশ্চাতের সকল পাপ মাফ হয়ে যায়---। প্রত্যহ ফজরের নামাযের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ৭০০০০ ফিরিশ্তা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে---। রমাযান মাসের দিনে অথবা রাতে প্রত্যেক সিজদার বিনিময়ে একটি করে (জান্নাতে) বৃক্ষ লাভ হবে; যার ছায়াতলে সওয়ারী ৫০০ বছরের পথ চলবে।’’[46]

৪৪। ‘‘ঈদের দিন এসে উপস্থিত হলে ফিরিশ্তাবর্গ রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে আহবান করেন---। অতঃপর যখন নামায হয়ে যায় তখন আহবানকারী আহবান করে, শোন! তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন---।’ আর আসমানে এই দিনের নাম হল পুরস্কারের দিন।’’[47]

৪৫। রমাযানের রোযা আকাশ ও পৃথিবীর মাঝে লটকানো থাকে। ফিতরা দিলে তবেই তা উত্থিত করা হয়। [48]

৪৬। ‘‘যে ব্যক্তি রোযার (শেষ) দশকে ই’তিকাফ করবে, তার দুটি হজ্জ ও দুটি উমরাহ করার সমান সওয়াব লাভ হবে।’’[49]

৪৭। ‘‘রমাযান বলো না। কারণ, ‘রমাযান’ হল আল্লাহর অন্যতম নাম। বরং তোমরা রমাযান মাস বলো।’’[50]

৪৮। ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে একদিন রোযা রাখবে, তার কাছ থেকে জাহান্নামকে এত দূরের পথ করে দেবেন; যে পথ একটি কাক ছানা অবস্থা থেকে বুড়ো হয়ে মরা পর্যন্ত উড়ে অতিক্রম করতে পারে।[51]

৪৯। ‘‘মুসলিম রোযা রাখলে ---- পাপ থেকে সেই রকম বেরিয়ে আসে, যেমন সাপ বেরিয়ে আসে তার খোলস থেকে।’’[52]

৫০। ‘‘মুসলিম রোযা রাখলে ---- পাপ থেকে সেই রকম বেরিয়ে আসে, যেমন বেরিয়ে আসে মায়ের পেট থেকে নিষ্পাপ হয়ে।’’[53]

৫১। ‘‘আল্লাহ নিজের জন্য এই ফায়সালা ও স্থির করে রেখেছেন যে, যে ব্যক্তি কোন গরমের দিনে আল্লাহর ওয়াস্তে নিজেকে (রোযা রেখে) পিপাসিত করবে, আল্লাহ তাকে এই অধিকার দেবেন যে, তিনি কিয়ামতের দিন তার পিপাসা দূর করে দেবেন।’’[54]

[1] (সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ভূমিকা ৪৯-৫৬পৃঃ দ্রঃ) [2] (মুনকার অথবা যয়ীফ, সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৮৭১নং দ্রঃ) [3] (যয়ীফ তারগীব, আলবানী ৫৯১নং) [4] (যয়ীফ তারগীব, আলবানী ৫৯৮নং) [5] (ঐ ৫৯৯নং) [6] (ঐ ৫৯৪নং) [7] (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ১৩২৫নং) [8] (ঐ ২৯৬নং) [9] (যয়ীফুল জামেইস সাগীর, আলবানী ১০২৩নং) [10] (ঐ ১০১৯, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৮৮৯নং) [11] (মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/১৪০, আহমাদ, মুসনাদ ৭৯০৪নং টীকা, যয়ীফ তারগীব, আলবানী ৫৮৬নং) [12] (যয়ীফুল জামে’ ৪৩৯৫নং) [13] (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৩০১৫, যয়ীফুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৪৩৯৬নং) [14] (যয়ীফুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৪৩৯৭নং) [15] (মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/১৪২, যয়ীফ তারগীব, আলবানী ৫৯২নং) [16] (যয়ীফ তিরমিযী, আলবানী ৬৮৬নং) [17] (হাদীসটি জাল, সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৩/৪৯৪, যয়ীফ তারগীব, আলবানী ৫৯৬নং) [18] (হাদীসটি জাল, সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ২৯৯নং) [19] (যয়ীফুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৩৭৫নং) [20] (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ২/২৩১) [21] (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৮৩১নং) [22] (হাদীসটি জাল, সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ১৯৮০নং) [23] (আলফাওয়াইদুল মাজমূআহ ফিল আহাদীসিল মাওযূআহ, শাওকানী, কিতাবুস সিয়াম, কীলানী ৯৫পৃঃ) [24] (যয়ীফুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৩৫৫৯নং) [25] (যয়ীফুল জামেইস সাগীর, আলবানী ১৫৭১নং) [26] (ঐ ৩৫০৪, সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ২৫৩নং) [27] (যয়ীফ ইবনে মাজাহ, আলবানী ৩৮২নং) [28] (ঐ ৩৮২নং) [29] (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ১৩৩২, যয়ীফ ইবনে মাজাহ, আলবানী ৩৮৪নং) [30] (জাল হাদীস, সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ১৩৩১, যয়ীফ ইবনে মাজাহ, আলবানী ৩৮৫নং) [31] (যয়ীফুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৯৭২, সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৫৯৮৪নং) [32] (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৬৫৩নং) [33] (যয়ীফুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৭৯নং) [34] (জাল হাদীস, সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৬২৩, যয়ীফুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৪৬১নং) [35] (যয়ীফ আবূ দাঊদ, আলবানী ৪১৩, যয়ীফুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৪৬২নং) [36] (জাল হাদীস, সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ১৭০৮, যয়ীফুল জামেইস সাগীর, আলবানী ২৮৪৯নং) [37] (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৫১৯নং) [38] (ঐ ৪৯৮, যয়ীফ ইবনে মাজাহ, আলবানী ৩৬৫নং) [39] (হাদীসটি জাল, কিতাবুস সিয়াম, কীলানী ৯৫পৃঃ, ফামাআমাঃ) [40] (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ১৩৩৩নং) [41] (যয়ীফ ইবনে মাজাহ, আলবানী ৩৮৭, সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৪৩২৫, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৯২১নং) [42] (যয়ীফুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৪৭৩৩নং) [43] (যয়ীফুল জামেইস সগীর ৪৩৪৯নং) [44] (যয়ীফুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৪৩৫০নং) [45] (যয়ীফুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৪৩৪৮নং) [46] (যয়ীফ তারগীব, আলবানী ৫৮৮নং) [47] (মাজমাউয যাওয়ায়েদ ২/২০১, যয়ীফ তারগীব, আলবানী ৫৯৪নং) [48] (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৪৩নং) [49] (হাদীসটি জাল, সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৫১৮নং) [50] (মুখালাফাতু রামাযান, শায়খ আব্দুল আযীয সাদহান) [51] (যয়ীফ তারগীব, আলবানী ৫৭৪নং) [52] (যয়ীফ তারগীব, আলবানী ৫৯৫নং) [53] (যয়ীফ তারগীব, আলবানী ৬০২নং) [54] (যয়ীফ তারগীব, আলবানী ৫৭৮নং)

বিষয়: বিবিধ

২৭১৪ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

371001
০৪ জুন ২০১৬ রাত ০৮:৪৯
আবু জান্নাত লিখেছেন :
কোন জাল হাদীস তো দূরের কথা, কোন যয়ীফ হাদীস দ্বারা আমল করা বৈধ নয়; চাহে সে হাদীস আহকাম সম্পর্কিত হোক অথবা ফাযায়েলে আ’মাল সম্পর্কিত
জাল হাদিস তো হাদিসই নয়, তাই আপনার সাথে একমত।

কিন্তু সব জয়ীফ হাদিস কি আমলের অযোগ্য? নাকি তাতেও কথা রয়েছে। ব্যখ্যা সাপেক্ষে বলতে হবে। যেহেতু রাসূল সাঃ এর হাদিস।

ফাজায়েল হোক আর মাসায়েল হোক। সব জয়ীফ হাদিসই আমলের অযোগ্য : এ কথাটির পক্ষে কোন দলিল আছে???

হাদীসের ব্যপারে যে কোন মন্তব্য করতে আল্লাহ ভয় করুক ভাই। কারো লিখা কপি পেষ্ট করলেও নিজে জিম্মা নিতে হবে।

আল্লাহ মাফ করুক।

০৪ জুন ২০১৬ রাত ০৯:১৬
307850
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সহীহ হাদিস পাওয়া গেলে জয়ীফ হাদিস গ্রহন করার প্রস্নই আসেনা। যে কোন ব্যপারে কুরআন হাদিস এর দলির পাওয়া গেলে আমরা সেটাই গ্রহন করবো। আর কুরআন এবং সহীহ হাদিস পাওয়া না গেলে আল্লাহ এবং তার রাসুলের দিখেই ফিরে যেতে হবে। আল্ হামদু লিল্লাহ সহীহ হাদিস এবং কুরআনের মধ্যেই সকল বিষয়ে সমধান রয়েছে সুতারাং জয়িফ হাদিস গ্রহন করার কোন প্রয়োজন নেই। ভালো থাকুন
371002
০৪ জুন ২০১৬ রাত ১০:২৪
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : নিচের কিতাবটির দলিলগুলো আপনার এবং আহলে হাদীস ভাইদের এই অভিমতকে সমর্থন করে না। http://www.mediafire.com/download/lixbskgrcs5o8f5/Joif+Hadith.pdf
০৫ জুন ২০১৬ রাত ০১:৫২
307859
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভাই বিবেক বুদ্ধি আল্লাহ পাক সকলকেই দিয়েছেন। আমাদের উচিৎ সত্যের সন্ধান করা যেহেতু আমাদের প্রিয় নবীজি (সাঃ)আমাদের জন্য মাত্র দুটি জিনিস তথা দুটি বিষয় রেখে গেছেন আল কুরআন এবং নবীজির সুন্নাহ তথা হাদিস এই দুটিকেই আমাদের মূূল সম্পদ হিসেবে গ্রহনকরে নিতে হবে।আমরা কেউ ভূলের উর্দেনই। চেষ্টা করতে হবে সঠিক পথের উপর যেন প্রতিষ্ঠা থাকতে পারি।আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েতের উপর প্রতিষ্ঠা থাকার তাওফিক দিন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
০৫ জুন ২০১৬ সকাল ১০:৩১
307892
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : যয়িফ হাদিসও হাদিস। যয়িফ হাদীসকে অস্বিকার করলেও আপনি আল্লাহর নবীর কথাকে অস্বীকার করলেন। মনে করুন একটি হাদীসের সনদে সাহাবী থেকে ইমাম বুখারী পর্যন্ত ৬ জন রাবী আছেন। ইমাম বুখারী যার কাছ থেকে হাদীসটি পেয়েছেন অর্থাত পাচ নাম্বার রাবী তিনি যয়িফ। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত যারা হাদীসিটি পেয়েছেন তাদের সকলের কাছেই হাদীসটি সহিহি ই ছিল। তাহলে আপনি চার নাম্বার রাবী পর্যন্ত সকল ইমামগণকে অস্বিকার করে বসলেন ! আল্লাহর নবীর বানীকে অস্বীকার করার পরিনামও নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। আর ফাজায়েল এবং আহাকামে যয়িফ হাদীস দলীল যোগ্য কিনা তা আমার উপরের লিঙ্ক এর কিতাবেই বিস্তারিত দলীল সহ দেয়া আছে। ধন্যবাদ।
০৬ জুন ২০১৬ দুপুর ০২:৪৪
307987
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভাই যয়িফ হাদিসও হাদিস সহীহ হাদিস থাকতে যয়িফ হাদিসের পিছনে ঘুরার প্রয়োজন আছে..? আমরা আল্ কুরআনের ফরজিয়ত তথা আল্লাহর দেয়া বিধানের তোয়াক্কা না করে যয়িফ হাদিস এবং চোট কাটো এখতেলাফি বিষয় নিয়ে বেশী সময় নষ্ট না করাই উত্তম। আল্ কুরআন আমাদের সংবিধান আর নবীজি(সাঃ) কুরআনের বাস্তব চরিত্র আমাদের চেতনা তাই হওয়াই উচিৎ আপনাকে ধন্যবাদ
371084
০৫ জুন ২০১৬ বিকাল ০৪:১৮
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam......we should perform n believe according to AlQuran n sohi Hadith not arguing each other. Jajakallahu khair for your good intention.
০৬ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:২২
307994
কুয়েত থেকে লিখেছেন : وعليكم السلام ورحمةالله وبركاته.রমদান মেবারক লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সহীহ হাদিস থাকতে যয়িফ হাদিসের পিছনে ঘুরার কোন প্রয়োজন আছে..? আমরা আল্ কুরআনের ফরজিয়ত তথা আল্লাহর দেয়া বিধানের তোয়াক্কা না করে যয়িফ হাদিস এবং চোট কাটো এখতেলাফি বিষয় নিয়ে বেশী সময় নষ্ট না করাই উত্তম।
371179
০৬ জুন ২০১৬ বিকাল ০৪:০০
কুয়েত থেকে লিখেছেন : প্রতি বৎসর রমযান মাস আসলে তারাবি নামাজ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।হাদীস সমুহে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্তেও কিছু আলেমদের এক গুয়েমির কারনে এই বিতর্ক।এতে সাধারন মুসল্লিরা বিভ্রান্তির শিকার।
রাসুলুল্লা সঃ আট রাকাত নামাজ পড়েছেন এর বেশি কখনও পড়েননি,এবিষয়ে বিতর্কের কোন সুযোগ নেই।এর পক্ষে হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত বুখারীর ১১৪৭ নং হাদীসটিকে শক্তিশালী দলীল হিসাবে গ্রহন করা হয়েছে।
তবে রাসুল সঃ নিজে আট রাকাত পড়লেও তার উম্মতদেরকে আরও বেশী পড়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।যেমন হযরত আয়শা রাঃ থেকে আরেকটি হাদীস বুখারী ৪৭২,রাসুল সঃ মিম্বারে থাকা অবস্থায় রাতের নামাজ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন দু রাকাত দু রাকাত করে পড়বে এ অবস্থায় সকাল হওয়ার আশন্কা থাকলে আরও এক রাকাত নামাজ আদায় করবে।
এখানে কোন সীমাবদ্দতা রাখা হয়নি অর্থ কেউ ইচ্ছা করলে সারা রাত নামাজ পড়তে পারবে।নিদৃষ্ট ভাবে বিশ রাকাতের কোন দলীল নেই।মক্কা মদিনায় বিশ রাকাত পড়ার কারনে বহু দেশে সেখানের সাথে সামান্জস্য রেখে বিশ রাকাত পড়া হয়।
যারা বিশ রাকাত পড়ে তারা এ কথা স্বীকার করে যে এর কম বেশীও পড়া যাবে এবং সর্ব নিন্ম আট রাকাত।কিন্ত কিন্তু কিছু লোক আট রাকাতের মধ্যে সীমাবব্দ রাখতে চায় বেশী পড়ার যে অনুমি রয়েছে এটা মানতে নারাজ আহলে হাদীস এবং ছালাফি গন এ মতে বিশ্বাসী।
এখন মূল কথা হল রাসুল (সঃ) যেহেতু আট রাকাত পড়েছেন আট রাকাত পড়লেই পুর্ণ ছুন্নাত আদায় হবে।যেহেতু বেশী পড়ারও অনুমতি রয়েছে কাজেই যারা বিশ রাকাত পড়ে তারা অন্যায় করেনি বেদায়াতও হবেনা বরং অতিরিক্ত সওয়াব পাবেন।
আসুন আমরা সকলে দলাদলি ছেড়ে দেই সত্যটাকে মেনে নেই। আল্লাহ আমাদের সকলকে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান দান করুন আমিন। লেখাটা শেয়ার করে সকলকে জানার সুযোগ ইনশাআল্লা আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিবেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File