স্বাগতম পবিত্রতম হে কুরআনের মাস..! হে মাহে রামাদানুল করিম, মুবারক আলাইকুমুস শাহর..! আহ্ লান্ সাহ্ লান্ মাহে রামাদান..!!
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২৮ মে, ২০১৬, ০২:৪৪:৪৯ দুপুর
স্বাগতম হে মাহে রমদানুল মুবারক। একটি বছর ঘুরেই আবারও অসংখ্য নিয়ামত ও সুসংবাদের বার্তা নিয়ে আমাদের দরজায় এসে উপস্থিত হলো মানবজাতির ইহলৌকিক কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তির দিকদর্শন মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কুরআন অবতীর্ণের মাস।
আত্মিক প্রশান্তি লাভের মাস, ইসলামের বিজয়ের মাস, বরকতের মাস, গুনাহ মাফের মাস, হাজার মাসের চেয়েও উত্তম রাত ক্বদরের রাত বিশিষ্ট মাস, দোয়া কবুলের মাস, ধৈর্য ধারণের মাস, সাহায্য-সহযোগিতা-সমবেদনা-সহমর্মিতা প্রদর্শনের মাস।
মঙ্গল ও কল্যাণের প্রতি আহ্বানের মাস, সাম্যমৈত্রী-ঐক্য-ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের মাস, রোজা পালনের মাস, জান্নাত সমূহ উন্মুক্ত এবং জাহান্নাম সমূহ বন্ধের মাস, নিয়ামতপূর্ণ মোবারকময় মাস, জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস।
পবিত্র মাস, সংযম সাধনার মাস, স্থিতিশীলতা শান্তি-সমপ্রীতি নিরাপত্তার মাস, দশমাস রোজা পালনের সমপরিমাণ সাওয়াব বিশিষ্ট মাস, আত্মশুদ্ধির মাস, আত্মবিশ্লেষণের মাস, সমবেদনা প্রকাশের মাস।
রিজিক বৃদ্ধির মাস, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাস, তাকওয়া অর্জনের মাস, আত্মোন্নয়নের মাস, রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস এবং মুসলমানের শান্তির সওগাত পবিত্র মাহে রমজান।
রমদানুল মুবারক মাস আমাদের নিকটেই এসে উপস্থীত! মুমিন মুসলমান তথা ঈমানদাদের জন্য এর চেয়ে বড় আনন্দের সংবাদ আর কি হতে পারে? যে মাসটির আগমনের জন্য স্বয়ং আমাদের প্রিয় নবীজী, তথা আল্লাহর প্রিয় হাবিব জনাবে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) দোয়া করতেন।
এবং দু’মাস পূর্বথেকে প্রস্তুতি নিতেন এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন, যে “আল্লাহুম্মা বাল্লিগনা রমদান” হে আল্লাহ আমাকে রমযান পর্যন্ত পৌছিয়ে দিন। অর্থাৎ রমযান নিকটে এসে গেছে এই রমযানের ফযিলত তথা রমযানের বরকত থেকে যেন মাহরুম হয়ে না জান।
রমযান এমন বরকত পূর্ণ মাস, যে মাসটির আগমন মু'মিনদের ত্বাকওয়া বৃদ্ধি করার জন্য। আর ত্বাকওয়া হল এমন একটি গুণ, যা একজন ঈমানদারকে জান্নাতে পৌছিয়েদেবেন। আল্লাহ পাক বিশ্ব মানব মন্ডলিকে জানিয়ে দিলেন যে, যারা ঈমানদার তাদের জন্য আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে কতবড় নেয়ামত তিনি দান করলেন।
এবং এই মাসটিতেই তিনি রমযানের রোযাকে ফরজ করে দিলেন। يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
"হে ঈমানদার লোকেরা যারা ঈমান এনেছো! আমি তোমাদের জন্য রোযাকে ফরজ করে দিয়েছি, যে ভাবে তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের জন্য রোযাকে ফরজ করেছিলাম। আশা করা যায় তোমরা ত্বাকওয়া অর্জন করতে পারবে"। (সুরা বাকারা:১৮৩)
এই রমযান মাস এত গুরুত্ব পূর্ণযে, যার কারন হল এই মাসটিতেই আল্লাহ পাক তার পবিত্র কুরআনুল করিম নাযিল করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِيَ أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ
فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ
"রমজান মাস যে মাসে কুরআনুল করিম অবর্তীণ করা হয়েছে, এতে হেদায়ত রয়েছে সমগ্র মানব মন্ডলির জন্য, সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী সহ সত্য এবং মিথ্যার পার্থ্যক্য সুচিত কারি এই কুরআন, যে এই মাসটির সাক্ষাত পাবে সে যেন পূর্ণ একটি মাস সিয়াম সাধনা করেন"। (সুরা বাকারা:১৮৫)
এই মাসে আরো বহু নেয়ামতের কথা আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে জানিয়েছেন, এই মাসে এমন একটি রাত রয়েছে যে রাতের ইবাদত হাজার মাসের চেয়েও অধীক উত্তম। আল্লাহ পাক বলেনঃ
نَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَمَا أَدْرَاكَ ।
مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
আমি এই কুরআনকে ক্বদরের রাত্রিতে নাজিল করেছি, তুমি কি যান ক্দরের রাত্রি টি কি, কদরের রাত হচ্ছে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। (সুরা কাদরঃ ১-৩)
এই মোবারক রাত্রিটির ইবাদতের জন্য আমাদেরকে ভাল করে প্রস্তুতি নিয়ে রমজানের শেষ ১০ রাত্রিতে কিয়ামুল্লাইল তথা রাত্রি জেগে ইবাদত করা উচিৎ, যাতে করে ক্দরের ফজিলত থেকে মাহরুম হতে না হই। আল্লাহ আমাদেরকে রমদানুল মুবারক এর সকল নেয়ামত দান করুন। আমিন
বিষয়: বিবিধ
১৯৮৭ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দেশ ইন্ডিয়া হতে আর কতদিন বাকি?!! আশ্চার্য জনক তথ্য বেরিয়ে আসলো শিক্ষা মন্ত্রনলায় থেকে!! . মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা অধ্যুষিত একটি দেশের জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ মুসলমানদের হাতে নেই!! নিচের তালিকাটি কি আসলেই বাংলাদেশের নাকি অন্য কোন দেশের! . ১. প্রাথমিক শিক্ষা অধিপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শ্যামল কান্তি ঘোষ। . ২. পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সচিব বজ্র গোপাল ভৌমিক। . ৩. কারিগরি শিক্ষা অধিপ্তরের মহাপরিচালক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব অশোক কুমার বিশ্বাস। . ৪. সৃজনশীল পদ্ধতি বাস্তবায়নকারী মাধ্যমিক শিক্ষা খাত উন্নয়ন কর্মসূচির (সেসিপ) যুগ্ম পরিচালক রতন কুমার রায়। . ৫.সৃজনশীল পদ্ধতি বাস্তবায়নকারী মাধ্যমিক শিক্ষা খাত উন্নয়ন কর্মসূচির (সেসিপ) বিশেষজ্ঞ ড. উত্তম কুমার দাশ। . ৬. ঢাকা বোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক অদ্বৈত কুমার রায়। . ৭. চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব ড. পীযুষ কান্তি দন্ত। . ৮. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র ঢালী। . ৯. বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়্যারম্যান নারায়ন চন্দ্র পাল। . ১০. ঢাকা বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শ্রীকান্ত কুমার চন্দ্র। . ১১. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব অজিত কুমার ঘোষ। . ১২. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব পতিত পাবন দেবনাথ। . ১৩. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব অসীম কুমার কর্মকার। . ১৪. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-প্রধান স্বপন কুমার ঘোষ। . ১৫. শিক্ষামন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্রী বনমালী ভৌমিক। . ১৬. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. অরুণা বিশ্বাস। . ১৭. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব স্বপন কুমার সরকার। . জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় হয়তো আরো অনেক বিস্ময়কর বিষয় লুকিয়ে আছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন