নিপীড়িত মানুষ মুক্তির প্রহর গুনছে। এই মুক্তি ইসলামী বিপ্লব ছাড়া সম্ভব নয়।যারা ময়দানে টিকে থাকবে তাদের হাতেই ইসলামের বিজয় পতাকা অর্পিত হবে।
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২১ মে, ২০১৬, ০৪:৪৬:৪১ বিকাল
শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ঐতিহাসিক ভাষণ ও ইসলামী আন্দোলন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বানী
[ইংরেজী সাবটাইটেলসহ]
প্রিয় ভাইয়েরা,
জুলুমে ভরা বিশ্ব আজ ত্রাণকর্তার অপেক্ষায় আছে। বাংলাদেশের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষও মুক্তির প্রহর গুনছে। এই মুক্তি একটি সফল ইসলামী বিপ্লব ছাড়া সম্ভব নয়।
আজকে আমাদের কথার মাধ্যমে, আমাদের কাজের মাধ্যমে, আমাদের চালচলন, আচার-ব্যবহারের মাধ্যমে, ময়দানে আমাদের জোরালো ভূমিকার মাধ্যমে দেশের মানুষকে এই মহাসত্য উপলব্ধি করাতে হবে।
উপলব্ধি তাদের মধ্যে সৃষ্টি করাতে হবে। এক্ষেত্রে আসুন আমরা একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালার ওয়াদা আছে- একদল মানুষ যোগ্যতার সাথে, সততার সাথে দেশ-জাতি-সমাজ পরিচালনার যোগ্য আল্লাহর দৃষ্টিতে বিবেচিত হলে বিশ্বজোড়া আল্লাহ খেলাফত দিবেন।
মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভবিষ্যত বাণী আছে- নবুয়্যতের পর খেলাফতের যুগ আসার কথা। সেই ভবিষ্যত আলোকে নবুয়্যতের পর খেলাফতের যুগ এসেছিলো।
খেলাফতের যুগের অবসানের পর মুলুকিয়্যাত বা রাজতন্ত্রের যুগ আসার কথা ছিল সেটাও এসেছে। আজকে দেশের দু-চারটি দেশে যে রাজতন্ত্র আছে তা কয়েকদিনের মেহমান হিসেবে আছে।
রাজতন্ত্রের অবসানের পর বিশ্বের দেশে দেশে যে সমাজ ব্যবস্থা, রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হয়ে আছে, যে নামেই ডাকা হোক না কেন তার আসল পরিচয় জুলুমতন্ত্র।
ধর্মনিরপেক্ষতার নামে হোক, জাতীয়তাবাদের নামে হোক, পশ্চিমা গণতন্ত্রের নামেই হোক আর যে নামেই হোক না কেন, রাসূল সা: এর ভবিষ্যত বাণীর আলোকে এই জুলুমতন্ত্র ইতিহাসের শেষ কথা নয়। এরও অবসান ঘটবে।
এর অবসানের প্রেক্ষাপটে আবার আসবে খেলাফত আ’লা মিনহাজিন নবুয়্যতের যামানা। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে-এই বর্তমানে বিরাজমান জুলুমতন্ত্রের অবসানের দিনক্ষণ ঘনিয়ে এসেছে।
এরপরেই বিশ্বব্যাপী ইনশাআল্লাহ ইসলাম বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ইসলামী আন্দোলন বিশ্বব্যাপী আজ ঈমাণের অগ্নিপরীক্ষার একটি স্তর অতিক্রম করছে। এই পরীক্ষায় যারা ফেল করবে তারা ডানে-বাঁয়ে ছিটকে পড়বে।
আল্লাহর কিছু বান্দা শাহাদাত বরণ করবে। আর সবর এস্তেকামাতের সাথে ঈমানী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যারা ময়দানে টিকে থাকবে ইনশাআল্লাহ তাদের হাতে ইসলামের বিজয় পতাকা অর্পিত হবে।
ইউটিউব লিঙ্ক: youtube.com/watch?v=4JAWAVS64Ho
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৭ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আওয়ামী নির্বোধরা শেষ পর্যন্ত জাতির পিতার নাতিকেও রাষ্ট্রদ্রোহী বানিয়ে ছাড়লো !
ড. তুহিন মালিক
(১) ইসরাইলী মোসাদের কথিত গোয়েন্দা মেন্দি সাফাদির সাথে ৬ মিনিটের সাক্ষাতের কারণে আসলাম চৌধুরী রাষ্ট্রদ্রোহী হলে,
সেই মেন্দি সাফাদির সাথে ১৫ মিনিটের বৈঠকের কারনে সজিব ওয়াজেদ জয় কেন রাষ্ট্রদ্রোহী হবে না?
(২) মেন্দি সাফাদির সাথে আসলাম চৌধুরীর দেখা হয় ভারতে প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী পরিচয়ে।
ছবিও তোলা হয় প্রকাশ্য পোজ দিয়ে।
কিন্তু ষড়যন্ত্র কখনও প্রকাশ্য মিটিং করে হয় না;
অপরদিকে মেন্দি সাফাদির ভাষ্য মতে,
তার সাথে জয়ের মিটিং হয় গোপনে ওয়াশিংটনে।
তাও আবার জয় নিজেকে সরকারের প্রভাবশালী কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে ।
(৩) আসলাম চৌধুরী যদি সরকার উৎখাতের কোন ষড়যন্ত্র করেন,
জয় তাহলে কোন ষড়যন্ত্র করেছিলেন?
তবে কি এই ষড়যন্ত্রটা ইহুদিদের নীল নকশা বাস্তবায়নের ছিল?
(৪) আসলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লোকজন বিএনপি-জামাতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য নিজেদের অজান্তেই প্রধানমন্ত্রীর পুত্রকে বলি দিয়ে যাচ্ছে।
শফিক রেহমান আর মাহমুদুর রহমানকে ঘায়েলে তথাকথিত 'জয়-হত্যা ষড়যন্ত্রের মামলা' করতে গিয়ে জয়ের একাউন্টের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের তথ্য জাতির কাছে উম্মোচন করে দিলো আওয়ামী নির্বোধরা!
ঠিক একইভাবে মেন্দি সাফাদির সাথে আসলাম চৌধুরীর সাক্ষাতকে রাষ্ট্রদ্রোহীতা প্রমান করে
তারও দুই মাস আগে মেন্দি সাফাদির সাথে জয়ের বৈঠকের মাধ্যমে জয়কেও তারা আজ রাষ্ট্রদ্রোহী প্রমান করে দিলো!
(৫) আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার প্রমান শুধু একটি ছবি,
আর জয়ের প্রমান তো স্বয়ং মেন্দি সাফাদি নিজেই !
(৬) আওয়ামী লীগ ধর্মীয় জঙ্গি আর মৌলবাদী রাজনীতি নিয়ে খেলতে খেলতে
দেশকে আজ ইহুদি নাসারাদের লক্ষ্যবস্তুে পরিনত করে দিলো;
এই সর্বনাশী রাজনীতির আত্মঘাতি খেলা কি আওয়ামী লীগ, কি বিএনপি
- কারো জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না ।
(৭) আসলে দেশের মানুষ কিন্তু ঠিকই বুঝে -
ভারতে বসে আওয়ামী লীগকে উৎঘাতের ষড়যন্ত্র
আর ৩২ নম্বরে বসে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
- দুটাই সমান হাস্যকর !!
মন্তব্য করতে লগইন করুন