ইসলাম তথা দ্বীর প্রতিষ্ঠার আন্দোলন কারীদেরকে অনেক অনেক ত্যাগ ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২৯ মার্চ, ২০১৬, ০৫:১৩:১০ বিকাল

ইসলাম তথা দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন কারীদেরকে অনেক ত্যাগ ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। খিলাফত প্রতিষ্ঠা করে ইসলামের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রয়োজন সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার।

এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য ও কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা। সম্পদ, পরিবার ও প্রাণের মূল্যে পাড়ি দিতে হবে এই দুর্গম পথ। বিশ্বাসীরা এই পথ অতিক্রমের সময় নিদারুণ যন্ত্রণায় পতিত হবে আর এর মাধ্যমেই আমাদের প্রভূ আমাদের ভেতর থেকে ভালকে মন্দের কাছ থেকে পৃথক করে নিবেন।

আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) বলেন: “ঐ সব লোকরা কি ধারণা করেছে যে, আমরা ঈমান এনেছি একথা বললেই তারা অব্যাহতি পাবে, আর তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না? আর আমি তাদেরকে পরীক্ষা করেছিলাম যারা তাদের পূর্বে অতীত হয়েছে, সুতরাং আল্লাহ সেই লোকদেরকে জেনে নিবেন যারা সত্যবাদী ছিল এবং জেনে নিবেন মিথ্যাবাদীদেরও। সূরা আনকাবুত: ২-৩

নবী, রাসূল ও তাদেরকে যারা অনুসরণ করেছেন, তারা সবাই দুঃখ, কষ্ট ও সীমাহীন কাঠিন্য দ্বারা তীব্রভাবে পরীক্ষিত হয়েছেন। তারা যে অবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন আল্লাহ তায়ালা তা কুর’আনে এভাবে বর্ণনা করেছেন।

তোমরা কি মনে কর যে, (বিনা শ্রমে) জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ তোমাদের ক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটেনি যা তোমাদের পূর্ববর্তীদের ক্ষেত্রে ঘটেছে। তাদের উপর এমন এমন অভাব ও বিপদ-আপদ এসেছিল এবং তারা এমন প্রকম্পিত হয়েছিল যে, স্বয়ং রাসূল ও তাঁর মু’মিন সাথীরাও বলে উঠেছিল, আল্লাহ্’র সাহায্য কখন আসবে? স্মরণ রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহ’র সাহায্য নিকটেই। সূরা বাকারা : ২১৪

আল্লাহ্’র নিয়মই হচ্ছে যে দুঃখ, কষ্ট, সংকট ও কঠিন পরিস্থিতি অতিক্রম করার পূর্বে তিনি স্বস্তি ও বিজয় দেন না। কাজেই, যারা ইসলামের বাণী বহন করবে দুঃখ, কষ্ট, হতাশা, দারিদ্র, সীমাহীন কঠিন পরিস্থিতি ইত্যাদি তাদেরকে ঘিরে রাখবে এটাই স্বাভাবিক।

অত্যাচারী স্বৈরশাসকদের ষড়যন্ত্র, নির্যাতন ইত্যাদি যেন কিছুতেই বিশ্বাসীদেরকে এই পবিত্র কাজ থেকে বিরত না রাখে এবং তাদের প্রত্যয় ও প্রতিজ্ঞাকে দুর্বল না করে।

আল্লাহ্ আমাদেরকে জানাচ্ছেন যে, একটা চরম অসহায় অবস্থায় উপনীত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি তার রাসূলদের প্রতিও সাহায্য আর বিজয় পাঠাননি।

আল্লাহ তা’আলা বলেন, অবশেষে যখন রাসূলগণ নিরাশ হয়ে পড়লেন এবং তাদের ধারণা জন্মাল যে, আমাদের বুঝের ভুল হয়েছে, তখনই তাদের নিকট আমার সাহায্য এসে পৌঁছাল। সূরা ইউসুফ: ১১০

হযরত আদম (আঃ) থেকেই হক্ক ও বাতিলের, ইসলাম ও কুফরের যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে তা নিরন্তর সংগ্রামেরই ইতিহাস। প্রত্যেক নবী ও সত্যপন্থীরাই নিজ নিজ যুগে বিরুদ্ধ শক্তির সাথে কঠোর সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্যে দিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

বর্তমান যুগেও এর ব্যতিক্রম হবার কোন কারণ নেই। তাই ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন কারীদের এ পথে মরণপণ সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১২০৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

364040
২৯ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:১৫
সানজিদ হোসেন ইরাজ লিখেছেন : খুব ভাল লাগলো,,নিজের দৃষ্টিতে না দিয়ে কুরআনের দৃষ্টিতে দিলেন। আল্লাহ আমাদের কুরআন হাদীস ও ইসলামিক রুলস অনুযায়ী জীবন গড়ার তাওফিক দান করুক। #আমিন
২৯ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:২৩
301941
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আমাদের জাবতীয় কর্মকান্ড কুরআন হাদিস অনুযায়ী হওয়া উচিৎ ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ার এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
364043
২৯ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:২৪
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আমাদের জাবতীয় কর্মকান্ড কুরআন হাদিস অনুযায়ী হওয়া উচিৎ
364049
২৯ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৯ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪৯
301947
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভালো লাগার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
364054
২৯ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪৪
শেখের পোলা লিখেছেন : ইনশা আল্লাহ৷ আমরা সদা প্রস্তুত৷
২৯ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫৩
301951
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সকলকে সদা প্রস্তুত রাখুন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
364062
২৯ মার্চ ২০১৬ রাত ০৮:৩৩
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File