বাংলাদেশকে নিয়ে আর কত সড়যন্ত্র করা হবে.? সংখ্যালঘুদের উপর হামলার চাপ সামাল দিতেই সরকার ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ তুলে দিচ্ছে।
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২৭ মার্চ, ২০১৬, ০৫:৫৭:৪৯ বিকাল
বাংলাদেশকে নিয়ে আর কত সড়যন্ত্র করা হবে এবং আমরা এই সড়যন্ত্র আরো কতদিন সয্য করতে হবে..? সংখ্যালঘুদের উপর হামলার চাপ সামাল দিতেই সরকার ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ তুলে দিচ্ছে।
কয়েক দিন আগে কুড়িগ্রামে হোসেন আলী (৬৫) নামক এক ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানকে খুন করা হলো। পত্রিকাগুলো হেডিংয়ে বারবার ‘ধর্মান্তরিত’ শব্দ লাগিয়ে খবরটি প্রচার করছে, যেন ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণেই নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এখন বিষয়টি হলো ঐ ব্যক্তিটি ধর্মান্তরিত হয়েছে আজকে কালকে নয়, সেই ১৯৯৯ সালে। এই ২০১৬ সালে এসে কয়জন লোক ১৯৯৯ সালের ঘটনা মনে রাখতে পারে? আজকে যারা ফেসবুক চালায়, তাদের অনেকেরই হয়তো তখনও জন্মও হয়নি।
সাধারণ লোকের পক্ষে এসব তথ্য কোনভাবেই যোগাড় করা সম্ভব নয়, কিন্তু বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষে তা সম্ভব। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোতে কোন কোন ধর্মান্তরিত কিংবা বিদেশী ব্যক্তি বাস করেন।
সেটা চিহ্নিত করে তাদেরকে হত্যা করতে পারলেই সরকারকে চাপে ফেলা যাবে। তখন সরকারও বাধ্য হবে দেশ থেকে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ তুলে দিতেই হবে। একে তো নাচের মেয়ে তার উপর আরো ঢোলের বাড়ি।
অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করতে চাইবে না, কিন্তু এটি আমাদের কথা নয়। এটি ভারতের পত্রিকা ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র মন্তব্য।
সেখানে বলা হয়েছে যে, Bangladesh may drop Islam as country's official religion following attacks on minorities অর্থাৎ সংখ্যালঘুদের উপর হামলার চাপ সামাল দিতেই সরকার ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ তুলে দিচ্ছে। (http://goo.gl/gptNN1)
এখন ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বাতিল কারা চায়? সোজা উত্তর, ভারত ও এদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা। অর্থাৎ কোন সন্দেহ নেই যে, পঞ্চগড়ে হিন্দু পুরোহিত, কুড়িগ্রামে ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান এদের হত্যার কাজটি হিন্দুরাই করেছে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের লক্ষ্যে্।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ই এসব কাজ করেছে। লক্ষ্য করার মতো বিষয় হলো, কুড়িগ্রাম কিংবা পঞ্চগড় এগুলো একদম ভারতের পাশ্ববর্তী সীমান্তবর্তী অঞ্চল।
এসব অঞ্চলে ভারত থেকে অহরহ লোকজন পায়ে হেঁটে যাওয়া-আসা করে। সুতরাং এটা খুবই সম্ভব যে, ভারত থেকে সরাসরি ‘র’ এর কিলার এসে নির্দিষ্ট টার্গেটকে হত্যা করে ফের ভারতে চলে গিয়েছে।
কুমিল্লায় সম্প্রতি তনু হত্যার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। কুমিল্লা থেকে সরাসরি বর্ডার ক্রস করে ভারতের ত্রিপুরায় প্রায়ই লোকজন আসা-যাওয়া করে থাকে।
এখানেও ‘র’ এর বিশেষায়িত কিলার স্কোয়াড দিয়ে কাজটি করা হয়েছে। তনু হত্যার কাজটি করা হয়েছে মূলত ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ তুলে নেয়া, ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা চুরি প্রভৃতি ইস্যু থেকে পাবলিকের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে।
কারণ দেখুন, তনু হত্যার ইসুটিও একই সুত্রের এখন আমাদের গরবের ধন সেনা বাহিনিকে দূর্বল করার জন্য এই সব ইসু তৈরী করা হচ্ছে ।
বিষয়: বিবিধ
১২৫৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশ, সুতরাং এই দেশে ইসলাম ধর্ম করবে প্রসার লাভ করবে আর ইসলাম ধর্ম প্রাধান্য পাবে, এটা হবে গণতান্ত্রিক সাম্যতা। আর দেশের অমুসলমানরা শান্তিতে বাস করবে এটা হবে ইসলামী সাম্যতা। এই সাম্যতা ভেংগে গেলে অশুভ-অশান্তি ছাড়া আর কিছুই জয়ী হবে না।
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন