প্রায় ২৮ বছর পরে কেন রিট আবেদনটি নতুন করে পুনরোজ্জীবিত করা হলো..? কাকে খুশী করার জন্য তা করা হলো..? ৯০% মুসলমানের কোন মূল্য নেই..??
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২৩ মার্চ, ২০১৬, ০৩:৩৬:৫৪ দুপুর
আজ থেকে প্রায় ২৮ বছর আগে ১৫ জন্য ব্যক্তি বাংলাদেশে সুপ্রীম কোর্টে রিট আবেদন করেছিলো, যেই রিট আবেদনটি ফের নতুন করে পুনরোজ্জীবিত করা হয়েছে। এই ১৫ ব্যক্তির মধ্যে ১০ জনই ইতিমধ্যে মারা গেছে, জীবিত আছে মাত্র ৫ জন।
প্রায় ২৮ বছর পরে কেন রিট আবেদনটি নতুন করে পুনরোজ্জীবিত করা হলো..? কাকে খুশী করার জন্য তা করা হলো..? ৯০% মুসলমানের কোন মূল্য নেই..?
যে ১৫ জন্য ব্যক্তি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে রিট আবেদনটি করেছিলো, সেই রিট আবেদনটি কারা করেছিলেন এবং তারাকি বাংলাদেশের খুব বেশী দেশ প্রেমিক ছিলো..? না ভারতের পাঁচাটা গোলাম ছিল..?
রিট আবেদনকারীরা হলো- ভারতের পাঁচাটা গোলাম
১। বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন: ভারতের জাতীয় কবি রবীন্দ্রের পূজারী। জন্ম ভারতের কলকাতায়। হিন্দুদের আক্রমনের মুখে দেশভাগের পর বাংলাদেশ চলে আসে।
রবীন্দ্রকে নিয়ে লেখার কারণে তাকে ১৯৯৮ সালে ভারতের আনন্দ পুরষ্কার দেয়। বিচারপতি কামালউদ্দিন ২০১৩ সালে মারা যায়।
২। বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য: উগ্র সাম্প্রদায়িক হিন্দু। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ওপৃষ্ঠপোষক।
ঢাকাস্থ রামকৃষ্ণ মিশনের সভাপতি, নোয়াখালী গান্ধী আশ্রমের সভাপতি এবং চট্টগ্রামের প্রবর্তক সংঘের সভাপতি। ২০০৪ সালে মারা যায়।
৩। কবি সুফিয়া কামাল: কট্টর রবীন্দ্রপূজারী। সুলতানা কামাল চক্রবর্তীর মা। সুফিয়া কামালের কুখ্যাত উক্তি- রবীন্দ্র সংগীত আমার কাছে ইবাদতের সমতুল্য। ১৯৯৯ সালে মারা যায়।
৪। বিচারপতি কে এম সোবহান: নাস্তিক ও হিন্দুত্ববাদীদের সাথে বন্ধুত্বের পক্ষে। বাংলাদেশ সোভিয়েত মৈত্রী সমিতি’ এবং ‘বাংলাদেশ ভারত সম্প্রীতি পরিষদের সভাপতি । ২০০৭ সালে মারা যায়।
৫। অধ্যাপক খান সরওয়ার মুর্শিদ: গোড়া রবীন্দ্রপূজারী। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালনে নেতৃত্ব দেয়। রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক। ২০১২ সালে মারা যায়।
৬। ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ: ভারতীয়। দেশভাগের সময় হিন্দুদের মার খেয়ে বাংলাদেশে আসে। বামপন্থী, ছাত্রজীবনে হিন্দুয়ানী ব্রতচারি আন্দোলন করতো। ২০০৩ সালে মারা যায়।
৭। অধ্যাপক কবীর চৌধুরী : রবীন্দ্রপূজারী, নাস্তিক এবং চরম ইসলাম বিদ্বেষী। বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থাক সেক্যুলারিজমের নাম দিয়ে হিন্দুয়ানী করার পেছনে শতভাগ অবদান কবির চৌধুরীর।
৮। শিল্পী কলিম শরাফী: রবীন্দ্রপূজারী ও রবীন্দ্র সংগীত গায়ক। ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি এবং গান্ধীর 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনে যুক্ত ছিলো।
দেশভাগের পর হিন্দুদের ভয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ চলে আসে। বাংলাদেশে ভারতের জাতীয় কবি রবীন্দ্রের প্রচার-প্রসারে সে অগ্রগন্য। ২০১০ সালে মারা যায়।
৯। সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ; ফয়েজ আহমদ সারা জীবন নাস্তিক্যবাদী মতাদর্শ সমাজতন্ত্রের পতাকা বহন করেছে। সমাজতান্ত্রিক দর্শন সমাজে ছড়িয়ে দিতে আর্কাইভের মত প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলো সে। কমিউনিস্ট পার্টি করতো। ২০১২ সালে মারা যায়।
১০। অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন : মৃত এই ১০ জন নাস্তিক হারামজাদারা মুসলমান হিসাবে মারা যায়নি অর্থাৎ কাফের হয়েই মরেছে। আর ভারত থেকে হিন্দুদের ভয়ে বিতাড়িত হলেও ভারত প্রীতি ছাড়েনি।
১১। সি আর দত্ত : উগ্র হিন্দু। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা। ২৩শে জুন ইসলামকে রা্ষ্ট্রধর্ম করায় সে ঐ দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে উদযাপন করে। এই হারামজাদা বাংলাদেশে থেকেও দেশের কল্যাণে কানো কাজ করেনি শুধূ দেশের ক্ষতি করেই চলেছে। জীবিত।
১২। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী : কুখ্যাত মার্কসবাদী নাস্তিক।এই হারামজাদাও বাংলাদেশে থেকেও দেশের কল্যাণে কাজ করেনি ভারত প্রীতি ছাড়েনি জীবিত।
১৩। রাজনৈতিক-কলামনিস্ট বদরুদ্দীন উমর : ভারতে জন্ম। দেশবিভাগের সময় হিন্দুদের মার খেয়ে জমিজমা ফেলে বাংলাদেশে আসে। কুখ্যাত মার্কসবাদী নাস্তিক নেতা।ভারত থেকে হিন্দুদের ভয়ে বিতাড়িত হলেও ভারত প্রীতি ছাড়েনি জীবিত।
১৪। অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর : বামপন্থী নাস্তিক।এই হারামজাদা বাংলাদেশে থেকেও দেশের কল্যাণে কানো কাজ করেনি শুধূ দেশের ক্ষতি করেই চলেছে। জীবিত।
১৫। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান : ভারতে জন্ম। দেশভাগের সময় হিন্দুদের মার খেয়ে বাংলাদেশে আসে। তবে বাংলাদেশে এসে বলতে শুরু করে বাংলাদেশের মুসলিমরা নাকি আগে সব হিন্দু ছিলো। কিছুদিন আগে সে এক অনুষ্ঠানে ধর্মকে কটাক্ষ করার রাষ্ট্রীয় অধিকার চায়। জীবিত।
মাত্র ১৫টা রবীন্দ্রপূজারী, বামপন্থী নাস্তিক ও উগ্র হিন্দুত্ববাদীর কারণে কিভাবে ১৬ কোটি মুসলমানের প্রাণের ধর্ম অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। মূলত সরকার এই বামপন্থী ও নাস্তিকদেরকে ক্ষমতা দেওয়ার কারণে তারা আবার মাথাচারা দিয়ে উঠছে।
সরকারের মদদে তারা আবারও দেশে সাম্প্রদায়িকতা উসকানি দিচ্ছে। আসুন এখন আর আমরা ঘরের কোনে বসে না থেকে এর প্রতিবাদ করি।
আগামী ২৭শে মার্চ যদি সরকার নাস্তিকদের পক্ষ নিয়ে ইসলামের বিপক্ষে নেয় তাহলে মনে রাখবেন এটাই হবে আওয়ামীলীগ সরকারের শেষ ফায়সালা।
সেইদিন লক্ষ লক্ষ তাওহিদী জনতা রাস্তায় নেমে আসবে যা সরকারের পালীত কুত্তা বাহিনীর পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৮৮০ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
গুরুত্বপূর্ণ লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন