কোন সাহাবীর দোষ বর্ননা করাতো দূরের কথা একজন সাধারণ মুসলমানের দোষ বর্ননা করাও আমার নিকট বড় গুনাহ।

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১৩ মার্চ, ২০১৬, ০২:৪১:৪২ দুপুর

কোন সাহাবীর দোষ বর্ননা করাতো দূরের কথা একজন সাধারণ মুসলমানের দোষ বর্ননা করাও আমার নিকট বড় গুনাহ। সৈয়দ আবুল আলা মওদূদী রাহিমাহুল্লাহ।

আমরা ছাত্র জীবনে এই লোকটির বহু কথা শুনেছি কিন্তু সত্যকিনা তা জাছাই করে দেখিনাই এবং শুনা মিথ্যা কথার উপর কতইনা মন্তব্য করেছি। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছের একজন মানুষকে মিথ্যবাদি হওয়ার জন্য এটাই যাতষ্ট যে শুনা কথার উপর বিস্বাস করবে।

সৈয়দ আবুল আলা মওদুদী (রঃ) কে?

পাকিস্তানীরা তাকে বলে আরবী লেভেলের অনেক

উচু মানের এক জন বড় আলেম। সউদীরা তাকে বলে শায়েখ। ইন্দোনেশিয়া তে তাকে উস্তাদ ছাড়া ডাকা হয় না।

আপনারা যারা মাদানী তারা হয়তবা জানেন না যে,

মউদুদী ছিলেন মদীনা ইউনিভারসিটির একজন প্রতিষ্ঠাতা। বেশির ভাগ প্রস্তাবনা ছিল তার। এবং

উনি ছিলেন Muslim World League (রাবিতা আল আলাম আল ইসলামি) এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।

উনি ইসলামিক ইউনিভারসিটি অব মদীনার শরীয়া ডিপার্টমেন্ট এর দায়িত্তেও ছিলেন। উনার জানাযার নামাজ পড়িয়েছিলেন এখন ও তখনকার সময়ের মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে নন্দিত আলেম ইউসুফ আল কারজাবী।

বাদশাহ নাজ্জাশির পর কা'বার চত্তরে উনার জানাযার নামাজ পড়া হয়েছে।উনি মনে হয় এই দুনিয়ার একমাত্র আলেম যিনি সাহস করে নিজের লিখা কুরাআন শরীফের তাফসির একটি মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশ করেছেন।এইটা কিন্তু খুব সাহসী কাজ।

উনি তাবলীগ জামাতের প্রশংসা করতেন উনার লিখনীতে। উনার লেখা বই প্রায় ৫৭ টি ভাষাতে অনুদিত হয়েছে! তিনি একটা দল প্রতিষ্ঠা করেছেন যেটা মনে হয় একমাত্র দল, যারা কোনো ইসলামি

দলের ও দলের দায়ীত্বশীলদের বিরুদ্ধে কথা বলার কোন প্রমান নাই।

পাকিস্তানে,জামায়াত ইসলামি কে তাদের দেশের সৈনিকদের পর সবচেয়ে শৃঙ্খলাবদ্ধ দল বলা হয়।

সৈয়দ আবুল আলা মউদুদী ছিলেন কাদিয়ানিদের

বিরুদ্ধে সোচ্চার। তিনিই প্রথম তাদের বিরুদ্ধে লিখেছেন।

সে জন্য একবার সৈয়দ আবুল আলা মওদূদীর ফাসির রায়ও দেওয়া হয়েছিল। তার লেখনি

পাকিস্তান ভাগকে করেছিল তরান্নিত। তিনি আজীবন

ইসলামি হুকুমত কায়েমের চেষ্টা করেছেন। গিয়েছেন ফাসির প্রকষ্টেও।

তবুও হার মানেন নাই। উনিই মনে হয় দক্ষিন এশিয়ার

প্রথম রাজনিতিবীদ যিনি দলের প্রধানের পদ থেকে সেচ্চায় অবসর নিয়েছিলেন।উনি ছিলেন দলের লোকদের জন্য নিবেদিত।

একবার মঞ্চে বক্তব্য প্রদানরত অবস্থায় তাকে লক্ষ করে গুলি চলানো হচ্ছিল- এসময় তিনি বলেছিলেন

"আমি বসে পরলে দাড়িয়ে থাকবে কে?"।

তিনি ইসলামি অর্থনীতি সম্পর্কে দিয়েছেন খুব পরিষ্কার ধারনা।তিনি মনে হয় একমাত্র লোক যিনি

তার দল কে শিখাতে পেরেছিলেন যে মুসলমানদের

আদর্শ শুধু মাত্র রাসুল(সাঃ)

যেকারনে জামায়াতে ইসলামির প্রতিষ্ঠাতা হওয়া

সত্তেও তার কোন জন্ম বা মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয় না!

তারপরেও আপনারা কি সৈয়দ আবুল আলা মওদূদী রাহিমাহুল্লাহ কে মিথ্যা অপবাদ দিবেন..?

বিষয়: বিবিধ

১৪৯১ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

362332
১৩ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৪:০৬
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : তাঁর সমালোচকরা বেশিরভাগই শুনে সমালোচনা করে। আকাবীর এর কথা শুনেই মওদূদীর (রহঃ) এর বিরুদ্ধে ফতওয়াবাজি করেন।
১৩ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৪:৩৬
300256
কুয়েত থেকে লিখেছেন : খুবই মূল্যবান মন্তব্য করেছেন। আসলে তাহার বিরুধীরা হলো দান্দাবাজ সার্থের জন্যই বিরুদীতা করেন। আবার ানেকে আছে আমার হুজুর বিরুধিতা করে বলেই আমিও তাই করি আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন। ধন্যবাদ আপনাকে
362354
১৩ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০৯
আফরা লিখেছেন : কিছু হিংসুক মানুষেরা যখন কারো সাথে জ্ঞানে গুনে কুলিয়ে উঠতে পারে না তখন কি করে -----তখন তার বিরুদ্ধে গীবত আর অপপ্রচার শুরু করে ।

ধন্যবাদ ।
১৩ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:২০
300272
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনার অনেক মূল্যবান মন্তব্যটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা কোন কথা শুনলেই জাছাই না করেই বিশ্বাস করে তার উপর মন্তব্য করে আরো গুনাহ গার হয়ে থাকি।
১৪ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০২:৩৪
300340
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনার অনেক মূল্যবান মন্তব্যটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা কোন কথা শুনলেই জাছাই না করেই বিশ্বাস করে তার উপর মন্তব্য করে আরো গুনাহ গার হয়ে থাকি।
362387
১৩ মার্চ ২০১৬ রাত ১০:৫৪
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : পড়ে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ
১৪ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০২:৪০
300341
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য
362615
১৬ মার্চ ২০১৬ সকাল ১১:১১
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : যাঝাক আল্লাহ খাইরান। অনেক কিছু জানতে পাতলাম।
১৬ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:১৬
300536
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ধন্যবাদ পড়ার জন্য ভালো থাকুন
362813
১৮ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০১:৫৭
সালাম আজাদী লিখেছেন :
আপনারা যারা মাদানী তারা হয়তবা জানেন না যে,মউদুদী ছিলেন মদীনা ইউনিভারসিটির একজন প্রতিষ্ঠাতা। বেশির ভাগ প্রস্তাবনা ছিল তার। এবং


উনি ইসলামিক ইউনিভারসিটি অব মদীনার শরীয়া ডিপার্টমেন্ট এর দায়িত্তেও ছিলেন।

বাদশাহ নাজ্জাশির পর কা'বার চত্তরে উনার জানাযার নামাজ পড়া হয়েছে।

উনি মনে হয় এই দুনিয়ার একমাত্র আলেম যিনি সাহস করে নিজের লিখা কুরাআন শরীফের তাফসির একটি মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশ করেছেন।এইটা কিন্তু খুব সাহসী কাজ।


এই তথ্য গুলো ঠিক নয়।
২০ মার্চ ২০১৬ রাত ১২:০৪
300871
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনার মন্তব্যটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
362841
১৮ মার্চ ২০১৬ রাত ০৯:৪৪
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২০ মার্চ ২০১৬ রাত ১২:০৫
300872
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভালো লাগার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File