বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে নেতৃত্বে আসুক, মুহাম্মাদ বিন সালমান আল সৌদ সময়ের আলোচিত একটি নাম, তিনি সৌদি আরবের যুবরাজ।
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৪:১২:০৮ বিকাল
প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমান আল সৌদ সময়ের আলোচিত একটি নাম। তিনি সৌদি আরবের যুবরাজ।
তার জন্মের পর তার পিতা কিং সালমান বিন আব্দুল আজিজ (যিনি বর্তমান সৌদি বাদশাহ )
অনেক আবেগ আর ভালবাসা নিয়ে পুত্রের নাম নবী (সাঃ) এর নামের সাথে মিল রেখে "মুহাম্মাদ" রেখেছেন। বাদশাহ সালমান নিজেও একজন হাফেজে কোরআন।
নিজের সন্তানকেও দ্বীনী পড়া লেখা করিয়েছেন ।
প্রিন্স মুহাম্মাদের পাশ্চত্যর কোন সার্টিফিকেট নেই, তিনি কাবা শরীফের ইমাম সাহেবদের নিকট পড়া লেখা করেছেন ।
ছোট বেলা থেকেই তিনি দেশ জাতী ও বিশ্ব মুসলীম উম্মাহ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতেন।বর্তমানে তিনিই সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে আছেন
এবং তিনি বাদশাহ সালমানের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ও নিয়োজিত আছেন। তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই সৌদি আরবের ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা পূণরুদ্ধারে অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
এরই ধারাবাহিকতায় ইখওয়ানুল মুসলিমীন, ফিলিস্তিন মুক্তি সংগঠন হামাস, তুরস্কের আশাজাগানো নেতা ও মুসলীম উম্মাহর গর্ব প্রেসিডেন্ট এরদোগান সহ বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দের সাথে সম্পর্ক জোরদার করা হয়েছে।
এবং হামাস প্রধান খালেদ মাশআল সহ সংগ্রামী ব্যক্তিদের সাথে গুরুত্বপুর্ণ বৈঠক করা হয়। আর এ সকল মতবিনিময় ও বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রিন্স মুহাম্মাদ। তিনি আরবীয় খান্দানে এক ভীন্ন চিন্তার মানব হিসাবে খ্যাত।
তার সর্বদা একটাই চিন্তা, তা হল বিশ্ব মুসলীমের হারানো গৌরব ফের আদায় করা। বর্তমান বাদশাহর আমলে সৌদী নীতিতে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে আর এ সব কিছুই সাধিত হয়েছে যুবরাজ মুহাম্মাদের পরামর্শে।
কারন, তার চেতনা একেবারেই স্বচ্ছ। হারাম শরীফের ইমাম সাহেবগন ছোটবেলা থেকে তাকে আপোষ হীনতার শিক্ষাই দিয়েছেন। তিনিই সৌদি আরবের শত্রু মিত্র নির্ধারন করে দিয়েছেন।
বর্তমান সৌদি জনগন আশার প্রহর গুনছেন, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যত নেতৃত্ব হিসেবে সৌদীর বুকে আশার প্রদীপ জ্বালাবেন যুবরাজ 'মুহাম্মাদ'।
তার পরামর্শেই ইরানী হিংসুক শিয়াদের হাত থেকে ইয়ামানকে বাঁচানোর জন্য বাধ্য হয়ে ইয়ামানে বিমান হামলা করে সৌদী ।
তারই উদ্যোগেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৩৪টি মুসলিম প্রধান দেশ নিয়ে একটি নতুন সামরিক জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। যার কার্যক্রম সৌদি রাজধানী রিয়াদ থেকেই জোট বাহিনীর কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এই জোট ইরাক, সিরিয়া, মিশর আর আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী ও চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। ইসলামিক দেশগুলো সন্ত্রাসবাদ (চরমপন্থা) সঙ্গে লড়ছে, যা এসব দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন করছে।
এখন প্রতিটি দেশ আলাদা ভাবে এর সঙ্গে লড়ছে। কিন্তু এই জোটের মাধ্যমে দেশগুলো একত্রে লড়াই করবে। জোটের ৩৪টি দেশের তালিকা
সৌদি আরব, বাহরাইন, বাংলাদেশ, বেনিন, চাদ, কোমোরোস, আইভরি কোস্ট, জিবুতি, মিশর, গ্যাবন, গায়েনা, জর্ডান, কুয়েত,লেবানন, লিবিয়া,মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মরক্কো, মৌরিতানিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিস্তান,কাতার, সেনেগাল, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, সুদান,টোগো, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন।
( বাংলাদেশ এইজোটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় একজন বাংলাদেশী হিসেবে এই প্রথম বাংলাদেশ নিয়ে আমি গর্ব বোধ করছি, এবং আল্লাহ যেন মুসলিমদের এই জোটের শক্তি বৃদ্ধি করে দেন, আমিন! )
এরই ধারাাবাহিকতায় সৌদিআরবের উত্তরাঞ্চলে প্রায় ২০টি দেশের সৈন্যদল একত্রিত হয়েছে! সিরিয়ার মজলুম নারী পুরুষ শিশু কে খুনী আসাদ বাহিনীর হাত থেকে উদ্ধারে নীজেই সামরিক মহড়া তদারকী করছেন মুহাম্মদ বিন সালমান।
এটিকে এই অঞ্চলে এযাবতকালের "সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ " সামরিক কৌশল হিসেবে অভিহিত করেছে সৌদি প্রেস এজেন্সি।
"উত্তরের বজ্রধ্বনি" নামক এই সামরিক মহড়ায় যৌথভাবে অংশ নিয়েছে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী ।
মহড়াটিকে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সৌদিআরব ও এর সহযোগী দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ শক্তির "স্পষ্টবার্তা" হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে সৌদি নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোট ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
সৌদীতে এরকম সাহসী ও সংগ্রামী ব্যাক্তির অস্তিত্বের জন্যই শীয়াগোষ্ঠী ও ইহুদীরা সবচে আতঙ্কে আছে প্রিন্স মুহাম্মাদকে নিয়ে।
তাই তাকে ফাসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করে মিনা ট্রাজেডী ঘটানো হয়। এবং যুবরাজের ইমেজ ধ্বংসের অপচেষ্টা করা হয় ।
আজ সৌদী মিডিয়া এঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। এবং ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রকারী ইরানীদের হুশিয়ারী জানানো হয়েছে। এবং আরো জানা গেছে, সৌদি সরকার ঘটনার তদন্ত করতে বজ্রকঠিন শপথ নিয়েছেন ।
এবং শত শত সিসি ক্যামেরার চূলচেরা বিশ্লেষণ চলছে ।অপরাধীদের কড়া শিক্ষা দেয়া হবে ।
শীর্ষ নিউজ জানিয়েছে, হাজীদের মৃত্যুর ঘটনাটি একটি ষড়যন্ত্র।
মুসলীম উম্মাহর হৃদস্পন্দন মক্কাকে কলুষিত করতেই এই অপচেষ্টা করা হয়েছে। ভবিষ্যত সৌদীর শক্তীশালী নেতৃত্বের অবসান ঘটানোর জন্যই একাজ করেছে শত্রুরা ।
জানা গেছে, সৌদী আরব শুধু মাত্র হাজীদের সম্মানে হজের সময় যে নিরাপত্তা বেষ্টনী ও ব্যবস্হাপনা করে থাকে,তা দিয়ে ৫০ টি ফুটবল বিশ্বকাপ একবারেই আয়োজন করা যাবে অনায়াসেই।
এত নিরাপত্তার পর ও এই অনাকাঙ্খি ত ঘটনা রহস্যময় ইতিহাস হয়েই থাকবে । বিশ্ব জনমত সে কথাই বলে ।
এরপর ও সৌদী আরবকে কলঙ্কিত করতে ও মুসলীম বিশ্বের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরাতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আর এতে নাটের গুরু হিসেবে কাজ করছে ইহুদী, খৃষ্টানদের সাথে হাত মিলানো শীয়াগোষ্ঠী ।
আমরা আশাবাদী, সৌদীর আগামী তরুন প্রজন্ম ও নব্য তুর্কীরা ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল ষড়যন্ত্রকে ধুলিৎসাত করে দিবে ইনশাআল্লাহ ।
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও গোয়েন্দা রিপোর্টে আশা করা যায়, নতুন আরেকটি ইসলামী বিপ্লবের অপেক্ষায় দুনিয়া। আর সেটা হয়তো আসবে আরবের ভূমি থেকেই। যার সহযোগী থাকবে নব্য তরুন তুর্কীরা ।
যার সমর্থনে থাকবে হাজার মাইল দূরে, বিশ্বের প্রান্তে প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আমাদের মত নবী প্রেমিক ঈমানদ্বীপ্ত তৌহিদী ছাত্র জনতা ।
আর সেই আন্দোলনে ইসলামী দুনিয়ার নেতৃত্ব চলে যেতে পারে আজকের যুবরাজ মুহাম্মাদ এর হাতে । তার চেহারার গভীর ছাপ সে কথারই প্রতিনিধিত্ব করে
তার চেহারার মাঝে লুকিয়ে আছে বিজয়ের অভিপ্রায়।
ইনশাহআল্লাহ ।
যুবরাজ মুহাম্মাদের নেতৃত্বেই আসতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে অন্যধরনের এক পরিবর্তন । যা হয়তো পাশ্চত্য দুনিয়াকে নাড়িয়ে দিবে বিভিন্ন ঐতিহাসিক পরিসংখান সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে আমাদের ।
সেই আশার আলোর সোনালী প্রভাতের অপেক্ষায়....
বিষয়: বিবিধ
২০৪২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন