মুসলিমদেশ এবং ঈমানের দাবীদার কোন মুসলিম অন্য জাতির সাংস্কৃতি গ্রহন করতেই পারেনা। সামনে আসছে ১৪ই ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা বেহায়াপনা দিবস।

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৬:০৬:৪০ সন্ধ্যা

আমাদের কাছে তথা মুসলমানের কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত দিবস হওয়া উচিৎ ১৪ই ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবসটি, আসলে এটা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস নয়, এটা বিশ্ব বেহায়াপনা দিবস।

মুসলিমদেশ এবং ঈমানের দাবীদার কোন মুসলিম অন্য জাতির সাংস্কৃতি গ্রহন করতেই পারেনা। সামনে আসছে ১৪ই ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা তথা বিশ্ব বেহায়াপনা দিবস।

অনেকে এখন থেকেই প্লান করে রাখছেন ওই দিনে কি কি করা যায়। প্রিয় মুসলিম ভাইও বোনেরা এই দুনিয়ায় আমরা আছি কিছু দিনের জন্য ১৪ই ফেব্রুয়ারী কেন আল্লাহ পাক আমাদের জন্য প্রতিদিন ভালো ভাসার প্রিয় জনদের।

১৪ই ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে নানান ধরনের প্লান না করে একটু পরকালের,কবরের চিন্তা করি,মসজিদে চলুন, হয়ত মসজিদের দিকে বাড়ানো কয়েক পা আপনার অন্ধকার কবরকে একটু আলোকিত করবে।

ভ্যালেন্টাইন বা বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালনের ক্ষতিকর কিছু দিক। (ক) ভ্যলেন্টাইন শব্দটির সাথে এক চরিত্রহীন লম্পটের স্মৃতি জড়িয়ে যারা ভালবাসার জয়গান গেয়ে চলেছেন, পৃথিবীবাসীকে তারা সোনার পেয়ালায় করে নীল বিষ পান করিয়ে বেড়াচ্ছেন।

(খ) তরুণ-তরুণীদের সস্তা যৌন আবেগকে সুড়সুড়ি দিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও ফাসাদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অথচ আল্লাহ তা‘আলা ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের ভালবাসেন না।

(গ) নৈতিক অবক্ষয় দাবানলের মত ছড়িয়ে যাচ্ছে। (৪) নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি লাভ করছে। যারা ঈমানদারদের সমাজে এ ধরণের অশ্লীলতার বিস্তার ঘটায়, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের জন্য আল্লাহ তা‘আলা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছেন।

আল্লাহ তা‘আলা বললেন: ‘‘যারা মু’মিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। বস্তুত যে সমাজেই চরিত্র- হীনতার কাজ ব্যাপক, তথায় আল্লাহর নিকট থেকে কঠিন আযাব সমূহ ক্রমাগত অবতীর্ণ।

যে জনগোষ্ঠীর মধ্যে নির্লজ্জতা প্রকাশমান, পরে তারা তারই ব্যাপক প্রচারেরও ব্যবস্থা করে, যার অনিবার্য পরিণতি স্বরূপ মহামারি, সংক্রামক রোগ এবং ক্ষুধা- দুর্ভিক্ষ এত প্রকট হয়ে দেখা দিবে, যা তাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে কখনই দেখা যায় নি।

(ঙ)তরুণ-তরুণীরা বিবাহ পূর্ব দৈহিক সম্পর্ক গড়তে কোন রকম কুণ্ঠাবোধ করছে না। (চ) শরীরে উল্কি আঁকাতে যেয়ে নিজের ইয্যত-আব্রু পরপুরুষকে দেখানো হয়। যা প্রকাশ্য কবিরা গুনাহ। যে ব্যক্তি উল্কি আঁকে এবং যার গায়ে তা আঁকা হয়, উভয়য়ের উপরই আল্লাহর লা‘নত বর্ষিত হয়।

যে ব্যক্তি পর-চুলা লাগায় এবং যাকে লাগায়; এবং যে ব্যক্তি উল্কি আঁকে এবং যার গায়ে আঁকে, আল্লাহ তাদেরকে অভিসম্পাত করেন।

(ছ) ভালবাসা দিবসের নামে নির্লজ্জতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে যিনা-ব্যভিচার, ধর্ষণ ও খুন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আল্লাহর গজব বিভিন্ন ভাবে আসতে পারে। অসৎ লোকের শাসনও আল্লাহর অন্যতম একটি গজবের মাধ্যম।

বিষয়: বিবিধ

১৬৮৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

359058
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:১৭
শেখের পোলা লিখেছেন : যুবক যুবতীরা এই একটা দিনের অপেক্ষায় থাকে৷ প্রাণখুলে বিনা বাধায় যৌনসূধা বিতরণের জন্য৷ আর প্রশাসন তাদের জন্য মঞ্ছ বানিয়ে নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়৷ হায়রে ৯০% মুসলীমের দেশ৷
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০২:২১
297788
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আমাদের পরিবারিক জীবনে ইসলামের প্রভাব বৃদ্ধির জন্য ব্যক্তিগত এবং সামষ্টিগত ভাবে প্রচেষ্টা না চলার কারনেই আমাদের মাঝে ইসলামী সাংস্কৃতির পরিবর্তে অন্যদের সাংস্কৃতির প্রভাব বিস্তার করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে
359068
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:১৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই দিবস ২৫-৩০ বছর আগে ইউরোপেও বিশেষ প্রচলিত ছিলনা। নতুন ব্যবসা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এই দিবস এর সৃষ্টি। আর আমরা করছি পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরন।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০২:৩৬
297792
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ওরা ওদের সার্থের জন্য কাজ করে আমরা বুঝিনা নিজেদের সার্থ। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File