ছাত্রলীগ সভাপতি মানেই অকৃতকার্য নেতা তিনি এবারও পাস করতে পারলেন না...টানা তিনবার ফেল করায় ছাত্রত্ব হারালেন..।

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৪:১৬:০১ বিকাল

ছাত্রলীগ সভাপতি মানেই অকৃতকার্য নেতা এবারও তিনি পাস করতে পারলেন না...টানা তিনবার ফেল করায় ছাত্রত্ব হারালেন..।এমন নেতারাই তো জাতীকে ডিজিটেল বানাবে

নেতা এবারও পাস করতে পারলেন না...

টানা তিনবার ফেল করায় ছাত্রত্ব হারালেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি

টানা তিনবার ফেল করায় ছাত্রত্ব হারালেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান শিশির।

রোববার চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। ফলাফলে তাকে নট প্রমোটেড (অকৃতকার্য) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

মেহেদী হাসান শিশির বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষের প্রথম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি প্রথমবার সেমিস্টার ড্রপ দিয়ে সর্বশেষ ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষা দেন। রোববার চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশ হয়।

নিয়ম অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীকে ছয় বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স শেষ করতে হয়। আজকের ফলাফল প্রকাশের মধ্য দিয়ে তার ছয় বছর শেষ হলো।

কিন্তু এবারও পাস করতে না পারায় তার ছাত্রত্ব আর থাকছে না বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বাংলামেইল২৪ডটকম

বিষয়: বিবিধ

১২২৩ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

358935
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:৩৬
হতভাগা লিখেছেন : বেগম রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ে কি ছেলেরাও পড়াশুনা করে ?

ছাত্রলীগের নেতাকে পাশ করাতে না পারার ব্যর্থতার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ই সিল করে দেওয়া উচিত।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫৭
297681
কুয়েত থেকে লিখেছেন : তাই হওয়া উচিৎ হয়তো বা তাই হবে, ডিজিটেল দেশে যা না হয় তাও হয়ে যায়। এখানে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে দেশ রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীরাও নিরুপায় অসোহায়ের ভূমিকা পালন করা ছাড়া কেউ কিছুই করতে পারবে না। ধন্যবাদ আপনাকে
358955
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:২৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যত ফেল ততই ভাল! কারন ততবড় মাস্তান হবে ছাত্রলিগ।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০২:৫৩
297755
কুয়েত থেকে লিখেছেন : মস্তানি করে সময় কাটায় লেখা পড়ার সময় কই..? ধন্যবাদ আপনাকে
358962
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:৪৯
শেখের পোলা লিখেছেন : কুচ পরওয়া নেই৷ তার জন্য যুবলীগে স্থান রয়েছে৷ ওদের চাকরী তথা আয় রোজগারে বিদ্যার প্রয়োজন পড়েনা৷
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০২:৫৭
297756
কুয়েত থেকে লিখেছেন : যেই কদু সেই লাউ। ওদের লেখাপড়া লাগেনা। কত শিক্ষক ওদের হাতে দোলাই খেয়েছে তার হিসাব কে রাখে? ধন্যবাদ আপনাকে
358980
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:২৮
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : কোন পাশটাশ করা লাগবে না যদি সে ছাত্রলীগ করে তবে এটাই তার বড় ছাটিফিকেট
ধন্যবাদ
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০৩:০১
297757
কুয়েত থেকে লিখেছেন : শেখ মুজিবেই ওদের সার্টিপিকেট দিয়ে গেছেন তিনি বলে ছিলেন মানুষ পায় বন্ধুর খনি তিনি পেয়েছেন চোরের খনি। এখন সে চোরেরা বড় বগ ডাকাতে পরিনত হয়ে দেশকে লুঠে খাচ্ছে। আপনাকে ধন্যবাদ
359137
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:২৫
কুয়েত থেকে লিখেছেন : বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা বিশেষ করে উচ্চ আদালতের বিচার, বিচারক নিয়োগ এবং প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচুর আলোচনা এবং সমালোচনার ঝড় বইছে। এত আলোচনা এবং সমালোচনা অতীতে আর কখনও দেখা যায়নি। কিছু দিন আগে বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, অবসরে যাওয়ার পর বিচারপতিদের রায় লেখা সংবিধান পরিপন্থী। প্রধান বিচারপতির এই উক্তির পর সেই উক্তির পক্ষে এবং বিপক্ষে প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচুর বক্তব্য এসেছে। জাতীয় সংসদের প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের বিপক্ষেই শুধু নয়, খোদ প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধেও একাধিক সংসদ সদস্য বক্তব্য দিয়েছেন এবং তাকে আক্রমণ করেছেন। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক টেলিভিশন টকশোতে বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তাই মন্তব্য করেছেন। প্রধান বিচারপতি সিনহাকে সাবেক বিচারপতি মানিক রীতিমতো বিএনপি-জামায়াত বানিয়ে ছেড়েছেন। রবিবারের একশ্রেণীর পত্রপত্রিকাতে দেখলাম, গত শনিবার রাতে যমুনা টেলিভিশনে অনুষ্ঠিত এক টকশোতে বিচারপতি মানিক প্রধান বিচারপতিকে আবার আক্রমণ করেছেন। গতকাল এ সম্পর্কে একটি জাতীয় দৈনিকে যে রিপোর্ট বেরিয়েছে তার অংশ বিশেষ নিম্নরূপ: অবসরের পর যেসব রায় লেখা বাকি ছিল, সেগুলোতে আর স্বাক্ষর করতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আমাকে স্বাক্ষর করতে না দেয়া হলে সেগুলো আইনের দৃষ্টিতে রায় হিসেবে গণ্য হবে না।’ শনিবার যমুনা টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ অভিযোগ করেন। গত বছরের ১ অক্টোবর অবসরে যান বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। অবসরে যাওয়ার পরপরই সব সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক এই বিচারপতি। রায় লেখার পর জমা দিতে গেলেও তা নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি। এ জন্য দু’দফা চিঠিও দেয়া হয়েছে। এসব অভিযোগ করে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, যেহেতু প্রধান বিচারপতি তাকে নির্দেশ দিয়েছেন, কোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রায় লিখতে পারবেন না সেই কারণেই আমার লেখা রায় গ্রহণ করতে তার অফিস অপারগতা প্রকাশ করেছে। অফিস থেকে বলা হয়েছে যে, যেহেতু এটা প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন এটা অমান্য করা কঠিন। অবসরের পর রায় গ্রহণ না করার বিষয়ে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াত তার বক্তব্যের পর রাজনীতির মাঠে ঝড় তুলতে সক্ষম হয়েছে। আরেকটি কথা বলি, এখন কিছু না করলেও নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত তার এ মন্তব্যকে নিয়ে এগোবে। আমার কাছে তথ্য আছে, তারা নির্বাচনের আগেভাগে এটা চ্যালেঞ্জ করে একটা রিট করে এ সরকারকে বেকায়দায় ফেলবে। এ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই প্রধান বিচারপতি সিনহা এসব কথা বলেছেন। আমি যে মামলাগুলোতে বিচারক ছিলাম সেগুলোতে আমি যদি সই না করি, সেই রায়গুলো তো রায় হবে না। এখন প্রধান বিচারপতি সিনহা যদি গায়ের জোরে পাঠিয়ে দেন এবং আমার স্বাক্ষর ছাড়াই রায় হিসেবে গণ্য করার আদেশ দেন তাহলে সেগুলো চ্যালেঞ্জ হবেই। তবে এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। উল্লেখ্য, অবসরে যাওয়ার সময় সাবেক এই বিচারপতির কাছে ১৯৬টি মামলা রায় লেখার অপেক্ষায় ছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে টিভি টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছেন যা বিচার বিভাগের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে বলে মন্তব্য বিশিষ্ট আইনজীবীদের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ খুবই বিস্মিত হচ্ছেন এটা দেখে যে, উচ্চ আদালতে যেখানে পান থেকে চুন খসলে দেশের একাধিক বিশিষ্ট নাগরিকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয় সেখানে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক দিনের পর দিন একজন সিটিং চিফ জাস্টিসের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে সমানে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাকে বিএনপি-জামায়াতের সাথে ব্র্যাকেট বন্দি করছেন, তার পরেও তার কেশাগ্রও স্পর্শ করা হচ্ছে না। ॥ দুই॥ এসব পটভূমিতে কয়েকদিন আগে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ বঙ্গভবনে যে ডিনার দিয়েছিলেন সেটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। কারণ প্রথম দিন যখন ডিনার দেয়া হয় সেদিন ব্যক্তিগত কারণে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম হাজির হতে পারেননি। এ জন্য পরের দিন ফের ঐ ডিনারের আয়োজন করা হয়। সেই ডিনারে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ, প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা, চিফ জাস্টিস সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। পরদিন এ ডিনারের সংবাদ পড়ে দেশের অনেক সচেতন মানুষের ভ্রুকুঞ্চন হয়। কিন্তু দেশে বিরাজমান পরিস্থিতি দেখে তারা কিছু প্রকাশ্যে বলতে সাহস পাননি। কিন্তু মতামত প্রকাশের সুযোগ তারা পেয়েছিলেন গত শনিবার প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সুজনের আলোচনা সভায়। সুজনের (সুশাসনের জন্য নাগরিক) ঐ আলোচনা সভায় মুখ খুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম যখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন তখন আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্যে সিনিয়র মোস্ট ছিলেন বিচারপতি মতিন। ফজলুল করিম সাহেবের পর জনাব মতিনেরই প্রধান বিচারপতি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকার তাকে ডিঙ্গিয়ে তার চেয়ে জুনিয়র বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেন। কেন বিচারপতি মতিনকে টপকানো হয়েছিল এবং খায়রুল হককে চিফ জাস্টিস বানানো হয়েছিল সেটি এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে গেছে। ত্রয়োদশ সংশোধনী, অর্থাৎ কেয়ারটেকার সরকার বাতিল করতে হবে। সেই কাজটি করার জন্য সরকারের দরকার ছিল এমন এক ব্যক্তির, যে ব্যক্তি নিজের ঘাড় পেতে দেবেন সরকারের বন্দুক রাখার জন্য। এবিএম খায়রুল হক এই কমিটিই করেছিলেন। ॥ তিন ॥ সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, চিফ জাস্টিসকে ডিনারের দাওয়াত দিলে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। এমন কাজ নৈতিকতাবিরোধী উল্লেখ করে তারা বলেন, কোন বিচারপতি অন্যায় করলে তাকে ইমপিচমেন্ট (অভিশংসন) কিংবা রিমুভ (অপসারণ) করার বিধান রয়েছে। কিন্তু চায়ের কিংবা ডিনারের দাওয়াত দেওয়াটা কোনভাবেই বিচার বিভাগের জন্য মঙ্গলজনক নয়। এটা বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা। এছাড়া দলীয় ভিত্তিতে বিচারক নিয়োগেরও সমালোচনা করেন বিশিষ্ট আইনজ্ঞরা। সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি আব্দুল মতিন বলেন, চিফ জাস্টিসকে ডিনারে ডাকা মানেই বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করা। এছাড়া এ কাজটি করার পর ওই বিচারপতি সঠিক রায় লিখলেও জনগণ মনে করবে তিনি সঠিক রায় লিখতে পারছেন না। তিনি বলেন, কোন বিচারপতি যদি অন্যায় করে থাকেন তাহলে তাকে ইমপিচ করা হোক। অথবা তাকে অপসারণ করা হোক। বঙ্গভবনে ডাকাটাকে বাজে নজির উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময়ও বিচারপতিদের চায়ের দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় আল্লাহওয়াস্তে এ কাজটি বাদ দেয়ার কথা বলেন তিনি। তার অভিমত, যে সরকারই আসুক এ অবস্থার অবসান না হলে বিচার বিভাগ স্বাধীন হতে পারবে না। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি থাকাকালে জনাব মতিন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রায় প্রদান করেন। তাকে ডিঙ্গিয়ে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন। বাংলাদেশের সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায় দিলেও তিনি সেই রায়টি লেখেন অবসরে যাওয়ার পর। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে। স্পষ্টভাষী এই বিচারপতি বলেন, একজন সিটিং বিচারপতিকে নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি (যিনি কি-না তার জুনিয়র ছিলেন) যেভাবে সমালোচনা করছেন তা কোনভাবেই কাম্য নয়। এমনকি টকশো এবং জাতীয় সংসদেও বিচারপতিদের নিয়ে আলোচনাকে বেমানান বলে উল্লেখ করেন তিনি। ॥ চার ॥ কিছুক্ষণ আগে আদালত অবমাননার প্রসঙ্গ এনেছি। কিন্তু গণজাগরন মঞ্চের ইমরান সরকার যে বিচার বিভাগ সম্পর্কে চরম আপত্তিকর কথা বলল তার কি হবে? এত বড় আদালত অবমাননাকর কথা আমি ইতিপূর্বে কখনও শুনিনি। তার কথায় সেদিন মনে হলো, কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেওয়ার ব্যাপারে সে এবং গণজাগরন মঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগকে মনে হয় ডিক্টেট করেছে। এটি আমাদের কথা নয়। তার মুখেই শুনুন, সে কি বলেছে? খবরটি প্রকাশিত হয়েছে আমাদের সময় ডটকমের ৪ ফেব্রুয়ারি সংখ্যায়। খবরটি লিখেছেন স্টাফ রিপোর্টার মাজহার খন্দকার। তিনি লিখেছেন, ‘তিন বছরে গণজাগরন মঞ্চের আন্দোলনের প্রধান সাফল্য জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় আদায় করে নেয়া। গণজাগরন মঞ্চের তিন বছর পূর্তিতে আমাদের সময় ডটকমের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন গণজাগরন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। তিনি মনে করেন, আইনি দুর্বলতার কারণে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের লঘু দ- দেয়া হচ্ছিল। তারা বেঁচে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু গণজাগরন মঞ্চের আন্দোলনের ফলে তা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় দেয়া হলো ৫ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু ৪ ফেব্রুয়ারি দেখা গেল জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে ফুল দিচ্ছে। আর পুলিশ তা গ্রহণ করছে। এই চিত্র দেখেই মনে হয়েছিল কাদের মোল্লার রায়ে কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে এবং তাই হলো। তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হলো। আর এ রায়ের প্রতিবাদে রাতেই ইন্টারনেটে কয়েক জনের সাথে যোগাযোগ করলাম। এরপর সবাই যখন শাহবাগে জড়ো হলো। এরপরের ইতিহাস সবারই জানা।’ ইমরান সরকার তো নিজেই বলছে যে, সে নাকি সুপ্রিম কোর্টের নিকট থেকে কাদের মোল্লার ফাঁসি আদায় করেছে। সে আরো বলেছে যে, ‘এ রায়ের (যাবজ্জীবনের রায়) প্রতিবাদে রাতেই ইন্টারনেটে কয়েক জনের সাথে যোগাযোগ করলাম। এরপর সবাই যখন শাহবাগে জড়ো হলো। এরপরের ইতিহাস সবারই জানা।’ বাংলাদেশ কি মগের মুল্লুক হয়ে গেল যে, যে সে ব্যক্তি যা খুশি তাই বলবে? সেই যে সে ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টকেও ইনফ্লুয়েন্স করতে পারে এবং প্রকাশ্য সভায় সেটি ঘোষণা করতে পারে? তারপরেও তার কেশাগ্রও কেউ স্পর্শ করতে পারে না।

e-mail:

ইনকিলাব

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File