পুলিশ পবিত্র দায়িত্ব জলাঞ্জলি দিতে দিতে ন্যূনতম দায়িত্ববোধও হারিয়ে ফেলেছে ,এই বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই..!

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৮:২৬:৩৩ রাত

চট্টগ্রামে পবিত্র আল কুরআন ছেঁড়ার সাথে শিবিরকে জড়িয়ে পুলিশের বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও

প্রতিবাদ জানাই

.

পুলিশ পবিত্র দায়িত্ব জলাঞ্জলি দিতে দিতে ন্যূনতম দায়িত্ব বোধও এখন হারিয়ে ফেলেছে এই পুলিশ বাহিনি। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এই গঠনাটি ঘটে।

পবিত্র আল কুরআন ছেঁড়ার সাথে ইসলামী ছাত্র শিবিরের কি সর্ম্পক থাকতে পারে? যারা আল কুরআনকে প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছে তারাই আবার সে কুরআনকে ছিড়তে পারে.? এ কোন পাগলেও তো বিশ্বাস বরবে না।

পুলিশের পবিত্র দায়িত্ব হল তারা আইন রক্ষা করবেন। তারা এখন আইন রক্ষার বদলে নিজেরাই

বেআইনী কাজের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। দায়িত্ব কর্তব্য বাদ দিয়ে বানোয়াট বক্তব্য ও নির্লজ্জ নাটক

সাজানোতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

যার আরেকটি নিকৃষ্ট উদাহরণ হলো চট্টগ্রামে পবিত্র আল কুরআন ছেঁড়ার সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে

পুলিশের এই নির্লজ্জ মিথ্যাচার।

সাতকানিয়ায় কথিত পবিত্র আল্ কুরআন ছেঁড়ার

সাথে ইসলামী ছাত্রশিবির কর্মীদের দূরতম কোনো সম্পর্কও নেই এবং তাকতেও পারেনা। বরং এই নিকৃষ্ট ঘটনায় ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা ক্ষুদ্ধ।

পবিত্র আল্ কুরআনকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা কর্মীরা তাদের জীবনে সর্বোচ্চ জায়গায় স্থান দেয়

এবং কুরআনের আলোকে জীবন গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শুধুমাত্র আল্ কুরআনের কথা বলতে গিয়ে, পবিত্র কুরআনে মান মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, জুলুম নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে।

যা ছাত্রশিবিরের প্রতিপক্ষরাও স্বীকার করে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কি হতে পারে। এর আগেও পুলিশ এসব

অপকর্ম করেছে।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে আওয়ামী সন্ত্রাসী

কর্তৃক পবিত্র কুরআন পুড়ানোর ঘটনাকে হেফজতে ইসলামের কর্মীদের উপর চাপিয়ে দিতে মূল ভূমিকা পালন করে এই পুলিশ।

তাছাড়া ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন অফিসসহ

বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ পবিত্র কুরআনকে পদদলিত করেছে। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য কুরআন পদদলিত ও অগ্নিসংযোগ করার সময় পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন

করেছে।

যা দেশবাসী ভূলে যায়নি। সেখানে কথিত কুরআন ছেঁড়ার ঘটনায় পুলিশ স্ব-উদ্যোগে মামলা করে তা

শিবির কর্মীদের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়ার এই অপকৌশল ও নাটক জাতি কোনো দিনই বিশ্বাস করবে না।

বরং এই নাটক পুলিশের প্রতি জনতার ন্যূনতম

আস্থার জায়গাটিও ধ্বংস করে দিবে। প্রতিপক্ষ দমনের এই নিকৃষ্ট নাটক বন্ধ করতেই হবে।

বিষয়: বিবিধ

১২৮৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

358056
৩০ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:৫৯
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ভাল লাগলো। আশাকরি আরো লিখবেন, ধন্যবাদ।
৩০ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:২৭
297089
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভালো লাগার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। দোয়া করবেন ভালো থাকুন
358080
৩১ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০২:৪৭
শেখের পোলা লিখেছেন : একদিন আপনা থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে৷ মিথ্যা টেকেনা ধ্বংস হবেই হবে৷
৩১ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০২:০৮
297106
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ইন্সা আল্লাহ ধ্বংস হতেই হবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
358086
৩১ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৮:২২
চেতনাবিলাস লিখেছেন : সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ। আরও ধন্যবাদ আমার লেখায় মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।
৩১ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০২:০৯
297107
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও লেখা চালিয়ে যান। লেখার কোন বিকল্প নেই । ভাল থাকুন
358091
৩১ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০১:২৪
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ভাই, আল্লামা সাঈদিকে গ্রেপতার করা হয়েছিল কি অপরাধে জানেন? ধরমীয় অনুভুতিতে আঘাত দেওয়ার অপরাধে, যা হাস্যকর বৈকি! এদেরকে পুলিশ না বলে বরং বলুব পুলিশলীগ।
আল্লাহ এদের বিচার করবেন।
৩১ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০২:১৩
297109
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনার কথাই সঠিক, ওদের বিচারতো আল্লাহ অবশ্যই করবেন। আল্লাহ একটু সুযোগ দিচ্ছেন আমাদেরকে ধর্য্যশীল হতে হবে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File