ইসলাম বিরুধী কর্ম কান্ডে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব বিখ্যাত, ১৪ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে ডিবি, এ ঘটনায় বাকি ১২ জনকে ছেড়েও দিয়েছে ডিবি। তাহলে সত্য কোনটি জঙ্গিরা না ডিবি..?জঙ্গিরা’
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২৬ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৪:০৯:০৭ বিকাল
ইসলাম বিরুধী কর্ম কান্ডে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব বিখ্যাত, ১৪ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে ডিবি, এ ঘটনায় বাকি ১২ জনকে ছেড়েও দিয়েছে ডিবি। তাহলে সত্য কোনটি জঙ্গিরা না ডিবি..?
জঙ্গি সন্দেহে সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত পাঠানো ২৬ বাংলাদেশিদের মধ্যে ১৪ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে ডিবি পুলিশ।
এরা মূলত সিঙ্গাপুরের একটি মসজিদে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসীমউদ্দীন রাহমানি, যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী এবং ইসলামিক গবেষক জাকির নায়েকের ওয়াজের সিডি শুনতো।
তাদের লেকচার নিয়ে আলোচনা করতো। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব তথ্য পেয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত পাঠানো ‘জঙ্গিরা’ সিঙ্গাপুরের মোস্তফা মার্কেটের পাশে এ্যাঙ্গুলিয়া নামের একটি মসজিদে প্রতি রোববার মাগরিবের নামাযের পর সমবেত হয়ে ওয়াজ শুনতো।
সেই মসজিদে বসেই তারা সদস্য সংগ্রহ, অর্থ সংগ্রহসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে জিহাদি ভিডিও দেখত। স্থানীয় আমিনুর, নুরুল হক এবং আশরাফ প্রায়ই সেই মসজিদে বয়ান করতো।
এর আগে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ২৬ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে সিঙ্গাপুর। এদের মধ্যে ১৪ জন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
সূত্র আরো জানায়, অভিযুক্তরা গত ২ থেকে ৮ বছর মেয়াদে সিঙ্গাপুরে শ্রমিকের কাজ করতো। তারা জসীমউদ্দীন রাহমানিয়া, আবুল কালাম এবং ড. জাকির নায়েকের ওয়াজ শুনে আহলে হাদিসের অনুসারী হন।
মসজিদ-মাদ্রাসা, এতিমখানা ইত্যাদির কথা বলে তারা প্রত্যেকের কাছে ১০ থেকে ২০ ডলার করে সিঙ্গাপুরী ডলার চাঁদা আদায় করতো। এই টাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশে জিহাদী বিষয়ক বই পাঠাতো।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ‘জঙ্গিরা’ একে অন্যের সঙ্গে মোবাইলে ইসলামী গবেষক মুফতি আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ, শায়েখ মতিউর রহমান মাদানী, আমানুল্লাহ বিন ইসমাইলের ওয়াজের অডিও ফাইল শেয়ার করে শুনতো।
এক প্রতিবেদনে সিঙ্গাপুর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটস (আইএস) কিংবা আল-কায়েদার সঙ্গে এরা জড়িত রয়েছে।
তবে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, এই ১৪ জন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান জসীমউদ্দিন রাহমানিয়ার অনুসারী। তদন্তে আইএস কিংবা আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
১৪ জন আসামি হচ্ছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো. জাফর ইকবাল, কুমিল্লার গোলাম জিলানী, মো. নুরুল আমিন, মাহমুদুল হাসান, টাঙ্গাইলের মো. আমিনুর, আব্দুল আলীম, মো. শাহ আলম, ঝিনাইদহের আকরাম হোসেন, কুড়িগ্রামের আলম মাহাবুব, চুয়াডাঙ্গার আবদুল আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পারভেজ ডলার, মুন্সিগঞ্জের মো. জসিম, পাবনার মো. আশরাফুল ও ঢাকার মো. সাইফুল ইসলাম। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবির তদন্ত কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের যাচাই বাছাই চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারো রিমান্ড চাওয়া হতে পারে।’
এ ঘটনার বাকি ১২ জনকে ছেড়ে দিয়েছে ডিবি। তবে তাদেরকেও গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানান মনিরুল ইসলাম। এই লেখাটির সাথে ইসলাম বিরুধী কর্ম কান্ড কোথায়.? তাহলে সত্য কোনটি জঙ্গিরা না ডিবি..? আর কত তামাসা আমাদেরকে দেখতে হবে..?
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৩ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যারা এদের জঙ্গী বলে তাদেরকি মরণের ভয় নেই? আল্লাহ মালুম আর কত সইতে হবে৷
ধিক্কার জানাই
শিক্ষা, জ্ঞান, দৃষ্টিভংগী ও বিচার বিশ্লেষনের জন্য আমাদের এক একজনের আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভিন্ন। আজ প্রথম যখন এই নিউজ পড়েছিলাম তখন আমার নিচের হাদীস দুটির কথাই মনে এসেছে।
আমি যে শহরে থাকি - সেখানে শুধু রবিবারে অমন প্রোগ্রাম ই হয় না - অমন লোকদের বক্তব্য ই শুধু শোনা হয় না - তথাকথিত আমেরিকার দ্বারা হত্যার শিকার মানুষজনের ও বক্তব্য শোনা হয়। চাঁদা ও তোলা হয় সিরিয়া, বন্যা, অসুখ বিশুখ এ সাহায্য সহায়তা করার জন্য।
সবশেষে মনে হয়েছে - মূলতঃ ভদ্রলোক রা যে ট্রায়াল এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে - সে ট্রায়ালটি হয়তো তাদেরকে কাল কেয়ামতের দিন বিরাট বড় সাফল্যের মুখোমুখি করবে। হয়তো পরিশ্রমের পর ও আল্লাহকে স্মরন করার পুরুষ্কার হিসাবে আল্লাহ এই ব্যবস্থা করেছেন এবং ওনাদের জানা অজানা পাপ হতে মুক্তি দেবেন। আল্লাহ ভাল জানেন।
Anas ibn Maalik (may Allah be pleased with him) narrated that the Messenger of Allah (peace and blessing be upon him) said: “There will come upon the people a time when holding onto the religion will be like holding onto hot coal.” (Tirmidhi)
In another narration, Abu Hurayrah (may Allah be pleased with him) narrated that the Messenger of Allah (peace and blessings be upon him) said: “A time will come upon the people when the one who is patient (in them) in his religion (will be) like the one holding onto hot coal.” [Collected by Tirmidhi, authenticated by shaykh al-Albaani (rahimahullah). There is yet another (longer) version of this hadeeth collected by Imam Ahmad (rahimahullah) in his musnad.]
মন্তব্য করতে লগইন করুন