সেই ১৯৫ জন মূল অপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়ে এখন অন্যদের বিচার করা হচ্ছে।ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়েছে, তিনি একজন ইসলামিক স্কলার, ভদ্র ও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি।
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১০ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৫:৩৮:০৪ বিকাল
বাংলাদেশের মা এমন সন্তান কি সব সময় জন্মদেয় ? যে একাই বহু গুনের অধীকারী, সৎ আলেমে দ্বীন নবীর ওয়ারিশ, বাংলাদেশের ইতিহাসের সৎ ও যোগ্য মন্ত্রী জননেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেব।
সেফ হোমে শেখানো-পড়ানো সাক্ষী দিয়ে বিচার হয়েছে, পাকিস্তানকে তখন সমর্থন করা মানবতা বিরোধী অপরাধ নয় -খন্দকার মাহবুব হোসেন
মাওলানা নিজামী কোন অপরাধ করেছেন কি-না ভবিষ্যতই তা বলে দেবে। কারণ সেফ হোমে রেখে সাক্ষীকে দিনের পর দিন শিখিয়ে পড়িয়ে আদালতে সাক্ষ্য দেয়া হয়েছে।
বিচারকদের ওই সাক্ষীর ওপর নির্ভর করে বিচার বিবেচনা করতে হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়েছে, তিনি একজন ইসলামিক স্কলার, ভদ্র ও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি।
এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়েই আমরা সাজা কমাতে বলেছিলাম। সাজা কমানোর কথা বলার অর্থ এই নয় যে তিনি অপরাধী।
আপিল বিভাগের রায় ঘোষণার পর গত বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতির কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা গুলো বলেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমরা আদালতে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেছি। আদালত ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখেছে। আইনজীবী হিসেবে রায় মেনে নিতে হবে।
তিনি বলেন, রায় পর্যালোচনার পর মতিউর রহমান নিজামী সিদ্ধান্ত নিবেন তিনি কি করবেন। তিনি চাইলে রিভিউ আবেদন করতে পারেন। তিনি রিভিউ আবেদন করার পরামর্শ দিলে আমরা অবশ্যই রিভিউ আবেদন দায়ের করবো।
কিন্তু এর আগে জামায়াতে ইসলামীর যে সব নেতারা রিভিউ আবেদন করেছেন, তারা কেউ ন্যায় বিচার পাননি। নিজামী সাহেব যে সিদ্ধান্তই নিবেন, তার ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিব।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, একাত্তরে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়া মানেই মানবতাবিরোধী অপরাধ করা নয়। সে সময় যারা মূল অপরাধী ছিলেন তাদের তালিকা করে আমরা বিচারের দাবি জানিয়েছি।
কিন্তু সেই ১৯৫ জন মূল অপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়ে এখন অন্যদের বিচার করা হচ্ছে। অথচ ট্রাইব্যুনালের রায়েই বলা হয়েছে, তিনি একজন ইসলামিক স্কলার, ভদ্র ও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি। এর পরেও কি তাকে ফাঁসী দেওয়া যায়..?
বিষয়: বিবিধ
১০০৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাদের উনাদের অপরাধ ছিল - উনারা পূর্ব-পাকিস্তানের মানুষ হয়েও পাকিস্তানী হানাদারদের এদেশের নিরীহ মানুষদের মারতে সাহায্য করেছিলেন ।
আর পশ্চিম পাকিস্তানীদের জুতা সাফ করার মানসিকতা সম্পন্ন লোক সে সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে কম বেশী ছিলই ।
নিজামীরা কেন অস্ত্র হাতে পাকিস্তানী হানাদারদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নি ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন