সোনার ছেলে ওরা জাতির গৌরব। ওরা সব পারে, পারেনা শুধু সৎকাজ আর জাতির কল্যাণে কাজকরতে।
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১১:৪৪:৩৫ সকাল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র নন তিনি। ভুয়া ছাত্র হয়েও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হয়েছিলেন। নাম তাঁর এ এস এম মাসুম।
১০ বছর পর ভুয়া ছাত্রের বিষয়টি জানার পর এ এস এম মাসুমকে মাস্টারদা সূর্য সেন হল থেকে বের করে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মাসুম সূর্য সেন হলের ৩৭৫ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, মাসুম ১০ বছর ধরে সূর্য সেন হলে অবস্থান করছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০০৬-০৭ সেশনের ছাত্র বলে দাবি করেন।
এর মধ্যে হয়েছেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। এরপর হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির সহসভাপতি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নন এমন অভিযোগে গত শুক্রবার সূর্য সেন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে হল থেকে বের করে দেন।
এস এম মাসুম বলেন, ‘আমি জসীমউদদীন হলের ছাত্র। তখনকার সূর্য সেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুহিন ভাই আমাকে এ পদটি না চাওয়া সত্ত্বেও দেন। আমি আইন বিভাগে অনিয়মিতভাবে কিছুদিন ক্লাস করি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কাগজপত্র আছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে এ এস এম মাসুম কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
জানতে চাইলে তখনকার (২০১১) সূর্য সেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুহিন বলেন, ‘আমি জানতাম মাসুম আইনের ছাত্র।
আমিও একবার শুনেছিলাম যে তাঁর ছাত্রত্ব নেই। বিষয়টি আমি মাসুমকে জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে বলেছিল প্রথম বর্ষ শেষ করেছে।
কিন্তু এক হলের ছাত্র অন্য হলে পদ পেতে পারে কি না জানতে চাইলে তুহিন বলেন, ‘না, ছাত্রলীগের নিয়ম অনুযায়ী এটা অবৈধ।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘লুকোচুরি বেশিদিন করা যায় না। এটা প্রমাণিত হলে আমরা শাস্তির ব্যবস্থা করব। কারণ সে শুধু ছাত্রলীগ নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম করেছে।
বিষয়: বিবিধ
১৪১৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাদের নেত্রী যেভাবে ক্ষমতা/পদ দখল করে আছে তাতে এটাতো নস্যি!!
একে অনিয়ম বা অপরাধ বলা কি উচিত হবে??!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন