অন্যদেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী আওয়ামী অবৈধ সরকারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমদের জানানেই।

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২২ নভেম্বর, ২০১৫, ০৩:১৩:২৪ দুপুর

বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই যাহা দেখছি আওয়ামী বাকশালীরা দেশও জাতির যে ক্ষতি তারা করেছে, তা অন্যকেউ আজ পর্যন্ত করেনি। নিজেদের ক্ষুদ্র সার্থের জন্য জাতির যে বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে তা তারা কোন দিন চিন্তাও করে নাই।

আমাদের চৌকস ৫৭জন সেনা অফিসারদের হত্যা করে যে ক্ষতি করেছে তা পুরন না হতেই একের পর এক জাতীয় নেতাদেন হত্যা করে জাতিকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিনত করছে।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

“আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ বাংলাদেশের জনগণের নিকট প্রিয় একটি নাম। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতি চালুর ক্ষেত্রে তার অবদান অবিস্মরণীয়।

চারদলীয় জোট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে তিনি যে দক্ষতা ও সততার পরিচয় দিয়েছেন তা বাংলাদেশের জনগণ কখনো ভুলবে না। তিনি ইসলামী আন্দোলনের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের নিকট ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত পৌঁছিয়ে দেয়ার জন্য রাতদিন পরিশ্রম করেছেন।

বর্তমান স্বৈরাচারী জালেম সরকার এ রকম একজন সৎ, আল্লাহভীরু ও যোগ্য জাতীয় নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করায় জাতি গভীরভাবে শোকাহত ও ক্ষুব

মুজাহিদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারেনি। তাকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। সরকারের এহেন নোংরা রাজনীতির তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও মুজাহিদের সঙ্গে যে তামাশা করা হয়েছে এবং মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন বলে যে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে তাতে দেশবাসী ক্ষুব্ধ।

মুজাহিদের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা শেষ সাক্ষাত করে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট দোষ স্বীকার করেননি, ক্ষমা প্রার্থনা করেননি এবং প্রাণভিক্ষাও চাননি।

মুজাহিদকে হত্যা করে যারা নেতৃত্ব শূন্য করার স্বপ্ন দেখছেন, তাদের সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না ইনশাআল্লাহ। মুজাহিদের প্রতি ফোঁটা রক্ত এ দেশের ইসলামী ও গণতন্ত্রমনা জনগণকে উজ্জীবিত করবে।

বিষয়: বিবিধ

১২৪৫ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

350868
২২ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:১৮
হতভাগা লিখেছেন : ভারত ৭১ এ সামরিক সাহায্য করেছিল পাক হানাদারদের খেদাতে । এখন বুদ্ধিবৃত্তিক সাহায্য করছে পাকি-দালালদের সাইজ করতে।

৪০ বছরের আরাম আয়াশের দিন শেষ জামায়াতের লোকদের । এখন শুধু দৌড় চলবে ...দৌড়
২২ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৪৫
291239
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আমাদের অরক্ষিত সাধীনতা যে আজ কতটুকু পরাধীন তা জদি বুঝে না আসে তাহলে ড়ুরে আসুন মালেইসিয়া ডিজিটেল এবং স্বাধীনতা কাকে বলে তখন বুঝতে পারবেন। ৭১ এর আগে কি আমরা পরাধীন ছিলাম? আমাদের অযোগ্য নেতাদের নীতির কারনেই আমরা অবহেলিত এবং বন্চিতছিলাম। পাকীরা তখনো জামায়াতের উপরই নির্যাতন করতো। সঠিক ইতিহাস জানুন দেশকে ভাল বাসুন আপনাকে ধন্যবাদ
২২ নভেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৪
291259
হতভাগা লিখেছেন :
''পাকীরা তখনো জামায়াতের উপরই নির্যাতন করতো। ''


০ আর সেজন্যই ৭১ এ জামায়াতীরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় নি , তাই না ?

পাকিদের সাথে থাকলে মাস্টার্স পাশ করেও পাকিদের জুতা মুছার জন্য কাঁধে গামছা নিয়ে ঘোরাই হত পূর্ব পাকিস্তানীদের সর্বোচ্চ পোস্ট।
২২ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
291266
কুয়েত থেকে লিখেছেন : বাংলাদেশীরাই পাকিস্তান বানিয়েছিল। এবং বাংলাদেশী বাংগারীরা কি স্পীকার মন্ত্রী মেজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ছিলনা? তবে আমি নিজেও পাকিস্তানি গাদ্দারদের পছন্দ করিনা। তবে ইন্ডিয়ানরা কি খুব ভাল? পাকিস্তান হয়েছে বলেই আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। কিন্তু আমাদের মুক্তি যোদ্ধাদের অর্জিত রক্ত রন্জিত স্বাধীনতা জে.অরোরা তথা হিন্দুস্তান লুঠকরেছে। ইতিহাস জানুন
350931
২২ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৪২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৩ নভেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৪
291397
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File