ঈমানদার প্রতিটি মুসলমান শুধু ফ্রান্সে হামলায় ব্যথিত নয় বরং সকল নির্যাতন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী। ফ্রান্সে হামলা কোন মুসলমান করতে পারে..?

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১৬ নভেম্বর, ২০১৫, ০৩:৫৯:৩২ দুপুর

ইহুদিরাই হলো ইসলাম তথা মুসলমানদের চরম শত্রু। যেখানেই ইসলামের অগ্রগতি তথা ইসলামের প্রবাব বিস্তার হয় সেখানেই ইহুদিদের চক্রান্ত শুরুহয়। এটাই ইতিহাস। ফ্রান্সে হামলা হয়েছে এ জন্য আমরা অত্যান্ত র্মমাহত।

ইসরাইলি সেনারা সেদিন নিরীহ ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা করছিল, আর সে-দেশের ইহুদিবাদী জনগণ পাহাড়ের উঁচু টিলায় ওঠে দূরবীক্ষণ দিয়ে ফিলিস্তিনি শিশু ও আবাল বৃদ্ধ-বণিতার আর্তনাদ আর দুঃখ-দশা দেখে অট্টহাসি হাসছিল।

কই? এই ছোট্ট ইসরাইলে তো কোনো হামলা হয় না! ইসরাইলি কুকুর-শুয়োরদের ওপর তো কোনো বোমা হামলা হয় না! কেন? এতে করে বুঝে নেওয়া উচিত ফ্যারিস হামলার পেছনে কারা আছে।এ হামলায় আমি উল্লসিত হতে পারি না।

ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়ে হামলার দায়ভার ও নিজের কাঁধে নিতে পারি না। কারন মুসলমানরা গুপ্ত হামলা করতেই পারেনা।

ফ্রান্সেই ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিমদের বসবাস কারীদেশ। ইন্টারনেটের কল্যাণে দেখেছি, আরববিশ্বের যেকোনো দাওয়াতি প্রোগ্রাম ইদানিং আরবি-ইংরেজির পাশাপাশি ফরাসি ভাষায়ও খুব গুরুত্বসহকারে প্রচার করা হয়ে থাকে।

এতে বোঝা যায়, ফ্রান্সে ইসলামের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে মুসলিমদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল সেখানেই এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটছে সবচেয়ে বেশি।

কোন নীল নকশা বাস্তবায়নে কে বা কারা এ হামলা করেছে তা কারো জানা নেই, কিন্তু বোকারা আনন্দে নৃত্য করছে। বস্তুত তাদের এই আত্মউন্মত্তার ভেতরই তাদের পরাজয় লুকিয়ে রয়েছে।

জোরালোভাবে প্রচার করা হচ্ছে, ফরাসিরা অতীতে এমন করেছে তেমন করেছে। আরে ভাই! অতীতে তো আরও অনেকে অনেক কিছুই করেছে তার কি হবে? হালাকু খান বগদাদ ধ্বংস করেছিল।

কিন্তু সমরনায়ক তৈমুর লং কে জানেন? এই হালাকু খানেরই অধ্বস্তন বংশধর। তিনি তুরস্কের এশিয়া মাইনর থেকে শুরু করে চিনের কাশগড় পর্যন্ত ইসলামের বিজয় বিস্তৃত করেছিলেন।

এই তৈমুর ও খালাকু খানের উত্তরপুরুষ হলেন ভারতের সম্রাট যহিরউদ্দীন বাবর, যিনি হিন্দু ভারতে মুসলিম সুলতানতের সুদৃঢ় ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন।

অতএব অতীতের কারণে বর্তমানকে বিসন্ন করে কেন তুলব? জার্মানিতে ইহুদিদেরকে কচুকাটা করা হয়েছিল, সেই জার্মানির ব্যাপারে ইহুদিরা যদি এখনও সেই প্রশ্ন তুলে তাদের সাথে শত্রুতায় জড়ায় তা কি তাদের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে? তাহলে এই বোকামিটাই কি আমরা করছি?

বিষয়: বিবিধ

১৪১৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

349939
১৬ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৭ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৩
290495
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভালো লাগার জন্য আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ।
350017
১৭ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:০৭
হতভাগা লিখেছেন : ফ্রান্সের লোকেরাও বুঝে এটা কারা করেছে ।

তবুও তারা মুসলমানদের দোষী বানাবে কারণ যারা গোপনে থেকে এসব কলকাঠি নাড়ছে তাদের দ্বারা ফ্রান্সবাসী এসব ঘটনার কনসিক্যুয়েন্সের যে বেনিফিশিয়ারী হবে তা তাদের বর্তমানের ক্ষতির চেয়ে হাজারগুন বেশী লাভের।
১৭ নভেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:০৪
290496
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনার উপলব্দি সঠিক ওরা যতই সড়যন্ত্র করুর ইসলামের অগ্রযাত্রাকে ওরা ঠেকাতে পারবেই না। গত রমজান মাসে কুয়েতে I p c.তথা ইসলাম প্রেজেন্টেশন কমিটিতে ১২১৫.জন ইসলাম কবুল করেছেন। প্রতি মাসেতো হচ্ছেই। তা সারা পৃথিবীতেই হচ্ছে। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য আমরা মুসলমানেরাই ইসলামের ক্ষতি বেশী করে চলেছি। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাযত করুন আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File