ন্যায় বিচার শিক্ষা দিতেই পৃথিবীতে এসেছে ইসলাম..! ইসলামই পারে এই অশান্ত পৃথিবীকে শান্ত করতে।
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:৫৭:১০ দুপুর
হযরত ওমর (রাঃ)এর খিলাফতের সময়ের ছোট্ট একটি গঠনা। যা আমাদের জন্য রয়েছে অনেক কিছু শিক্ষার। হজের সময়ের একটি গঠনা হজ্জ করবার সময় ভিড়ের মধ্যে আরবের পার্শ্ববর্তী এক রাজার চাদর এক দাসের পায়ে জড়িয়ে যায়।
এতে রেগে বিরক্ত ও কুরুদ্ধ হয়ে রাজা জাবালা সেই দাসের গালে জোরে এক চড় বসিয়ে দিলেন। লোকটি কিছুই না বলে খলীফা হযরত উমর (রা)-এর নিকট সুবিচার প্রার্থনা করে নালিশ করলেন।হযরত ওমর (রাঃ) জাবালাকে তৎক্ষনাৎ ডেকে পাঠানো হলো।
অভিযোগ সত্য কিনা জিজ্ঞাসা করায় জাবালা রূঢ় ভাষায় উত্তর দিলেন, “অভিযোগ সত্য। এই লোকটি আমার চাদর মাড়িয়ে যায় কাবা ঘরের চত্বরে।
কিন্তু কাজটি যে তার ইচ্ছাকৃত নয়, ঘটনাক্রমে হয়ে গেছে রুক্ষ স্বরে বাধা দিয়ে বললেন খলীফা। উদ্ধতভাবে জাবালা বললেন, তাতে কিছু আসে যায় না এ মাসটা যদি পবিত্র হজ্জের মাস না হতো তবে আমি এই লোকটিকে মেরেই ফেলতাম।
জাবালা ছিলেন ইসলামী সাম্রাজ্যের একজন শক্তিশালী মিত্র ও খলীফার ব্যক্তিগত বন্ধু। খলীফা কিছুক্ষণ চিন্তা করলেন, তারপর অতি শান্ত ও দৃঢ় স্বরে বললেন, “জাবালা, তুমি তোমার দোষ স্বীকার করেছ।
ফরিয়াদী যদি তোমাকে ক্ষমা না করে তবে তার পরিবর্তে সে তোমাকে চড় লাগাবে।” গর্বিত সুরে উত্তর দিলেন জাবালা, “কিন্তু আমি যে রাজা আর ও যে একজন দাস।”
উত্তরে উমর (রা) বললেন, তোমরা দু’জনেই মুসলমান এবং আল্লাহর চোখে দু’জনেই সমান। গর্বিত রাজার অহংকার চূর্ণ হয়ে গেল। গর্ব, অহংকার, মদমত্ততা মানুষের ধর্ম নয়। সে নির্ভীক, নির্বিকার ও নির্মম। কিন্তু
শান্ত, সংযত ও সুন্দর সে। সত্যের বাণী যারা অন্তর দিয়ে গ্রহণ করেছেন, মানব গোষ্ঠীর প্রতি তাঁদের দায়িত্ববোধ অসীম। মানুষের সেবা, সৃষ্ট জীবের সেবা করেই তাঁরা এই দায়িত্ব থেকে মুক্ত হন। আল্লাহ যার হাতে নেতৃত্ব দেন, তিনি আসলে জনগণের সেবক।
অসীম বেদনাবোধ, বিপুল দায়িত্বভার তাঁর। এই বেদনা ও দায়িত্বভারেই খলীফা উমর (রাঃ) অস্থির থাকতেন। সবাই ঘুমিয়ে পড়লেও নিঝুমনিশীতে স্বীয় দায়িত্বের কথা স্মরণ করে উমর (রাঃ) অঝোরে কাঁদতেন।
বিষয়: বিবিধ
১৭০৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন