হে আল্লাহর রাসুলের প্রিয় উম্মাৎ গণ..! আল কুরআনের মাসে কুরআন থেকে কি কিছু নেওয়া হয়েছে...?

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২৮ জুলাই, ২০১৫, ০৫:২৯:৩০ বিকাল

সাহরু রামাদান তথা রমদান মাস ছিল আল কুরআন নাযিলের মাস। এই মাসেই আল্লাহ কুরআন নাযিল শুরু করে ছিলেন এবং সু দীর্ঘ তেইশ বৎস্বরে তা নাযিল করা শেষ করেছিলেন। যখন যতটুকু প্রয়োজন হয়েছে তা নাযিল করেছেন। যাতে করে মানুষ তা বুঝতে সহজ হয়।

রমদানের রোযা ফরজ করেছেন যাতে করে মানুষের মধ্যে ত্বাকওয়া ( আল্লার ভয়)সৃষ্টি হয়। আর কুরআন থেকে হেদায়ত পাবেন তারাই যাদের মধ্যে ত্বকওয়া তথা আল্লাহর ভয় আছে।

এই রমদান মাসকে আল্লাহ রহমত বরকত এবং ফযিলতের নেয়ামত দিয়ে মোলামাল করে দিয়েছেন এই জন্যইযে এই মাসেই কুরআনুল করিম অবর্তিণ করেছেন।কুরআনের কারনেই এই মাসকে এতই বরকত ও ফযিলতপূর্ণ করেছেন।

বিশ্ব পরিচালক মহান আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর সকল মানব মন্ডিলির জন্য সর্বশেষ যে কিতাব প্রেরন করেছেন তা হল আল্ কুরআন। যা তার প্রিয় হাবিব তথা মানবতার মুক্তি ধূত হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সাঃ) এর মাধ্যমে নাযিল করেছেন।

আল্লাহর পক্ষ থেকে পৃথিবীর মানুষের জন্য সর্ব শেষ যে হেদায়ত তথা আল্লাহর নির্দেশ দিয়েছেন তাই হল আল্ কুরআন। নতুন করে পৃথিবীর মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে আর কোন হেদায়ত বা নির্দেশ আসবে না।

পৃথিবীর মানুষ যদি হেদায়ত তথা মুক্তি পেতে চায় তাকে আসতেই হবে আল্ কুরআনের কাছে। আল্ কুরআন শুধূ মুসলমানের জন্য নাযিল হয়নি। তা সমগ্র বিশ্ব বাশীর জন্যই নাযিল হয়েছে। বিশ্ব বাসির কাছে এই কুরআন পৌঁছানোর দায়িত্বটি কার..?

তাই আসুন জেনেনি আল্ কুরআন আমাদের কাছে কি চায় এবং কি তার দ্বাবী..? প্রতিটি মুসলমানের কাছে কুরআনের দ্বাবি হল ৪টি

১. আল কুরআনের বিশুদ্ধ তেলাওয়াত তথা শুদ্ধ করে পড়তে হবে যাতে ভূল না হয়। কারন তেলাওয়াত যদি ভূল হয় নামাজ আদায় হবেনা। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য কুরআন শূদ্ধ হতে হবে। তাই এই কুরআন শুদ্ধ তেলাওয়াত শেকার জন্য যা করা প্রয়োজন তা আপনাকে করতেই হবে। এটাই আল্ কুরআনের প্রথম দ্বাবি।

২. আল্ কুরআনের যে টুকু তেলাওয়াত করেছেন তথা যে সুরাটি তেলাওয়াত করছেন তা ভাল ভাবে অর্থ বুঝতে হবে যাতেকরে এর তাতপর্য্য ও শারমর্ম টুকু বুঝতে পারা যায়, যাতে করে বুঝার হক আদায় হয়। মূল অর্থটাই বুঝা হলো ২য় দ্বাবি।

৩. আল্ কুরআনের যে টুকা তেলাওয়াত করে বুঝলেন তা সটিক ভাবে মনদিয়ে মেনে নিয়ে তা আমল করা তথা কর্মে তা পরিনত করা এটাই হলো আল্ কুরআনের ৩য় দ্বাবী।পড়লেন, বুঝলেন, মানলেন এর পর যে কাজটি না করলে চলবে না তা হল আল্ কুরআনের ৪র্থ দ্বাবি।

৪. আল্ কুরআনের বিশুদ্ধ তেলাওয়াত, আল্ কুরআন বুঝা, এবং আল্ কুরআন যে টুকু বুঝেছেন সেটা মেনে নেওয়ার পর ৪র্থ দ্বাবীই হল তা অন্যের কাছে পৌঁছানো ৪র্থ কাজটি যদি না করা হয় তাহলে ঐ ৩য় টির ও কোন মূল্য নেই।

আল্ কুরআন শুধূ মুসলমানের জন্য নয় তা সমগ্র বিশ্ব মানব মন্ডলীর জন্য। তাই আসুন এই ৪টি কাজ করে আল্ কুরআনের হক আদায় করি। এবং আল্ কুরআনের হক আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তোষ্টি অর্জন করা যাবে বলে আশা করা যায়।

বিষয়: বিবিধ

১৭৭৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

332234
২৮ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৫:৫২
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আপনার লিখাটা খুব ভাল লাগলো, রমজান মাস যাওয়ার সাথে সাথেই মসজিদে নামাজির পরিমান অনেক অনেক কমে গেছে...কোরান তিলাওয়াত তো দুরের কথা।
২৮ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০১
274514
কুয়েত থেকে লিখেছেন : রমদান এসেছে আমাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য। আমরা রমদান মাসে শিক্ষা নিব বাঁকি ১১ মাস তা অনুশীলন তথা কাজে লাগাবো। এজন্যই আমাদেরকে বেশী বেশী অধ্যায়ন করতে হবে আলকুরআন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
332290
২৮ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৩
শেখের পোলা লিখেছেন : পাঁচ টাকার পেপার কিনলে লাইন বাই লাইন বুঝে পড়ার চেষ্টা করি অথচ জীবন বিধান,পরকাল ইহকালের পাথেয় যাতে রয়েছে সেই কিতাবখানা বোঝার গরজ নাই৷
বয়ানুল কোরআনের বাংলা অনুবাদ কপি পেতে চাইলে ইমেইল এ্যডরেস দিন৷ কোরআন সাধারণ ভাবে বোঝার সুযোগ পাবেন৷ ধন্যবাদ৷http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/3696/boka/66238#.VbeWlvlVikoএখানে ক্লিক করন৷
২৯ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০১:০০
274706
কুয়েত থেকে লিখেছেন : বাংলাদেশের মুসলমানেরা যে ভাবে কুরআনুল করিমকে অবহেলা করে তা পৃথিবীর আর কোন জাতি এত অবহেলা করে কিনা তা আমার জানা নেই। এমনকি আলেমরাও আলকুরআনের অবহেলা কারে। অন্যবই নিয়ে মানুষকে বুঝাবে কিন্তু কুরআন খুলে মানুষকে বুঝাবেনা। আপনার ওয়েব অন্যকেও দেব কুরআনের খেদমতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্রবাদ
332335
২৯ জুলাই ২০১৫ রাত ১২:৩৪
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে... লেখাটি খুবই ভালো লাগলো।
২৯ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০১:০২
274707
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File