কুরআনুল করিম নাযিলের মাস হিসেবেই আল্লাহ পাক এই মাসটিকে ফজিলতের এবং বরকতের জন্য মালামাল করেদিয়েছেন...!

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৩ জুলাই, ২০১৫, ০২:০৫:৫৮ রাত

পবিত্রতম রমজান মাস আমাদের জীবনে বার বার আসে, কিন্তু আরেকবার যে আমরা এ মাসটি পাব তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এই মাসটি এতই বরকতপূর্ণযে তার ফজিলত বর্ণনা করে শেষ করা যাবেনা।

উম্মাহর জন্য এই মাসটি এক বিরাট নেয়ামতের।যা অন্য কোন মাসে তা কল্পনা ও করা যায়না।কুরআনুল করিম নাযিলের মাস হিসেবে আল্লাহ পাক এই মাসটিকে ফজিলতের এবং বরকতের জন্য মালামাল করেদিয়েছেন।যা বর্ণনা করে শেষ করা যাবেনা।

এই মাসে কুরআন নাযেল হওয়ায় এর ফযিলত একটি নফল এবাদত একটি ফরজের সওয়াব আর একটি ফরজ আদায় করলে সত্তরটি ফরজের সমপরিমান সওয়াব দেওয়া হবে।যাহা অন্য মাসে কল্পনাও করা যাবেনা।

আর যে রাত্রিতে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে সে রাতটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এই একটি রাতের ইবাদাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম যা সবে ক্বদর নামেই পরিচিত। এই রাতটি থেকে যেন আমরা মাহরুম হয়ে না জাই।তা শেষ দশ দিনের বে জোড় রাত্রিতেই তালাশ করতে হবে।

এ মাসে বেশি বেশি দান-সাদাকাহ করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,

«كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَجْوَدَ النَّاسِ بِالْخَيْرِ ، وَكَانَ أَجْوَدُ مَا يَكُونُ فِي رَمَضَانَ»

‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল আর রমাদানে তাঁর এ দানশীলতা আরো বেড়ে যেত’’ [সহীহ আল-বুখারী : ১৯০২]।

রমাদান মাস নিজকে গঠনের মাস। এ মাসে এমন প্রশিক্ষণ নিতে হবে যার মাধ্যমে বাকি মাসগুলো এভাবেই পরিচালিত হয়। কাজেই এ সময় আমাদেরকে সুন্দর চরিত্র গঠনের অনুশীলন করতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«وَالصِّيَامُ جُنَّةٌ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ فَلاَ يَرْفُثْ يَوْمَئِذٍ وَلاَ يَسْخَبْ فَإِنْ سَابَّهُ أَحَدٌ أَوْ قَاتَلَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّى امْرُؤٌ صَائِمٌ»

‘‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি রোযা রাখে, সে যেন তখন অশস্নীল কাজ ও শোরগোল থেকে বিরত থাকে। রোযা রাখা অবস্থায় কেউ যদি তার সাথে গালাগালি ও মারামারি করতে আসে সে যেন বলে, আমি রোযাদার’’ [সহীহ মুসলিম : ১১৫১]

আল্লাহ পাক যেন আমাদেরকে এই রমদানের ফজিলত থেকে বন্চিৎ না করেন। এর জন্য নিজেদেরকে সচেতন রাখতে হবে। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফিক দান করুন। আমিন

বিষয়: বিবিধ

১৫৮৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

328385
০৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:১১
অপি বাইদান লিখেছেন : বরকত!!, ফজিলত!! এর রমজান মাসে পাকিস্তানের করাচিতে তিব্র গরম এবং দাবাদহে ১৫০০ মুমিনের মৃত্যু।

নাকি আল্যা মুমিনের ঈমান টেষ্ট করলেন??
328389
০৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:২১
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ১৫০০ মুমিনের মৃত্যু..? না মুনাফিকের মৃত্যু তাতো বলতে পারবোনা! মানুষের তো পরিক্ষা দিতেই হবে। এই রমদান তো মুমিনের ত্বাকওয়া বৃদ্ধির জন্য(খোদা ভীতি) এই রমদানেই ত্বাকওয়ার মাস। আপনাকে ধন্যবাদ
০৩ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:০০
270672
অপি বাইদান লিখেছেন : হুমম!! জটিল বিষয়। ত্বাকওয়ার রমজান মাসে ৯৫% মুমিন মুসলমানের বাংলাদেশে চুরি চামরি, ভেজাল ধাপ্পা দ্বিগুন বেড়ে যায়। হায়রে ত্বাকওয়ার রমজান! ঝাড়ু মারি তোর কপালে।
০৪ জুলাই ২০১৫ রাত ১২:২৯
270741
কুয়েত থেকে লিখেছেন : হুমম, আপনার যে আকৃতি তাতে তাই সোবা পায়।ত্বাকওয়া কি কি সবাই অর্জন করতে পারে..? ধন্যবাদ
328398
০৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:৫৫
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
০৪ জুলাই ২০১৫ রাত ১২:৩০
270742
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনাকে ও অনেক অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File