স্বাগতম হে কুরআনের মাস, হে মাহে রামাদানুল মুবারক..! আহ্ লান সাহ্ লান মাহে রামাদান..!!

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১৫ জুন, ২০১৫, ০৯:৪৬:৩৩ রাত

স্বাগতম হে মাহে রমদানুল মুবারক। একটি বছর ঘুরেই আবারও অসংখ্য নিয়ামত ও সুসংবাদের বার্তা নিয়ে আমাদের দরজায় এসে উপস্থিত হলো মানবজাতির ইহলৌকিক কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তির দিকদর্শন মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কুরআন অবতীর্ণের মাস।

আত্মিক প্রশান্তি লাভের মাস, ইসলামের বিজয়ের মাস, বরকতের মাস, গুনাহ মাফের মাস, হাজার মাসের চেয়েও উত্তম রাত ক্বদরের রাত বিশিষ্ট মাস, দোয়া কবুলের মাস, ধৈর্য ধারণের মাস, সাহায্য-সহযোগিতা-সমবেদনা-সহমর্মিতা প্রদর্শনের মাস।

মঙ্গল ও কল্যাণের প্রতি আহ্বানের মাস, সাম্যমৈত্রী-ঐক্য-ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের মাস, রোজা পালনের মাস, জান্নাত সমূহ উন্মুক্ত এবং জাহান্নাম সমূহ বন্ধের মাস, নিয়ামতপূর্ণ মোবারকময় মাস, জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস।

পবিত্র মাস, সংযম সাধনার মাস, স্থিতিশীলতা শান্তি-সমপ্রীতি নিরাপত্তার মাস, দশমাস রোজা পালনের সমপরিমাণ সাওয়াব বিশিষ্ট মাস, আত্মশুদ্ধির মাস, আত্মবিশ্লেষণের মাস, সমবেদনা প্রকাশের মাস।

রিজিক বাডার মাস, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাস, তাকওয়া অর্জনের মাস, আত্মোন্নয়নের মাস, রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস এবং মুসলমানের শান্তির সওগাত পবিত্র মাহে রমজান।

রমদানুল মুবারক মাস আমাদের নিকটেই এসে উপস্থীত! মুমিন মুসলমান তথা ঈমানদাদের জন্য এর চেয়ে বড় আনন্দের সংবাদ আর কি হতে পারে? যে মাসটির আগমনের জন্য স্বয়ং আমাদের প্রিয় নবীজী, তথা আল্লাহর প্রিয় হাবিব জনাবে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) দোয়া করতেন।

এবং দু’মাস পূর্বথেকে প্রস্তুতি নিতেন এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন, যে “আল্লাহুম্মা বাল্লিগনা রমদান” হে আল্লাহ আমাকে রমযান পর্যন্ত পৌছিয়ে দিন। অর্থাত রমযান নিকটে এসে গেছে এই রমযানের ফযিলত তথা রমযানের বরকত থেকে যেন মাহরুম হয়ে না জান।

রমযান এমন বরকত পূর্ণ মাস, যে মাসটির আগমন মু'মিনদের ত্বাকওয়া বৃদ্ধি করার জন্য। আর ত্বাকওয়া হল এমন একটি গুণ, যা একজন ঈমানদারকে জান্নাতে পৌছিয়েদেবেন। আল্লাহ পাক বিশ্ব মানব মন্ডলিকে জানিয়ে দিলেন যে, যারা ঈমানদার তাদের জন্য আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে কতবড় নেয়ামত তিনি দান করলেন।

এবং এই মাসটিতেই তিনি রমযানের রোযাকে ফরজ করে দিলেন। يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

"হে ঈমানদার লোকেরা যারা ঈমান এনেছো! আমি তোমাদের জন্য রোযাকে ফরজ করে দিয়েছি, যে ভাবে তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের জন্য রোযাকে ফরজ করেছিলাম। আশা করা যায় তোমরা ত্বাকওয়া অর্জন করতে পারবে"। (সুরা বাকারা:১৮৩)

এই রমযান মাস এত গুরুত্ব পূর্ণযে, যার কারন হল এই মাসটিতেই আল্লাহ পাক তার পবিত্র কুরআনুল করিম নাযিল করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِيَ أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ

فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ

"রমজান মাস যে মাসে কুরআনুল করিম অবর্তীণ করা হয়েছে, এতে হেদায়ত রয়েছে সমগ্র মানব মন্ডলির জন্য, সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী সহ সত্য এবং মিথ্যার পার্থ্যক্য সুচিত কারি এই কুরআন, যে এই মাসটির সাক্ষাত পাবে সে যেন পূর্ণ একটি মাস সিয়াম সাধনা করেন"। (সুরা বাকারা:১৮৫)

এই মাসে আরো বহু নেয়ামতের কথা আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে জানিয়েছেন, এই মাসে এমন একটি রাত রয়েছে যে রাতের ইবাদত হাজার মাসের চেয়েও অধীক উত্তম। আল্লাহ পাক বলেনঃ

نَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَمَا أَدْرَاكَ ا

مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ ا

আমি এই কুরআনকে ক্বদরের রাত্রিতে নাজিল করেছি, তুমি কি যান ক্দরের রাত্রি টি কি, কদরের রাত হচ্ছে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। (সুরা কাদরঃ ১-৩)

এই মোবারক রাত্রিটির ইবাদতের জন্য আমাদেরকে ভাল করে প্রস্তুতি নিয়ে রমজানের শেষ ১০ রাত্রিতে কিয়ামুল্লাইল তথা রাত্রি জেগে ইবাদত করা উচিৎ, যাতে করে ক্দরের ফজিলত থেকে মাহরুম না হই। আল্লাহ আমাদেরকে রমদানুল মুবারক এর সকল নেয়ামত দান করুন। আমিন

বিষয়: বিবিধ

২২৩৯ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

326008
১৫ জুন ২০১৫ রাত ১০:২২
নীলাঞ্জনা লিখেছেন : কোরাণের মাস?? ভ্যলেন্টাইন দিবসের মত কোরাণেরও মাস আছে, আগে জানতাম ন। বছরের অন্য মাসগুলো তাহলে কিসের মাস, ইবলিসের???
১৫ জুন ২০১৫ রাত ১১:০৮
268233
কুয়েত থেকে লিখেছেন : নীলাঞ্জনা কি করে জানবে ভাল কিছু? সে তো জানবে ইবলিসের কাজ গুলা! এই রমযান মাসের ক্বদরের রাত্রিতেই প্রথম আল্ কুরআন অবর্তীণ হওয়া শুরু হয়েছে তাই এই মাসকে কুরানের মাস বলা হয়। আর এই কুরআন সমগ্র বিশ্ব মানব মন্ডলির জন্যই নাযিল হয়েছে।ধন্যবাদ
১৫ জুন ২০১৫ রাত ১১:১৩
268236
নীলাঞ্জনা লিখেছেন : সমগ্র বিশ্ব মানব মন্ডলির জন্য আরবীতে নাজিল হয়েছে কেন, আল্লা কি আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষা জানেন্না!!

আর কোরাণের জন্য মাস কেন? তাহলে ভালবাসা দিবস, মা দিবস, বাবা দিবস, ভাষা দিবস...... এসব মেনে নিতে সমস্যা কেন??
১৬ জুন ২০১৫ রাত ১২:১৪
268271
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আমাদের বাংলাদেশেই লক্ষ লক্ষ হাফেজে কুরআন রয়েছে আর পৃথিবীতে সকল ভাষার লোকেরাই কুরআন হেফজ করেছেন। যা অন্য ভাষায় সম্ভব হতো না। আর পৃথিবীর মাঝকানেই হলো আরব তথা নবীয়ে অারবীর জন্মস্থান।এই আরবী ভাষার মতো পূর্ণাঙ্গ ভাষা কোনটায় নয় আশাকরি বুঝেছেন। তবে ঘুমের ভানকরলেতো জাগানো জাবেনা।ধন্যবাদ
১৬ জুন ২০১৫ রাত ০১:০৮
268289
নীলাঞ্জনা লিখেছেন : না বুঝে আরবী কোরাণের 'ছু মন্তর ছু' মূর্খ মুমিন ছাড়া আর কে মুখস্ত করবে? এজন্যই বাংলাদেশের হাফেজ গুলো মানুষের দান ক্ষয়রাত ভিক্ষা খেয়ে বেঁচে থাকে। নিজেদের কোন যোগ্যতা নেই।

আপনার বর্বর আল্যার আরবী ভাষা পৃথিবীর ৯৭% মামুষের কাছে কোন মুল্যই নেই। ভাষাই হবে তো- সভ্যভব্য ইংরেজী ভাষা, স্পেনিস, চাইনিস, ফ্রান্স, হিন্দি, বাংলা......।
১৬ জুন ২০১৫ রাত ০১:২৫
268292
কুয়েত থেকে লিখেছেন : হে নবী আমি এই কোরআন অাপনার কাছে এই জন্য নাযিল করিনাই যে আপনি নিস্বঃ হয়ে যাবেন। কুরআন এসেছে মানুষ তথা জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য। ভিক্কা করার জন্য নয়। বাংলাদেশে কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠা হলে ৪/৫ বৎসরের মধ্য বাংলাদেশে একজন ভিক্কুক ও পাওয়া যাবেনা। হাজার কটি টাকা চুরী করার মত লোক ও পাওয়া জাবেনা। এটাই মহান আল্লাহর বিধান।
১৬ জুন ২০১৫ রাত ০৩:৪৪
268301
নীলাঞ্জনা লিখেছেন : হুমম! ইসলামের পিছলামি দিয়ে যদি দারিদ্র বিমোচন করা যেত তাহলে আপনার মত বাংলাদেশী মুমিনরা ৩০০০/টাকা মাস বেতনে কুয়েতে যেয়ে রাস্তা ঝাড়ু দিত না।
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ০২:৩৭
268422
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনি কি করে জানলেন..?মহাত্মা গান্ধী প্রবর্তিত সাপ্তাহিক 'হরিজন' (সংখ্যাঃ ২৭-০৭-১৯৩৭) পত্রিকায় এক নিবন্ধে তার সহকর্মী কংগ্রেসম্যানদের আবুবকর ও উমরের মত সাধারণ জীবন যাপনের উৎসাহ দিয়েছিলেন।ইসলামের এই দুই খলীফা সম্পর্কে মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন,তারা বিশাল রাজত্বের অধিকারী হয়েও খুবই সাধারণ জীবনযাপন করত।"
উমর ইবনুল খাত্তাব (৫৮০ – নভেম্বর ৩, ৬৪৪) যিনি সচরাচর হযরত উমর নামে অভিহিত, ইসলাম ধর্মের মহানবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ঘনিষ্ঠ সাহাবী। তিনি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর্তাৎ তিনি অর্ধেক পৃথিবীর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি উমর আল ফারুক (সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী) নামেও পরিচিত।
১৬ জুন ২০১৫ দুপুর ০২:৫৭
268429
কুয়েত থেকে লিখেছেন : নীলাঞ্জনা এখনো যারা সঠিক ইসলামের উপর কাজ করবে তাদের দৃষ্ঠন্ত আমাদের দেশেই রয়েছে। মাসুদ ভাই সন্ধারাতে মন্ত্রী মুজাহিদ ভাইয়ের কাছে ফোন করলেন। সালাম-দোয়া বিনিময়ের পর মাসুদ ভাই বললেন, আমাদের একটা জরুরী বৈঠক আছে, এই সময়ের মধ্যে বসার মত তেমন কোন উপযুক্ত জায়গা পাচ্ছিনা, ফজরের নামাযের পর ৪০/৪৫ মিনিট সময়ের জন্য আমরা ৮/১০ জন লোক আপনার বাসায় বসতে চাচ্ছি, যদি আপনার কোন অসুবিধা না হয়। তখন মন্ত্রী মুজাহিদ ভাই বললেন, সমস্যা নাই আপনারা আসতে পারেন।
ঠিক ২০/২৫ মিনিট পর মন্ত্রী মুজাহিদ ভাই মাসুদ ভাইকে ফোন করে বললেন, মাসুদ ভাই আপনারা কি আমার বাসা ছাড়া অন্য কোথাও বসতে পারবেন না! ফোনের অপর প্রান্তে মাসুদ ভাইকে চুপ থাকতে দেখে মন্ত্রী মুজাহিদ ভাই আবার বললেন, ভাই আসলে হয়েছে কি, আমি যে আমার বাসায় আপনাদের বসতে দিবো, আপনাদের বসানোর মত কোন সোফাসেট অথবা ভাল চেয়ার আমার বাসায় নাই। তখন মাসুদ ভাই বললেন, সমস্যা নাই, আমরা ফ্লোরেই বসবো। মাসুদ ভাইয়েরা যখন প্রোগ্রাম করতে বাসায় গেলেন তখন মন্ত্রী মুজাহিদের বাসার সাদামাটা ডেকোরেশন দেখে কেউ সেইদিন নিজেদের চোখের পানি ধরে রাখতে পারেন নি।
326035
১৫ জুন ২০১৫ রাত ১১:২৪
আবু জারীর লিখেছেন : ভালো লাগলো
ধন্যবাদ
১৬ জুন ২০১৫ রাত ১২:১৫
268273
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভালো লাগার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ
326345
১৭ জুন ২০১৫ সকাল ০৮:৪৬
১৭ জুন ২০১৫ দুপুর ০১:৪৮
268720
কুয়েত থেকে লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খাইর লিং পা পড়ে ভালই লাগলো ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File