কার ভুলের মাসুল কাকে দিতে হচ্ছে
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৬ মার্চ, ২০১৩, ১০:২৮:২৬ রাত
আওয়ামী লীগ জানে,শেখ মুজিবের ভুলের কারণে এখন আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব নয়। তাই দলটি একবার জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে, আবার তাদের চাপ দিয়ে নিরপেক্ষ রাখতে চায়।
এ জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-এর নাম পরিবর্তন করে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল করা হয়েছে ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, দেশব্যাপী জামায়াত-শিবিরের গণআন্দোলন, রাষ্ট্রীয় হত্যা-সন্ত্রাস ও জনগণের প্রতিবাদের সামনে এই বির্তকিত ট্রাইবু্নালের কোন মূল্য নেই।
শেখ মুজিব ১৯৭৩ সালে বাঙালি ক্ষমা করতে জানে বলে জুলফিকার আলী ভুট্টোকে চুমো দিয়ে ১৯৫ জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা করেছিলেন।
শেখ হাসিনা জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে ১৯৮৬ সালে এরশাদের অধীনে নির্বাচন করেন। ১৯৯৪ সালে জামায়াতের সঙ্গে একমঞ্চে আন্দোলন করে এবং ক্ষমতায় গিয়ে ১৯৯৬ সালে জামায়াতকে দুটি মহিলা আসন ও দেয়।
শাহবাগের তরুণ প্রজন্মের জাগরণ হল সরকার পালিত নির্লজ্জ এক জাতি ধ্বংসের সড়যন্ত্র। তা আওয়ামী বুদ্ধিজীবী বাম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত
এখন এর মাধ্যমে গণবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ ভোটের পাল্লা ভারী করতে চাইছে মাত্র। শাহবাগের তরুণ প্রজন্মকে বুঝতে হবে, ৪২ বছর ধরে ঘুরে-ফিরে যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারা তাদের শ্রেণীস্বার্থে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেনি। আওয়ামী লীগও করবে না।।
পাকিস্তানি সৈন্য ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ছিল এ দেশের জনগণের প্রাণের দাবি। আর জনগণের এই প্রাণের দাবিকে ১৯৭২ সালেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ উপেক্ষা করেছিল।
আওয়ামী লীগ ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানি হানাদারদের ৯৩ হাজার সৈন্য এবং ১৯৫ জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর বিচার ছাড়াই পাকিস্তানে ফিরে যেতে দিয়েছিল।
তারা রাজাকার-আলবদরদের সাধারণ ক্ষমা করতেও দ্বিধা করেনি। এখন গণবিচ্ছিন্ন হয়ে এর মাধ্যমে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করছে মাত্র।
শাহবাগ এখন পিকনিকে পরিণত হয়েছে। এ আন্দোলনে কারা যায়, কারা ওই মঞ্চের নিয়ন্ত্রক? আন্দোলন কার বিরুদ্ধে হচ্ছে?
বিষয়: বিবিধ
১০৭৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন