ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দত্তক গ্রামে একটি মুসলমানেরও ঘর নেই..! তা কি কাকতালীয় ঘটনা..?
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০৩:৪৩:৪৮ দুপুর
স্বচ্ছ ভারত অভিযান এর অংশ হিসেবে একটি গ্রাম 'দত্তক' নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অবশ্যই কাজটি নিঃসন্দেহে মহৎ। কিন্তু একটা বিষয় নিয়ে বিতর্ক উঠেছে- তা হল তার দত্তক গ্রামে নাকি একটি ঘরও মুসলমানদের নেই।
এটা কি সচেতনভাবে রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিফলন নাকি তা কাকতালীয় ঘটনা তা নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। সংসদ আর্দশ গ্রাম যোজনার অধীনে বারানসীর সংসদ হিসেবে গত ৭ নভেম্বর শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের জন্য জয়পুরকে দত্তক নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সুচনার মাহফিল থেকে কন্যাভ্রুণ হত্যা বন্ধের ডাক দিয়ে সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে ভালো ভালো কথাও বলেছেন তিনি। কিন্তু গোটা গ্রামে যে একজনও মুসলমান থাকেন না এই তথ্য প্রকাশ্যে অাসার পর থেকেই শুরু হয়ে গেছে বির্তক।
প্রধানমন্ত্রী নিজে অবশ্য জয়পুরকে বেছে নেয়ার পেছনে আবেগের কথাই বলেছেন। বিজেপির তরফ থেকেও বলা হচ্ছে, এটা নেহায়েতই কাকতালীয়।
জয়পুর গ্রামে সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠী কুরমি। কুরমি জনগোষ্টী এই লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির একমাত্র জোটসঙ্গী অীপনা দলের দীর্ঘদিনের ভোটব্যাংক। জয়পুর দত্তক নেয়ার পেছনে সেই সমীকরণ কাজ করছে কি না, এমন কথাও বাতাসে ভাসছে।
অবশ্য এর অাগে থেকেই এ গ্রামটি আরএসএস এর উন্নয়ন কর্মসুচির আওতাধীন ছিল। ২০০৬ সালে নিজেদের গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য জয়পুরকে বেছে নিয়েছিল আরএসএস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীযখন এই গ্রামটিকে দত্তকনেয়ার ঘোষনা দেন তখন তারা আপত্তিও জানায়। তবে তা ধোপে টেকেনি।
মোদির দাবি, জয়পুর গ্রামের নাম তিনি প্রথম শোনেন উত্তরপ্রদেশে লোকসভা ভোটের প্রচারের সময়। সে সময় শুনেছিলেন ওই গ্রামে পাঁচজন লোক বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে মারা গেছেন। তিনি চেয়েছিলেন দুঃখের সময় এই গ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
মানব কল্যাণে যদি তিনি তা করেই থাকেন তাহলেতো খুবই ভাল কিন্তু একটি মুসলিম ঘরও নাই এমন গ্রামকেই বেঁচে নিতে হবে...?
বিষয়: বিবিধ
১১৭৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন