হে নবী..! আপনি তাদের জন্য সত্তর বারও যদি ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তাহলেও আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেননা...।আল কুরআন

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১৫ নভেম্বর, ২০১৪, ০৩:৪৬:২২ দুপুর

তারাওতো মুসলমানই চিল শূধূ কি তাই..? না..!তাই নয় তারা সয়ং নবীজির সাথেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সাথেই আদায় করতো। এবং প্রকাশ্য ইসলামের জন্য খুবই ময়া কান্না করতো, কিন্তু ইসলাম সগৌরবে টিকে থাকুক তা তারা মনে প্রানে চাইতো না।

তারা ইসলামের সকল আনুষ্ঠানাধি পালন করতো সবার আগে।কিন্তু যা কিছু তারা করতো তা ছিল লোক দেখানো যাতেকরে সাধারন মুসলমানেরা মনে করেন তারা খুব ভাল মুসলমান।কারন মুসলিম সমাজে থাকতে হলে এর বিকল্প ছিলনা।তারা অন্তর থেকে চাইেতো ইসলামের ক্ষতি।

এবং ইসলামের শত্রুদের সাথে মিলেমিসে ইসলাম ধ্বঃসের জন্য সকল সড়যন্ত্র টিকই করতো। আজ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে মুসলমান নামধারীরা যা করছে তা নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর যুগে মুসলিম নামধারী মোনাফিক দেরকেও হারমানিয়েছে।

তাহলে আমাদেরকে কি করা উচিৎ, কুরআনের শিক্ষাকি গ্রহন করতে হবেনা। কুরআনকে সর্বক্ষেত্রে মানতে হবেনা..? জিবনভর কুরআনের বিরুধিতাকরে মরার পর কুরান খানী করে, কুলখানী করে কি লাভ। তা আমাদের কোন কাজে আসবে...?

যার স্পষ্ট উদাহরণ স্বয়ং পবিত্র কুরআনে করিমেই রয়েছে। নবী করিম (সাঃ) এর যুগে মুনাফিকরা আল্লাহর রাসুলের পেছনে নামাজ পড়তো, রাসুলের মুখের ওয়াজ নসিহত শুনতো। কিন্তু এরা পেছনে মুসলমানদের ক্ষতি করার চেষ্টা করতো।

এই প্রকৃতির মুনাফিকরা মরার পর আল্লাহর রাসুল যখন জানাযার নামায পড়ানোর জন্য ইমামের স্থানে অগ্রসর হচ্ছিলেন, তখন পেছন থেকে হযরত ওমর(রাঃ) কাপড় টেনে ধরলেন, বললেন এয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কি করছেন? তবুও আল্লাহর রাসুল জানাযা পড়ালেন।

তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে হযরত ওমর (রাঃ) পক্ষে পবিত্র কুরআনের এই আয়াত অবতীর্ন হয়: আল্লাহ বলেন, হে নবী ..! তুমি এ ধরনের লোকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো বা না করো, তুমি যদি এদের জন্য সত্তর বারও ক্ষমা প্রার্থনা কর তাহলেও আল্লাহ তাদেরকে কখনই ক্ষমা করবেন না।(সুরা তওবা:৮০)

এ হলো স্বয়ং নবীজির প্রতি আল্লাহর র্নিদেশ।এখন আমাদের সমাজে তথা আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের নামধারী মুসলমানদের কি হবে? যারা ঈমানের দ্বাবী পূরণ করার জন্য চেষ্টা করছে তাদেরকেই শেষ করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।তারাকি মুক্তি পাবে?

বিষয়: বিবিধ

১৪৮৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

284452
১৫ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৪
আফরা লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলামের সঠিক বুঝ দান করুন ও সঠিক ভাবে ইসলামকে মেনে চলার তৌফিক দান করুন । আমীন ।

জাজাকাল্লাহ খাইরান ।
১৫ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৮
227675
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আমিন সুম্মা আমিন। সুন্দর মনতব্যটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
284503
১৫ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৬
মামুন লিখেছেন : যারা ঈমানের দ্বাবী পূরণ করার জন্য চেষ্টা করছে তাদেরকেই শেষ করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।তারাকি মুক্তি পাবে? - বড্ড ভাবনার ভিতরে ফেলে দিলেন ভাই। লিখাটির জন্য অনেক ভালো লাগা রেখে গেলাম। জাজাকাল্লাহু খাইর। Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
285521
১৮ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৪
কুয়েত থেকে লিখেছেন : লেখাটি পড়ে মুল্যবান মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
293359
১১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৫
সালাম আজাদী লিখেছেন : ভালো লেখা। অনেক শুকরিয়া
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৪
238134
কুয়েত থেকে লিখেছেন : লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকুন।
293647
১২ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৪
সত্যলিখন লিখেছেন : বাংলাদেশে এই রকম হুজুরের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে আর ইসলাম কায়েম করার মত লোকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫০
238137
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ইসলাম কায়েম করার মত লোকের সংখ্যা বাড়ানোর কাজটা যে আমাদেরকেই করতে হবে!কাজটা কষ্টসাধ্য হলেও অসাধ্য নয়। হাদিসটি বর্নণা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File