দুনিয়ায় সেরা মিথ্যা গুলোকে সত্য বানিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেও কি শেষ করা যাবে..?

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০২:০৭:৪৮ দুপুর

বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে ভারতের

সারদা গ্রুপ জামায়াতে ইসলামীকে কোটি কোটি টাকা দিয়েছে

এমনটাই দাবি করা হয়েছে ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজার-এ।

আজ শুক্রবার পত্রিকাটিতে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এর সঙ্গে পশ্চিম বাংলার তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান জড়িত। সরকারিভাবে এ ঘটনার তদন্ত চেয়েছেন রাজশাহীর

সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা ও সাতক্ষীরার সাংসদ মুস্তাফা লুৎফুল্লা।

তবে আনন্দবাজার বলছে, ভারতের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ইমরান তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।

জানতে চাইলে সাংসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক

ফজলে হোসেন বাদশা প্রথম আলোকে বলেন, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে যখন সীমান্ত এলাকা থেকে প্রচুর গান পাউডার

আসছিল, তখন আমাদের সন্দেহ হয় সীমান্তের ওপার থেকে কেউ না কেউ জামায়াতকে মদদ দিচ্ছে।

আনন্দবাজার-এ আজকের প্রতিবেদন প্রকাশের পর সেটা প্রমাণ হয়েছে। আমরা মনে করি, সারদা দুর্নীতির টাকা বাংলাদেশে এসেছে। আর এই দুর্নীতির টাকা পেয়েছে জামায়াত।পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের অনেক সাংসদ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

ফজলে হোসেন বাদশা আরও দাবি করেন, একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির আতাউর রহমান বলেছিলেন, সীমান্তের ওপার থেকে তাঁরা সাহায্য পান। এ জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসা করা দরকার।

এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশ সরকারের উচিত বিষয়টি তদন্ত করা। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে আনন্দবাজার বলছে, ২০১২ ও ২০১৩ সালে তৃণমূল সাংসদ ইমরানের মাধ্যমে ভারত থেকে দফায় দফায় বিপুল পরিমাণ অর্থ জামায়াত ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর হাতে পৌঁছেছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের

শীর্ষ নেতাদের বিচার শুরু হলে দলটি ব্যাপক নাশকতা ও সহিংসতা ঘটায়। এ সময় উত্থান ঘটে আরেকটি সংগঠন হেফাজতে ইসলামের।

গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, এসব সহিংসতায় ইন্ধন

জোগাতেই এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল, যার একটা বড় অংশ সারদা গ্রুপের। আবার ভারতের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়।

সারদার কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সে নগদ ভারতীয় টাকার বান্ডিল

ভরে তা নিয়ে যাওয়া হতো বনগাঁ, বসিরহাট, নদিয়া,

মালদহ, বালুরঘাট ও কোচবিহারের সীমান্ত এলাকায়।

পরে তা বাংলাদেশি টাকা, ডলার বা ইউরোয় পরিবর্তন করে জামায়াতের এজেন্টদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া হুন্ডির মাধ্যমেও বাংলাদেশে সারদা গ্রুপের টাকা লগ্নি হয়েছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও বলেছে, জামায়াতের পরিচালনায় বাংলাদেশের বেশ কিছু হাসপাতাল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেনামে সারদা গ্রুপ

টাকা বিনিয়োগ করেছে।

আর এই অর্থ জামায়াত সহিংস আন্দোলন সংঘটনের কাজে খরচ করেছে। সাতক্ষীরার সাংসদ মুস্তাফা লুৎফুল্লা প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াতের দুষ্কৃতকারীরা পুলিশের হাত

থেকে বাঁচতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে যায়। আমাদের হাতে এ ধরনের অনেক তথ্যপ্রমাণ আছে।

এ ছাড়া সুনির্দিষ্ট খবর আছে, সেখানে শাসক দলের নেতারা জামায়াতের দুষ্কৃতকারীদের আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করছে এবং নিয়মিত অর্থের জোগান দিয়েছে। এগুলো আমরা স্থানীয়

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছি।

তিনি দাবি করেন, সীমান্তে গরু বেচাকেনার আড়ালে জামায়াতের নেতারা এসব অর্থ আনত। আবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনেও সাতক্ষীরার জামায়াতের নেতা-কর্মীরা তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছে।

কোরানের একটি আয়াতই এখন বলতে চাই. " তারা চায় তাদের মুখের ফুৎকার দিয়ে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে. কিন্তু আল্লাহ চায় তার নূরকে প্রজ্জলিত করবেনই.এতে কাফেরদের মনে যতই জালা জন্ত্রনাই হোক না কেন।(সুরা সফ আয়াত ৯)

সুতরাং তারা চাইবেই দুনিয়ায় সেরা মিথ্যা গুলোকে সত্য বানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে. কিন্তু তারা সফলকাম হবেনা ইনশা আল্লাহ।

বিষয়: বিবিধ

১৭৬১ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

264535
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:১৬
কাহাফ লিখেছেন : " তোমরাই হবে বিজয়ী,যদি তোমরা মুমিন হতে পার। আল কোরআন।"
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৩
208162
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ইন্সা আল্লাহ বিজয় মু'মুনদের হবেই আপনাকে ধন্যবাদ
264551
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৫
নিউজ ওয়াচ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৫
208163
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভালো লাগার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
264581
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪২
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : মিথ্যার বেসাতী দিয়ে সত্য বানানো যায় না। অপবাদ দেওয়া যায় মাত্র। অনেক ধন্যবাদ
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৭
208164
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনি সটিক কথাই বলেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
264595
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৮
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : শেরেবাংলা তখন কলকাতার মেয়র। হঠাত্ একদিন তাঁর গুণ কীর্তন করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার। সেটি দেখে শেরেবাংলা একে ফজলুল হক বলেছিলেন নিশ্চয়ই আমি কোনো ভুল পদক্ষেপ নিয়েছি। যেটা বাঙালি মুসলমানদের স্বার্থবিরোধী। নতুবা আনন্দবাজার আমার পক্ষে লিখবে কেন! আনন্দবাজার যখন আমার পক্ষে লিখবে তখন মনে করতে হয় আমি সঠিক পথে নেই। আনন্দবাজার যখন আমার বিপক্ষে লিখে তখন মনে করতে হয় আমার পদক্ষেপ সঠিক হচ্ছে। কারণ, আনন্দবাজার হিন্দু জাতীয়তাবাদের পক্ষে এবং মুসলমানদের বিপক্ষের একটি পত্রিকা।

সূত্র-অলিউল্লাহ নোমান, আমার দেশ, ২২/১২/২০১৩

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:২২
210121
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনি সটিক কথাটি বলেছেন।আপনাকে ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File