অমুসলিমরা জানে কি ভাবে মুসলমানদের ঈমান শক্তি ধ্বংস করতে হবে...!
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৬ জুন, ২০১৪, ১২:৪৩:৪৯ রাত
বাইবেলের বা বেদ-উপনিবেষদের জ্ঞান দিয়ে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করা অসম্ভব। অসম্ভব মুসলিম জনপদে পাদ্রী বা পুরোহিতদের নামিয়ে।
ব্রিটিশ শাসকেরা সেটি জানতো। জানে আজকের ভারতীয় হিন্দুশাসকগণও। ফলে ইসলামের বিরুদ্ধে তারা সৈন্য নামিয়েছে ধার্মিক মুসলিম বা ইসলামী শিক্ষার ছ্দ্দবেশে। যুগে যুগে ইসলামের শত্রুপক্ষের এটাই কৌশল।
মুসলমানেদের মাঝে কাউকে নামিয়েছে আলেমের বেশে, কাউকে বা রাজনীতিবিদ বা বুদ্ধিজীবীর বেশে। তেমন এক স্ট্রাটেজী নিয়ে ব্রিটিশগণ ভারতে আলিয়া মাদ্রাসা খুলেছিল।
উপমহাদেশের মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে এসব মুসলিম নামধারিদের হাতে। বাংলাদেশের ন্যায় মুসলিম দেশে সূদী লেনদেন, ঘুষ, বেপর্দা ও অশ্লিলতা,সেক্যুলার রাজনীতি, পতিতাপল্লি, মদ্যপান ও ব্যভিচারের ন্যায় নানা দুর্বৃত্তি বিনা প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তো তাদের কারণেই।
এরা মুসলমানদের দৃষ্টি থেকে আড়াল করেছে জিহাদের ন্যায় ইসলামের মূল শিক্ষাকে। ফলে নিরাপদ হয়েছিল তাদের ১৯০ বছেরের শাসন। ইসলামে বিরুদ্ধে সে সফল স্ট্রাটেজী নিয়ে তারা আবার ময়দানে নেমেছে বাংলাদেশে।
এখন সে কাজে বাংলাদেশে ব্যবহার করতে চায় জনগণের নিজ অর্থে প্রতিষ্ঠিত হাজার হাজার স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সেক্যুলারিষ্টদের সহায়তায় ইতিমধ্যই এখন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের হাতে অধিকৃত।
অধিকৃত দেশের অধিকাংশ মিডিয়াও। শুরু হয়েছে ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রপাগান্ডা। তাদের কথা, ইসলাম এ যুগে অচল। ইসলামের নামে মুসলমানদের চৌদ্দশত বছর নেয়া যাবে না। যেন ইসলাম শুধু নবীজী (সাঃ)র জামানার লোকদের জন্যই নাযিল হয়েছিল।
তারা শরিয়তকে বলছে মানবতাবিরোধী। সে প্রপাগান্ডাকে ব্যাপকতর করছে বাংলাদেশের বহু টিভি চ্যানেল,পত্র-পত্রিকা ও বই-পুস্তক। সেগুলির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠা করেছে হাজার হাজার এনজিও।
এদের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠা হলো, নবীজী (সাঃ)র আমলের ইসলামকে জনগণের মন থেকে ভূলিয়ে দেওয়া এবং আল্লাহর কোরআনী হুকুমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী করা।
বাংলাদেশে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশী-বিদেশী ইসলামী বিরোধী শক্তির সম্মিলিত স্ট্রাটেজী হলো,মুসলমানদের জীবন থেকে জিহাদের সংস্কৃতি বিলুপ্ত করা। এবং ভূলিয়ে দেয়া ইসলামের এ মৌল শিক্ষাটিকে। অথচ ইসলাম থেকে নামায-রোযাকে যেমন আলাদা করা যায় না, তেমনি আলাদা করা যায় না জিহাদকেও।
পবিত্র কোরআনে জিহাদে যোগ দেয়ার নির্দেশ এসেছে বার বার। অর্ধেকের বেশী সাহাবা শহীদ হয়েছেন জিহাদে। নবীজী (সাঃ) নিজে রক্তাক্ষয়ী যুদ্ধ লড়েছেন বহুবার। ইসলামের বহুশত্রুকে হত্যা এবং বনু কুরাইজা ও বনু নাযির ন্যায় ইহুদী বস্তিকে নির্মূল করা হয়েছে তাঁরই নির্দেশে।
অথচ নবীজী (সাঃ)র সে আপোষহীন নীতি ও ইসলামের সে সংগ্রামী ইতিহাসকে তারা সুপরিকল্পিত ভাবে আড়াল করতে চায়। নামায-রোযা, হজ-যাকাতের বাইরেও শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি, প্রশাসন, প্রতিরক্ষা ও আইন-আদলতের সংস্কারে ঈমানদারের যে গুরুতর দায়ভার রয়েছে সেটিকেও ভূলিয়ে দিতে চায়।
সৈনিকদের হাত থেকে হাতিয়ার কেড়ে নিলে তারা শক্তিহীন ও প্রতিরক্ষাহীন হয়, তেমনি ঈমানদারগণ জিহাদশূণ্য হলে ইসলামের পক্ষে দাঁড়াবার কেউ থাকে। শত্রুপক্ষ তখন বিনা বাধায় আল্লাহর শরিয়তী বিধানকে আস্তাকুঁড়ে ফেলে।
আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হয়তখন সর্বত্র জুড়ে।বাংলাদেশের ১৫ কোটি মুসলমানের সামনে আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হচ্ছে,এবং তাঁর শরিয়তী বিধান অপমানিত হচ্ছে তো এ কারণেই। সাহাবায়ে কেরামের যুগে মুসলমানদের সংখ্যা এর হাজার ভাগের এক ভাগও ছিল না।
কিন্তু তাদের সামনে আল্লাহর শরিয়তী বিধান এভাবে পরাজিত ও অপমানিত হয়নি। কারণ তাদের ঈমানের সাথে জিহাদও ছিল। বাংলাদেশের মাটিতে ইসলামের এ এক শোচনীয় পরাজয়। বিপুল বিজয়ীর বেশে এখানে ইসলামের শত্রুপক্ষ। মহান আল্লাহর বদলে রাষ্ট্রের মালিক-মোখতার হয়ে পড়েছে দুর্বৃত্তরা।
অথচ এ বিজয় আনতে শত্রুপক্ষকে একটি তীরও ছুড়তে হয়নি। কারণ সে যুদ্ধটি হয়েছে বুদ্ধিবৃত্তি ও সংস্কৃতির ময়দানে,এবং যুদ্ধ লড়েছে সাংস্কৃতিক কর্মীরা। নিজেদের রক্তক্ষয় ও অর্থব্যয় এড়াতে বাংলাদেশের ন্যায় একটি মুসলিম ভূমিতে এমন একটি যুৎসই সাংস্কৃতিক যুদ্ধকেই তারা লাগাতর চালিয়ে যেতে চায়। ফলে এ যুদ্ধের শেষ নাই।
দেশটির সাংস্কৃতিক রণাঙ্গনে তাদের বিপুল সৈন্যসমাবেশ ও আয়োজন দেখে তা নিয়ে কি কোন সন্দেহ আছে,,?
বিষয়: বিবিধ
১৪০৩ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একটু আগে বাংলা ভিষন চ্যানেলে দুই বাম নেতা মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে খুব বড়বড় কথা বললেন। অনেক চেষ্টা করেও ফোন করে এই প্রশ্নটা করতে পারলাম না যে এই বাম নেতারা গত ৪টি সংসদ নির্বাচনে এবং সাম্প্রতিক উপজেলা র্নির্বাচনে কয়টা ভোট পেয়েছেন!! যে তারা জনগনের দাবি করছেন!!!
কিছু জানতে পারলাম
সত্তিই ওরা আমাদের পিছন থেকেই যুদ্ধ করছে। আমরা অদৃশ্য শত্রু প্রতি তলওয়ার চালাই অন্ধ ভাবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন