ঈমানদারকে মুসলমান হতেই হবে
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১০:৫৪:০৬ রাত
মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেই আমরা পৈত্রিক সুত্রে ঈমানদার হয়েছি। আমরা সকলেই ঈমানের দাবিদার তথা ঈমানদার। এটা আমাদের জন্য এক বিরাট নেয়ামত মহান আল্লাহর পক্ষথেকে।
কিন্তু এটাযে আমাদের জন্য কত বড় মূল্যবান সম্পদ তা আমরা জানিনা এবং জানার চেষ্ঠাও করিনাই। তা না জানারই কথা! কারন এর জন্য আমরা কোন ত্যাগ ও কোরবানী স্বীকার করিনাই বা করতে হয়নি।
কারন তা আমরা পৈত্রিক সূত্রে পেয়ে গেছি। এই নেয়ামতের অনুভুতি আমরা অনুভব করতে পারিনা, যেমনটা পারে নতুন মুসলমান ভাইয়েরা যারা অনেক ত্যাগের বিনিময়ে ইসলাম গ্রহন করে ইসলামের সুসীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে।
কোন জিনিস সহজে পাওয়া গেলে তার মূল্য তেমন একটা হয় না। কারন সহজে ও বিনাশ্রমে তা আমরা পেয়েগেছি, যার জন্য আমরা এর মূল্য ও দিতে যানিনাই।
ঈমানের মত অমুল্য সম্পদ আমরা পাওয়ার পরেও নিজেরা মুসলমান হয়ে ইসলামী জীবন বিধান অনুযায়ী নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে পারছিনা।
অথচ এর জন্য আমাদেরকে কোনদিন একটু পেরেশানীও করতে হয়নি, একটু চিন্তা ফিকির ও করতে হয়নি। কারন সহজে পাওয়া জিনিসের জন্য অত মাথা ব্যাথার কি আছে? বাস্তবে এর জন্য তথা ইসলামের জন্য আমাদের কি কোন কিছুই করার নেই?
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন: হে ঈমানদার লোকেরা যারা ঈমান এনেছো! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর,যে ভাবে ভয় করা উচিৎ, এবং তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যু বরণ করনা।(সুরা আলে ইমরান:১০২)
আল্লাহ তায়ালা ঈমানদার দেরকেই ডেকে বলেছেন যে, আল্লাহকে এভাবেই ভয় করতে হবে যেভাবে ভয়ের হক আদায় হয়,এবং তোমাদের মৃত্যু হওয়া উচিৎ নয়, যতক্ষণ না তোমরা মুসলমান না হবে।
তাহলে ঈমানদার দেরকেই মুসলমান হতেই হবে। কেননা ঈমানদারের অভাব নেই, কিন্তু মুসলমানের বড়ই অভাব। মহান আল্লাহ তা'য়ালা বলেন হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামে প্রবেশ কর।এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরন করোনা, নিশ্চই সে তোমাদের জন্য প্রকাশ্য শত্রু।(সুরা বাকারা:২০৮)
এখানেও আল্লাহ তা'য়ালা ঈমানদার দেরকেই সম্ভোধন করে বলেছেন যে, তোমরা পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামে অর্থাৎ আনুগত্ব্যর বিধানে প্রবেশ কর। এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরন করোনা।
আনুগত্য তথা মুসলমান না হলে শয়তান থেকে বাঁচা যায়না। তার মানে আনুগত্বের বিধানে প্রবেশ কারতে হলে মুসলমান হতেই হবে। সিলমুন দাতু থেকে মুসলিম। অর্থাৎ আত্বসর্ম্পণ কারী'ই হল মুসলিম।
ঈমানদার হওয়াটা সহজ,তথা বিশ্বাসী হওয়াটা সহজ বিষয়। কিন্তু আত্বসর্ম্পন কারী মুসলমান হওয়াটা এক কঠিণ বাস্তবতা। আমাদের এই সমাজে সবাই চায় সহজে সবকিছু অর্জন করতে।
এমনকি জান্নাত ও আমরা সহজে পেতে চাই। সহজে যদি জান্নাতের সন্ধান পাওয়া যায়, তাহলে এত কষ্টকরে মুসলমান তথা আত্বসর্ম্পন কারী হওয়ার দরকার কি?
যদি ঈমানদার হয়ে সহযে জান্নাতে প্রবেশ করা যায়? তাহলে এইটাইতো আমাদের জন্য সহজতর বিষয় যা বিনা কষ্টে পাওয়া যায়। আসলে তা কি বাস্তবে সম্ভব?
অথচ মহান আল্লাহ তা'য়ালা বলেন; মানুষেরা কি মনে করেছে, যে আমরা ঈমান এনেছি একথা বললেইন পরীক্ষা ছাড়া তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে? অথচ আমি তাদের পূর্ব বর্তীদের কে পরীক্ষা করেছি। এ দাবীতে কারা সত্যবাদী আর কারা মিথ্যাবাদী আল্লাহ অবশ্যই তা জেনে নিবেন।(সুরা আনকাবুত:২-৩)
অন্যত্রে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন! নিশ্চই আমি তোমাদেরকে পরিক্ষা করবো কিছুটা ভয় ভীতি(প্রতিপ্রদ পরিস্তিতি) ক্ষুধা এবং মাল, জান ও ফলের ক্ষতি দ্ধারা। ধৈর্য্য অবলম্বন কারীদেরকে শুসংবাদ দাও।(সুরা আল বাকারা:১৫৫)
পৃথিবীর ইতিহাস পর্যালোচনায় আমরা দেখতে পাই যুগে যুগে মুসলিম বিশ্বে মুসলিম নামধারি ঈমানদারদের হাতেই মুসলমানেরাই নির্যাতিত হয়েছে, নিপিড়িত হয়েছে, জেল যুলুম থেকে শুরুকরে ফাঁসির মন্চে গিয়ে জীবনও দিতে হয়েছে।
কারন প্রকৃতপক্ষে ঈমানদারেরা বাস্তবে মুসলমান তথা আত্বসর্ম্পণ কারী না হওয়ার কারনেই মুসলমানদের উপর নির্যাতনের ষ্টিমরোলার চালিয়েছে। এবং বর্তমানেও চালাচ্ছে।
তাই আমাদেরকে সত্য মিথ্যার পার্ত্যক্য বুঝার জন্য ঈমানের সাথে সাথে মুসলমান ও হতে হবে। মুসলমান হলেই আমরা সত্য পথের সৈনিক হতে পারব ,এবং সত্য মিথ্যার পার্থ্যক্য উপলব্ধি করতে পারব।
আল্লাহ আমাদেরকে খাঁটিও একনিষ্ট ত্বাকওয়াদার মুসলমান হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন