পরনির্ভরশীল নতজানু নীতির নামই ব্যক্তিত্বহীন নেতৃত্বের নাম..!
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১২ এপ্রিল, ২০১৪, ০৪:০৯:১৩ বিকাল
আমাদের প্রিয় জন্ম ভূমি বাংলাদেশ আলেম ওলামা এবং মুসলমানদের দেশ এই বাংলাদেশ।গত ২০শে মার্চ ২০১৪ দেশে গিয়েছিলাম আমার ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে। ইন্নালিল্লাহী ওয়াইন্না ইলাইহি রাজীয়ুন।
প্রবাসীদের জন্য এটা খুবই দুখের সংবাদ ছোট ভাই আমার আট বছরের ছোট।আমি চুটি পেয়েছি মাত্র তিন দিন। ২১শে মার্চ জুমাবার মসজিদে আজানের আগেই গেলাম। আমাদের মসজিদকে মেখল বড় হুজুরের মসজিদ বলাহয়।
তখনো বেশী মুসল্লীরা আসেনি ২৫/৩০ জন বয়স্ক মুসল্লি এসেছেন। লক্ষ করে দেখলাম সারা মসজিদে তিনটির বেশী কুর'আন শরিফ নেই। চার মাস আগে ও দেশে গিয়ে ২০টি কুরআন শরিফ কিনে দিয়েছিলাম জিজ্ঞাসা করে জান্তে পারলাম কুরআন শরিফ গুলি নুরানী মাদ্রাসায় দিয়ে দিয়েছেন।
আমি কয়েক জন মুরুব্বীরদের সাথে সালাম বিনিময় করলাম।সবার হাতে লম্বা লম্বা তসবিহ আছে।অনেকেই বেশী কথা বলতে পারলেন না কারন তসবিহ করেই যাচ্ছেন। ভাল কথা কিন্তু একটা লোকের হাতেও কোরআন শরিফ নেই।
আমাদের এই মসজিদে প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ মুসল্লী নামাজ পড়েন জুমায়ার দিন। প্রশ্ন হল মুসলমানেরা তসবিহর মধ্যেই আল্লাহর রেজামন্দী তালাস করছেন..? আল্লাহকি বলেছেন তা কারো জানার প্রয়োজন আছে বলে মনেই হচ্ছেনা।
আমাদের আলেম ওলামাদের এই অন্চলে কোরআন সুন্নাহর এত অবহেলার জন্য কে দায়ী..? নিরজনেবসে তসবিহ করতে কোন আপত্তি নেই কিন্তু কুরআন বুঝতে তেলাওয়াত করতে আপত্তি কেন..?
আজ আমরা কুরআন থেকে দূরে অবস্থান করছি বলেই তাগুতের গোলামি করছি। আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক কওমের জন্য নবী রাসুল প্রেরন করেছেন। কারন তারা যেন আল্লাহর দাসত্ব করেন এবং তাগুতকে বর্জন করেন। আল কোরআন।
আমরা সকলেই দুনিয়া চেড়ে যে কোন মূর্হুতে আল্লাহর নিকঠ চলে যেতেই হবে কিন্তু প্রতি মুহুর্তই মৃত্যেুর জন্য প্রস্তুত থাকতেই হবে। তাই আমাদের দুনিয়ার সাফল্য এবং পর কালের সাফল্যর জন্য এক মাত্রই সহায়ক হল কুরআন ও সুন্নাহ।
আলেম ওলামারা যতদিন কুরান সুন্নাহর অবহেলা করবেন ততদিনই তাহারা তাগুতের তোশামুদি করতেই হবে।আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক অর্থে নবীর ওয়ারিশ হওয়ার তাওফিক দিন আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন