যে ভাল কাজ করলো, তা সে তার নিজের জন্যই করলো..!
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৫:২৭:৫৯ বিকাল
আমরা সকলেই ভাল কাজ তথা নেক কাজ করতে চাই, একজন সৎ, ভাল মানুষের চিন্তাও তাই হওয়া উচিৎ। আল্লাহ তাআলা বলেন ! যে ব্যক্তি ভাল কাজ তথা কল্যাণের কাজ করলো তা সে তার নিজের জন্যই করলো, আর যে মন্দকাজ তথা খারাব কাজ অবৈধ কাজ করলে তাও সে তার নিজের জন্যই করলো। তোমার প্রতিপালক তার কোন বান্দার উপর জুলুম করেন না।(হা মীম আস্ সাজদা ৪৬)
আল্লাহর প্রতিটি নিদের্শ পালন করা প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য ফরজ তথা অবশ্যই পালনীয়, ইসলামকে আমরা সকলেই ভাল বাসি, কিন্তু ইসলামের অনেক কিছুই আমরা মানিনা হয়তো জানিও না অনেক কিছুই। তাই জানার কোন বিকল্প নেই, মানতে হলেই তা জান্তেই হবে।
আর এই জানার নামই হল জ্ঞান অর্জন, তাই জ্ঞান অর্জন করা আমাদের জন্য ফরজ। এবং তা অর্জন করা সবচেয়ে বড় ইবাদত। জ্ঞান অর্জন না করাই হল বড় গুনাহ তথা আল্লাহর নিদের্শ অমান্য করার সামিল। জ্ঞান অর্জন আপনার নিজের জন্য তার সু-ফল ও আপনারই জন্য।
আল্লাহ তায়ালা জ্ঞানীদের মর্যাদা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন : ঈমানদার লোকদের মধ্যে থেকে আল্লাহ তাদের মর্যাদাকে আরো বাড়িয়ে দেন, যারা জ্ঞানের অধিকারী(মুজাদালা ১১) অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেন: হে নবী আপনি বলুন যারা জানে আর যারা জানেনা তারা কখনো সমান নয়।
না জেনে কোন কাজই করা যায়না। তা যতই সহজ কাজই হউক না কেন। এই জানা আপনার জন্য, আপনি যত বেশী জানবেন ততই আপনার লাভ। আল্লাহ বলেন: নিশ্চই তারাই আল্লাহকে বেশী ভয় করে যারা জ্ঞানের অধিকারী (আল কুরআন) তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও।
ভাল কাজের মধ্যে আরো বহু ভাল ভাল কাজ রয়েছে যা আমাদেরকে প্রতি নিয়তই করা প্রয়োজন।তার মধ্য মানুষের কল্যাণ তথা মানব শেবা। নবীজী বলেছেন: তোমাদের মধ্যে সেই বেশী উত্তম যে মানুষের কল্যাণে কাজ করে।(আল হাদিস)
হযরত আদী ইবনে হাতেম (রাঃ) বলেনঃ আমি নাবীয়ে করিম (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, তোমরা জাহান্নামের থেকে বাঁচো; যদিও খেজুরের এক টুকরো সাদকাহ ক’রেও হয়। (বুখারী মুসলিম)
আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, প্রতিদিন সকালে দু’জন ফিরিশতা অবতরণ করেন । তাঁদের একজন বলেন, হে আল্লাহ্! দাতাকে তার দানের বিনিময় দিন । হে আল্লাহ্! কৃপণ কে ধ্বংস করে দিন । (বুখারী ১৪৪২, মুসলিম ১০১০, )
আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ্ তাআলা বলেন, ‘হে আদম সন্তান! তুমি (অভাবীকে) দান কর, আল্লাহ্ তোমাকে দান করবেন । (বুখারী ৪৬৮৪)
মহান আল্লাহ্ বলেন, তোমরা যা কিছু ধন-সম্পদ দান কর, তা নিজেদের উপকারের জন্যই । আল্লাহর সন্তুষ্টি ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্য তোমরা দান করো না । আর তোমরা যা দান কর, তাঁর পুরষ্কার পূর্ণভাবে প্রদান করা হবে এবং তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না । ( বাক্বারাহ ২৭২)
এই পৃথিবীতে অতীব অভাব গ্রস্থ বহু ক্ষুদার্থ মানুষ গুলোর রিজিক কিন্তু আল্লাহ আমাদের পকেটেই রেখেছেন। আজকের দিনে আমাদের পকেট থেকে বের হবে কি কিছু তাদের জন্য যারা খুধার তাড়নায় ছটপট করে এদিক সেদিক ঘুরছে ?
ধনীদের সম্পদে অভাব গ্রস্থদেরও হক রয়েছে।
আর বিষেশ করে আল্লাহ তার দ্বীনের রাস্থায় খরচ করাকে সব চেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন। যে রাস্থাকে তিনি ফি সাবিলীল্লাহ হিসাবেই আখ্যা দিয়েছেন।অর্থাত আল্লাহর নিজের রাস্তা তথা কুর আনের পথ।
আল্লাহ বলেন: যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজেদের ধন সম্পদ ব্যয় করে , ইহা একটি বীজের মত যা হতে সাতটি বীজ জম্মায় এবং প্রত্যেকটি শীষে এক শত দানা থাখে, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা আরো অধিক হারে বাড়ীয়ে দেন নিশ্চয়ই আল্লাহ পরির্বধন কারী ও সর্বজ্ঞ (আল বাকারা ২৬১)
সময় আমাদের শেষ হয়ে যাচ্ছে, বয়স আমাদের বেড়েই চলেছে বছর ঘুরে বছর চলে আসে। উৎসবেই পার হয় আমাদের দিন গলো ! সারা বছরে আমাদের জীবনের হিসাবের খাতাটি কয়জনই খতিয়ে দেখেছি?
বিজ্ঞান বলছে, প্রত্যেক ক্রিয়ারই বিপরীত ক্রিয়া রয়েছে! জ্বী প্রত্যেক দানের বিপরীতেও রয়েছে বিশাল দান! আজকের একটা টাকা খুব সামান্য হলেও উপরে আল্লাহ দেখছেন। আপনার সামান্য টাকা কেও আল্লাহ লক্ষ্য টাকায় পরিনত করার ক্ষমতা রাখেন তিনি।
এক টাকাকেও কখনো খাটো করে না দেখে একটা টাকা করে হলেও নিয়মিত আল্লাহর রাস্তায় দান করার অভ্যাস আমাদের গড়ে তোলা একান্ত জরুরি। মহান আল্লাহ এই নেয়ামতের উপলব্ধি আমাদেরকে দান করুন। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন