বিউটি পার্লার ও আমাদের করনীয়..!
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৪৬:১৮ রাত
আরব দেশের যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে ঈমান টিকিয়ে রাখা বড়ই সমশ্যা বলেই মনে হচ্ছে। প্রতিটি বিল্ডিং এ ২/১টা বিউটি পার্লার আছেই।এবং যে ভাবে এই বিউটি পার্লার গুলোকে ডেকোরেশন করা হয়েছে।
এবং তাদের স্টাফ তথা কর্মচারীদের যে হাবভাব দেখা যায় তাতে মনে হয় ওদের বিশাল আকারের ইনকাম হয়ে থাকে।এবং তাদের অর্থের ও অভাব আছে বলে মনে হয়না। বিষয়টি এক ভদ্র লোককে জিজ্ঞাসা করলাম।
ভাই এই এলাকায় এত বিউটি পার্লার, তা কি চলে? এবং ওদের যে হাইফাই পোছপাছ ওরা এত কাষ্টমারই বা পায়কই? এবং প্রতিষ্ঠানের ভাড়াই বা কি করে আদায় করে। ভদ্রলোকটি যা বললো তা শুনে আমি অভাক হয়ে গেলাম এবং তাহার দিকে তাকিয়েই রইলাম।
বলার কোন ভাষাই আমার নেই। যাই হউক আমরা মুসলমান আমাদের প্রত্যেকটা কর্মকান্ড ইসলামের সীমারেখার মধ্যেই থেকে করতে হবে এবং চলতেই হবে ইসলামের বিদি বিধান মেনে।
মহিলারা ও মহিলাদের কে নিজের গুপাতাঙ্গ দেখাতে পারবেনা। মহিলাদের জন্য সেলুনে কিংবা নিজ বাড়িতে কিংবা মহিলাদের মাধ্যমে বগলের পশম ও গুপ্তাঙ্গের পশম পরিষ্কার করানো জায়েয নাই।
তবে নিজের স্বামীর কাছে আকর্শনীয় হওয়ার জন্য, এবং স্বামীকে নিজের সৌন্দর্য্য দেখানোর জন্য শুধুমাত্র মেকাপ তথা রূপচর্চা করতে পারবে। তাও নিজের প্রত্যেক অঙ্গ যেন অন্য নারীরাও যেন না দেখে।
বর্তমানে সেলুনের নামে প্রতিষ্ঠান খোলে, সেখানে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এমন সেলুনে চাকুরি করাও ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েয নেই।
হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন: পুরুষের জন্য অন্য পুরুষের গুপ্তাঙ্গ এবং নারীর জন্য অন্য নারীর গুপ্তাঙ্গ দেখা জায়েয নেই। এমনকি প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও নারী এক কাপড়ে শয়ন করাও জায়েয নেই। (মুসলিম ১/২৬৬, আবু দাউদ ৪০১৮, তিরমিযী ২৭৯৩)
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন:
“(হে নবী আপনি) ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণত: প্রকাশমান, (মুখমণ্ডল, দুই হাত ও পা) তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (সূরা নূর: ৩১)
আর সেলুনে যাওয়া আল্লাহর আদেশ অমান্য করার শামিল, কারণ আল্লাহ বলেছেন: “তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। (সূরা আহযাব : ৩৩)
এ ছাড়াও আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যশীল বান্দা-বান্দীগণের এটা স্মরণ রাখা উচিত যে, এক প্রকার কু-চক্র প্রকৃতির লোক রয়েছে, যারা বিভিন্ন সেলুনে গোপনীয় স্থানে ক্যামেরা স্থাপন করে মেয়েদের উলঙ্গ ছবি সংগ্রহ করে পর্ণ ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছে।
তাই সকল সম্মানিতা মুসলিম মহিলাগণের নিকট আমাদের আহ্বান থাকবে, যেন তারা সেলুন পরিহার করে চলে। আমাদের দেশেও দেখা যায় বিয়ে উপলক্ষে সকলকেই বিউটি পার্লারে গিয়েই সাজাতে হবে কন্যাকে পার্লারে নিতেই হবে না নিলে যেন বউ সাযাই হয়না। আল্লাহ আমাদের কে হেফাজত করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৯৩৩ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমরা অনেক ভাল কিন্তু উপরের দু'টি পাপ আমাদের দেশে খুব বেশি. মহান রব আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন.
মন্তব্য করতে লগইন করুন