ব্যাংক ডাকাতি নয়, দেশ ডাকাতি..! টুকু পরিবারের ১৬১কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন..! তা কত বস্তা হবে..?
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৩৪:৩৫ রাত
ছোট বেলা থেকেই সুনে আসছি চোরের বাড়িতে নাকি বিল্ডিং হয়না, তা কিন্তু ডাকাতের বেলায় নয়! ইদানিং ডিজিটাল দেশে চোরের বাড়িতেও বিল্ডিং হচ্ছে। ডিজিটেল ডাকাতদের তো কথাই আলাদা।
আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে ডিজিটাল সরকারের প্রতি মন্ত্রী টুকু ও তার পরিবারের ১৬১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন! তাদেরকে গালি দেওয়ার ভাষা আমাদের নেই। কি গালিদেব, তারা কেমন পরিবারের সন্তান?
29 Jan, 2014 দুর্নীতির মাধ্যমে ১৬১ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার ৫১১ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আমলে নিয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে অভিযোগ দাখিল হলে সংস্থার চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বিষয়টি অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন বলে দুদক সূত্র জানায়।
পাবনার বেড়া থেকে জনৈক ব্যক্তি এ অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা গত পাঁচ বছরে (২০০৮-১৩) দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে ১৫ কোটি পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ৫১১ টাকা অর্জন করেন টুকু এবং তাঁর বড় ছেলে এস এম আসিফ শামস ভিওআইপি ব্যবসায় কর ফাঁকি দিয়ে ১৪৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা অর্জন করেছেন।
তিনি নিজের নামে এবং স্ত্রী, দুই ছেলে ও ছেলের বউয়ের নামে অবৈধ উপায়ে ১৬১ কোটি ৪৩ লাখ ৬০ হাজার ৫১১ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। ২০০৮ সালের হলফনামায় টুকুর দুই ছেলে ও বড় ছেলের স্ত্রীর কোনো সম্পদ ছিল না।
গত পাঁচ বছরে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি এবং তাঁর পরিবার। ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায়ও টুকু তাঁর সব সম্পদের তথ্য দেননি বলে দুদক সূত্র জানায়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বলেন, ‘সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুই নন, যাঁদের বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাব তাঁদের বিষয়েই খতিয়ে দেখব।
আমরা ইতিমধ্যে সাবেক সাত মন্ত্রী-এমপির সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান করছি। পরবর্তী সময়ে আরো অভিযোগ আসলে সেগুলোরও অনুসন্ধান করব আমরা।’ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু।
তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাকে হেয় করতেই একটি চক্র মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ দুদকে দিয়েছে। যেহেতু অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, অতএব দুদক তদন্ত করতে পারে।’
দুদক সূত্র জানায়, ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভিশন টেল কম্পানির চেয়ারম্যান টুকুর বড় ছেলে এস এম আসিফ সামস। ভিওআইপির লাইসেন্স ফি বাবদ তিনি বিটিআরসিকে ১৫ কোটি টাকা অগ্রিম দেন।
কিন্তু বার্ষিক লাইন রেন্ট বিটিআরসিকে দেননি। রাজস্ব ও নিবন্ধন নবায়ন বাবদ ভিশন টেল কম্পানির কাছে ১৪৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা পাবে বিটিআরসি। ভিওআইপি লাইসেন্স প্রদানের জন্য অর্থ জমা দেওয়া এবং এর উৎসের বিষয়টি আসিফ বা তাঁর বাবা হলফনামার কোথাও উল্লেখ করেননি।
টুকুর ছোট ছেলে নাসিফ সামস সোলার আই লিমিটেডের পরিচালক ও মেসার্স গ্রিন টেকনোলজির মালিক হিসেবে আয়কর বিবরণীতে মোট ৮২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছেন।
তবে টুকু তাঁর হলফনামায় ছোট ছেলের নামে কোনো সম্পদের হিসাব উল্লেখ করেননি। নাফিস পাবনার বেড়া উপজেলার পায়না ও তেঘরী মৌজায় ৪০ বিঘা জমি এক কোটি ৮০ হাজার টাকায় কেনেন।
এ জমির উন্নয়নে তিনি আরো এক কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করেন। এই টাকার বিষয়টি তাঁর আয়কর বিবরণীতে এবং তাঁর বাবার হলফনামায় গোপন করা হয়েছে।
আসিফ সামসের স্ত্রী মুসলিমা খাতুন এ এম এন্টারপ্রাইজের মালিক হিসেবে আয়কর বিবরণীতে মোট এক কোটি ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩০ টাকা দেখিয়েছেন। তবে টুকু তাঁর হলফনামায় মুসলিমার কোনো সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেননি।
দুদক সূত্র জানায়, পাবনা সদরে নিজের পাঁচতলা ভবনটির প্রকৃত মূল্য এক কোটি ৫০ লাখ টাকা হলেও ২০১৩ সালের হলফনামায় টুকু সেটির মূল্য দেখিয়েছেন মাত্র ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর বেড়া উপজেলার বৃশালিখায় দুইতলা বিশিষ্ট আলিশান বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়িটির নির্মাণ-ব্যয় এক কোটি ৯৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা হলেও হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন ২৫ লাখ টাকা।
মোটকথা টুকু স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে চার কোটি ৮৫ লাখ ৭৭ হাজার ১০১ টাকার (প্রদর্শিত-অপ্রদর্শিত) সম্পদ অর্জন করেছেন। এর বাইরেও তাঁর অপ্রদর্শিত আয় রয়েছে।
দুদকে আসা অভিযোগ থেকে জানা যায়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জমা দেওয়া হলফনামা অনুসারে টুকুর স্ত্রী বেগম লুৎফুননেছার মোট এক কোটি ৯৫ লাখ ৬৫ হাজার ৮০ টাকার সম্পদ রয়েছে।
এ সম্পদের বিপরীতে দুই লাখ টাকা দায় দেখানো হয়েছে। সূত্র জানায়, লুৎফুননেছার পাবনা সদরের ভবনটির মূল্য এক লাখ টাকা দেখানো হলেও প্রকৃত মূল্য ন্যূনতম এক কোটি টাকা। ওয়ারিশ ও হেবা সূত্রে পাওয়া ঢাকার উত্তরার তিনটি ফ্ল্যাটের মূল্য ৪৪ লাখ টাকা উল্লেখ করা হলেও এগুলোর ন্যূনতম মূল্য তিন কোটি টাকা।
মোটকথা লুৎফুননেছা ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নিজ নামে (প্রদর্শিত-অপ্রদর্শিত) মোট পাঁচ কোটি ৪৮ লাখ ৬৫ হাজার ৮০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
এটাতো হল টুকু পরিবারের, বাকি ডিজিটাল সকল মন্ত্রীদের কবর কি জাতি জানতে পারবে..? এই হল দেশ প্রেম..!!
বিষয়: বিবিধ
১২৩৩ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের কামনা হল: তারা সুপথে আসুক এবং সবাই সুখে থাক।
আগে পিছে নিজের কিছু দিয়ে পরিবেশন করা হয়েছে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন