বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী যে কারনে রাজনীতি করার যোগ্য নয়...!
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১৩ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:৫৩:০৮ দুপুর
বাংলাদেশে ঈমানদার এবং নামাজী লোকেরা মসজিদে আর ঘরেই অবস্থান করবে, কারন বাইরে যে অবস্থা তা ঈমানদারদের জন্য উপযোগী নয়, তা হল এই যে,যারা বলবে একরকম করবে তার উল্টো টি।
রাজপথ রাজনীতিতে থাকবে যারা তাদের যে যোগ্যতা থাকা দরকার তা জামায়াতের নেই। কয়েকটি প্রধান কারনে জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড়ই বেমানান।
# জামায়াত একমাত্র বড় রাজনৈতিক দল যে দলে নেতার ছেলে, মেয়ে, স্ত্রীরা পরবর্তীতে গদিনসীন হতেপারেনি, যা গণতন্ত্রের চেতনার সাথে বড়ই অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
# জামায়াত নেতারা মন্ত্রিত্ব পেয়েও ঘুষ দুর্নীতি করতে পারেনি। যা বাংলাদেশের জন্য কলংক জনক, দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকেও বাক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধি করতে না পারায় তা সাধারন জনগণকে হতাশ করেছে।
# জামায়াতের প্রত্যেকটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সততা ও দক্ষতার কারনে লাভজনক হিসেবেই প্রমানিত হয়েছে। দলীয় কোন প্রতিষ্ঠানের এইরুপ মুনাফা অর্জন দলীয় দুর্নীতির চেতনার সাথে মোটেই খাপ খায়না।
# বিগত দুই বছরে প্রথম সারির সব নেতারা জেলে থাকার পরেও আন্দোলনে কর্মী বাহীনির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং তাদের ত্যাগ ও কোরবানী ঘরে থাকতে পারেনি ওয়াক্ত মত খেতে পারেনি অফিশে বসতে পারেনি তারপরও আন্দোলনের ময়দান ছাড়েনি তা চিন্তারই বিষয়।
# সরকারী দালাল টিভি চ্যানেল গুলোতে জামায়াত শিবিরের তাণ্ডবের কথা প্রচার করা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত লাঠি আর ঢিল ছাড়া কোন অস্ত্র ব্যবহার করেনি, সস্ত্রমহড়া দেখাতে না পারায় তাণ্ডবের অর্থকে মলিন করে দিয়েছে।
# জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবির চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ইভটিজিং ইত্যাদির সাথে জড়িত নেই, এবং সবাইকে নামাজ এবং কুরআন পড়ার তাগিদ দেয়। ব্রেন ওয়াশ না হলে এরকম আচরন এই বয়সে সম্ভব নয় বলে বুদ্ধিজীবিরা মনে করেন।
# জামায়াত একমাত্র দল যার কর্মীরা তাঁদের মাসিক ইনকামের ৩-৫ শতাংশ সংগঠনকে দান করেন। রাজনীতি করার মূল উদ্দেশ্যই হল পকেট ভরা। টাকা খরচ করে রাজনীতি করার এই কালচার রাজনৈতিক চিরাচরিত উদ্দেশ্যকেই ভীষণ ভাবে কলঙ্কিত করে দিয়েছে।
# অন্য দল থেকে কেউ জামায়াতে যোগ দিলেই তাকে ফুলের মালা দিয়ে সাথে সাথেই ইলেকশনের জন্য নমিনেশন দেওয়া হয়না বরং সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক ভাবে কর্মী থেকে নেতা পর্যায়ে উন্নীত হতে হয়, যা বংলাদেশের জন্য মোটেই শোভনীয় নয়।
# আজ পর্যন্ত শুনি নাই জামায়াত শিবিরের দুই দলের মাঝে মারামারি হয়েছে। নমিনেশন নিয়ে মারামারি তো হয়না বরঞ্চ কেউ নেতা নির্বাচিত হলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আল্লাহর ভয়ে।
কারন নবীজী বলেছেন তোমরা প্রত্যকেই দায়িত্বশীল প্রত্যকেই তার দায়িত্ব্যর জন্য আল্লাহ কাছে জবাবদিহি করতে হবে। বাংলাদেশের মত উদার গণতান্ত্রীক দেশে জাবাবদিহী করলে নেতাই হওয়া যায়না।
# জামায়াত এবং শিবির আদর্শিক রাজনীতির কথা বলে। বাংলাদেশের মানুষ মনে করেন ইসলাম শুধু মসজিদে থাকবে রাজপথে চলবে মানুষের তৈরী করা আইন যা জামায়াত করতে পারবে না।
বাংলাদেশের জন্য রাজনীতি এবং আদর্শ বিপরীতার্থক শব্দ। তাইতো জামায়াতের আদর্শিক রাজনীতি বাংলাদেশের জন্য বডই বেমানান।
বিষয়: বিবিধ
১৮৫২ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
স্বাধীনতার পরে তথাকথিত স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে পরিচিত শেখ মুজিবর চেলা চামুন্ড়রা হিন্দুদের সম্পদ দখল করেছিলো এখনো করছে এবং তারাই জামাত কে ফাসানোর জন্যই হিন্দুদের বাড়ীতে আগুন দিচ্ছে।
হসপিটাল,রেটিনার কথা বাদই দিলাম ।
ঝামাত শুধু পাকিতে রাজনৈতি করার অধিকার আছে কারন কাদের মুল্লার ফাসিতে পাকিরা কিভাবে কাশি দিলো সেটা জাতী দেখেছে ।
আল্লাহ এই দলটিকে আরো তাকওয়ার পথে এগিয়ে নিন, এই প্রার্থনা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন