এক জন কাদের মোল্লার দেশ প্রেম এবং ঈমানের দৃঢ়তা...!

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৭ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:৩৮:৩৭ বিকাল

কাদের মোল্লা ভাই তাহার স্ত্রীকে (কাদের মোল্লা ভাইওভাবী) নিয়ে ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে হজ্ব পালনের জন্য পবিত্র মক্কা শরীফে গেছেন হজ আদায় করতে। তখনই তিনি জান্তেন যে এই জালিম সরকার তাহাকে যে কোন সময় এরেস্ট করবে।

তখন অনেকেই বললেন মোল্লা ভাই এখানেই থেকে যান। একথা শুনে তিনি রাজি হলেনই না, বরং তিনি বললেন আমি আমার দেশেই যাব, দেশ ছাড়া কোথাও থাকব না। এবং দেশেই যাব।

আমি তো কোন অপরাধ করিনি যদি এই সরকার আমার উপর জুলুম নির্যাতন করে এমনকি আমাকে মেরেও ফেলে আমি আমার নিজ দেশেই মরবো।

আজ কাদের ভাই নেই তিনি শহীদ হয়েছেন। আজ আমি একটি ঘটনা বলার জন্যই আমার এই লেখা, কাদের ভাইকে দেশের কয়জন লোক জানতো বা চিনতো?

বিশেষ ভাবে যারা ইসলামী আন্দোলনের সাথে জড়িত তারাই কাদের ভাইকে জানতো তিনি অত্যান্ত প্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন বটবৃক্ষ যার ছায়াতলে কর্মীরা শীতল হত।

কিন্তু দেশের সাধারণ জনগণ কয়জনেই বা তাকে চিনতো? আজ এই দেশ প্রেমিক কাদের ভাইকে দেশের এমন কোন মানুষ নেই যে কাদের ভাইকে স্বরন করেনি। শুধূ তাই নয় সারা দুনিয়ার মানুষ কাদের ভাইকে স্বরন করছে।

আজ আমার কাছে মনে হল আবদুল কাদের মোল্লা ভাই বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিহাস হয়ে গেল। আমি আমার কুয়েতের জবিনে যাকে আমার বেশী আপন অবিভাবক মনে করি, তিনি কুয়েতের জন্য অত্যান্ত প্রবাবশালী ইসলামী ব্যক্তিত্ব।

বাংলাদেশ থেকে আসা একজন মেহমান কে নিয়ে তাহার কাছে যাই সাক্ষাৎ করতে, তিনি আমাদের সাথে অনেক কথা বার্তা বলেছেন, এক পর্যায়ে মেহমানকে বললেন তুমি কাদের মোল্লোকে দেখেছো ?

মেহমান বললেন হা দেখেছি। ডা. শেখ দাড়িয়ে কেঁদে মেহমানকে জড়িয়ে দরে বললেন তুমিতো একজন জিন্দা শহীদ মুজাহীদকে দেখেছো। তার নিজের গায়ের বিস্ত্টি খুলে মেহমানকে পড়িয়ে দিলেন।

আবেগে সকলেই কাঁদলাম। শেখ বললেন কাদের মোল্লার শাহাদাত বাংলাদেশে ইসলাম বিজয়ের ভিত্তি রচিত হয়েছে। তিনি অত্যান্ত সৌভাগ্যবান যিনি আল্লাহর জান্নাতে সরাসরী চলে যাবে।

কুয়েতের সাধারণ এক নাগরিক গাড়ী চালাচ্ছিল সিগনালে দাড়িয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন হেলো বাংগালী? উত্তরে ড্রাইবার বললো নায়াম! তিনি বললেন আন্তা কাদের মোল্লা ওলা (না) হাসিনা?

ড্রাইবার বললেন আনা কাদের মোল্লা, কুয়েতীটি বললেন (ওয়াল্লাহি লউ হাচ্ছিল হাসিনা আনা কাতালহা ) আমি যদি হাসিনাকে পেতাম তাকে আমি হত্যা করতাম।

পৃথীবির মানুষ আজ কাদের ভাইকে স্বরণ করছেন তিনি একজন ইসলামের খাদেম ছিলেন এ ছাড়া তার কোন অপরাধ ছিলনা। তার দেশ প্রেম ইসলামের প্রতি অবিচল আত্ববিশ্বাস তিনি বাতিলের কাছে মাথা নত করেনি।

বলে গেলেন নবুওয়াতের দরজা বন্দ হয়েছে শাহাদাদের দরজা বন্দ হয়নি। আল্লাহু আকবর কাদের মোল্লা একটি নাম একটি ইতিহাস।

ওরা প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল মিথ্যা তোমার জীবন দিয়ে জয়ী করে গেলে সত্যকে, কিসের মায়া তোমাকে সব ছিন্ন করতে প্রেরনা দিয়েছে ,ভেবে অবাক হই ।

তারা বুঝবে কিভাবে তোমার আত্মত্যাগের মূল্য , যাদের কুরআনের জ্ঞান নেই । ওরা বলে তুমি “রাজাকার” তুমি “দেশদ্রোহী” আর তুমি জীবন দিয়ে প্রমাণ করলে তুমি দেশপ্রেমিক ।

জীবনের চেয়েও তোমার কাছে দেশ বড় । তাইতো তুমি ভারতের গোলামির চেয়েও ফাঁসির মঞ্চকে বেশি ভালবাসলে ।

তোমার এই আত্মত্যাগ “ফেলানি” হত্যার প্রতিবাদ,

তোমার এই আত্মত্যাগ “পিলখানা ট্রাজেডি” র

বীর সেনানী ভাইদের প্রতি সম্মান, তোমার এই আত্মত্যাগ দেশের ১৬ কোটি মানুষের কোন অপশক্তির কাছে মাথা নত না করার অঙ্গীকার। স্যালুট তোমাকে,

স্যালুট তোমার দেশপ্রেমকে।

বিষয়: বিবিধ

২৩৬৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

159997
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০০
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : এইবার সব যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিয়ে সরকার ক্ষমতা ছাড়বে বলে মনে হচ্ছে
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৪৯
116284
কুয়েত থেকে লিখেছেন : সরকারের এক ব্যক্তির অপরাধও যদি জামায়াতের কেউ করতো তাহলেও মনকে বুঝানো যেত। আপনাকে ধন্যবাদ
163848
১৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৫৯
ফয়সাল লিখেছেন : সত্যিই অনেক চোখের জ্বল মুচতে মুচতে বলছি-
আপনাকে ধন্যবাদ।
১৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:০৩
118330
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ।ভারত আমাদের সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, লেখক
এবং সেনাবাহিনী কিনতে পারলেও জামাতকে কিনতে ব্যর্থ হয়েছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File