ভোট ডাকাতদের সহিংসতায় সারা দেশে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে...!
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৬:০১:০৫ সন্ধ্যা
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকানোকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সহিংসতায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী।
শনিবার রাত থেকে গতকাল বিকাল পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে এবং সরকার দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ১৮ দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মী।
এছাড়া সহিংসতায় একজন আনসার সদস্য, আওয়ামী লীগ কর্মী ও পথচারী মারা যান। এদিকে প্রহসনের নির্বাচন বাতিল ও সারা দেশের ১৮ দলের নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে অবরোধের পাশাপাশি টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে বিরোধী জোট।
আজ ভোর ৬টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী এ হরতাল পালিত হবে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এম ওসমান ফারুক এ ঘোষণা দেন।
লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফারুক হোসেন। রংপুরে পীরগাছায় উপজেলায় গতরাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন হাদিউজ্জামান ও মিরাজুল ইসলাম নামে দুই জামায়াত কর্মী।
গাজীপুরে চলন্ত ট্রাকে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রল বোমায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন নুরুজ্জামান নামে এক ট্রাক চালক।
নীলফামারীর ডিমলার চাপানি, জলঢাকা ও সোনাপুরে ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয়ার সময় পুলিশের গুলিতে ৪ জন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ও সহকারী শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন (৪০) নিহত অপর দুইজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার শিমুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পানিতে ডুবে কঙ্কন মিয়া নামে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন।
ফেনীর সোনাগাজীতে যুবলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে জামশেদ আলম ও শহীদুল্লাহ নামে দুই যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। দিনাজপুরের পার্বতীপুরের উত্তর সালন্দা ও গোবিন্দপুর ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষে আনসার সদস্যসহ নিহত হয়েছেন চারজন।
নিহতরা হলেন- আনসার সদস্য আবদুল ওয়াহেদ ও যুব জাগপা’র সাধারণ সম্পাদক রায়হান মাসুদ (৩৫), যুবদল কর্মী চুন্নু ও স্কুলছাত্র সালাহউদ্দিন।
এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যুবদলের আরও ৫ কর্মী। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মাছিমপুর কেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন শিবির কর্মী রুবেল।
নওগাঁর মান্দায় পুলিশের গুলিতে বিএনপি কর্মী আবুল বাশার নিহত হয়েছেন। যশোরের মণিরামপুরে পুলিশের গুলিতে মতিয়ার রহমান নামে এক জামায়াত কর্মী নিহত হন।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হরতালকারীদের ধাওয়ায় একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কয়েকজন পথচারীকে চাপা দিলে মো. সাইফুল ইসলাম (৩০) ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত হন আরও ২ জন।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পুলিশের গুলিতে জামায়াত কর্মী সাহাবুল নিহত হয়েছেন। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বাসুদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন জয়নাল আবেদীন ও হারুন অর রশিদ নামে দুই বিএনপি কর্মী।
এ সময় আহত হয়েছে আর ৭ জন। এদিকে উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের শিমুলডাঙ্গী গোপালপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ-বিএনপির তীরধনুক নিয়ে সংঘর্ষে আবু হানিফ নামে এক বিএনপি কর্মী নিহত হন।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুলিশের গুলিতে রুবেল হোসেন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বিজিবির গুলিতে মো. এনামুল হক লালু নামে এক শিবির কর্মী নিহত হয়েছেন।
আওয়ামীলীগের উচিৎ জাল ভোট ও ভোট চুরির দায় মাথায় নিয়ে , দেশের জনগনের কাছে প্রকাশ্য ক্ষমা চেয়ে রাজনীতি থেকে সরে যাওয়া।
কারন চোর ডাকাতরা যদি রাজনীতি করে দেশে ডাকাতের শাসনই প্রতিষ্টা হবে। জাতিকে ডাকাতের হাত থেকে রক্ষা পেতেই হবে, না হয় প্রিয় বাংলাদেশ ডাকাতের দেশে পরিনত হয়ে যাবে
বিষয়: বিবিধ
১১০৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন