জামায়াতের নিবন্ধন: রায় বৃহস্পতিবার

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ৩১ জুলাই, ২০১৩, ০২:৪৭:৪০ দুপুর

গত সাড়ে চার বছর ধরে বামবেষ্টিত মহাজোট সরকার জামায়াতে ইসলামীর ওপর নানা দমন নিপীড়ন চালিয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত নির্যাতনের পরও দলটি এখন রাজপথে সবচেয়ে সরব।

সরকার শেষ পর্যায়ে এসে রাজনৈতিকভাবে এই দলটিকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আদালতকে আশ্রয় করে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে চায় শাপলা চত্বর ও ২৮ফেব্রুয়ারির গণহত্যার নায়করা।

৫সিটিতে জামায়াতের সক্রিয় অবস্থানের কারণে ভরাডুবি হয়েছে মহাজোট প্রার্থীদের। তাই এই রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার পাকাপোক্ত ব্যবস্থার অংশ হিসেবেই জামায়াতকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তারা।

জামায়াত আগামী নির্বাচন করতে পারবে কি না, তা এই রায়ের ওপরই নির্ভর করছে। মামলার বিষয়বস্তু কত দূর্বল তা নিচের বিষয়গুলো জানলেই অনেকের কাছে গোটা ব্যাপারটি পরিষ্কার হবে।

তরিকত ফেডারেশনের (যে দলের সংসদে কোনও অংশীদারিত্ব নেই) সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে।

এ ব্যাপারে হাইকোর্টের বিতর্কিত বিচারপতি খায়রুল হকের বেঞ্চ কটি রুল জারি করে।একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে নির্বাচন কমিশনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি(১)(বি)(২) ও ৯০(সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে।

জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদ এবং নির্বাচন কমিশন সচিবকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলে বিচারপতি এম বি এম খায়রুল হক ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের বেঞ্চ।

পরে রুলটি বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে যায়। সেখানে আংশিক শুনানির মধ্যেই ওই বেঞ্চের এখতিয়ার পরিবর্তন হয়ে যায়।

এরপর বৃহত্তর বেঞ্চে রিটের শুনানি শেষ হয় গত ১২ জুন।

এই সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ গত ১২ জুন রিটটি রায়ের জন্য ‘অপেক্ষমাণ’ রাখেন।

সুপ্রিম কোর্টের বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় মামলাটি রায়ের জন্য রাখা হয়েছে।

সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী জামায়াতে ইসলামী ২০০৮ সালে ৩৮টি দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হয়। শুধু ইসিতে নিবন্ধিত দলগুলোই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।

অন্যদিকে জামায়াত নেতাদের পক্ষে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।

মজার ব্যাপার হল যে দলটি জামায়াতের নিবন্ধনের ব্যাপারে আপত্তি দেখাচ্ছে অর্থাৎ, রিট আবেদনকারীদের দল তরিকত ফেডারেশন, জাকের পার্টির গঠনতন্ত্রও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

যে অভিযোগে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করতে বলা হচ্ছে, সেই অভিযোগে আরো অনেক দলের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে।

বিষয়: বিবিধ

১২৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File