ইতিহাস কি আওয়ামীলীগকে ক্ষমা করবে...?

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ৩০ জুলাই, ২০১৩, ১০:৫১:৩১ রাত

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার আওয়ামী বাকশালী সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথমেই বিডিয়ার হত্যা হলো। যতদিন পর্যন্ত এর মূল হোতা কে ! বাহির না হবে ততদিন পর্যন্ত মানুষ আওয়ামীলীগকে সন্দেহ করে যাবে।

কারণ ৭১'র মুক্তিযুদ্ধেও এতগুলো অকুতভয় সৈনিক বিনা যুদ্ধে মারা যায়নি। তারপর এলো শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারী যার কম-বেশী ৮৫ হাজার কোটি টাকা উধাও হয়ে গেলো। তাতে প্রায় ৩/৪ কোটি মানুষের কপাল পুরলো।

হলমার্ক আর সোনালীব্যাংক মিলে রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচালকপর্ষদ এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যউপদেষ্টার কারসাজিতে হলমার্কের সারে ৫ হাজার কোটি টাকা অবৈধ ভাবে জনগণের জমাকৃত টাকা লুটপাট ও ভাগাভাগি করে নেওয়ার ঘটনা দেশের মানুষ সবাই জানে।

ডেস্‌টিনীর ১২ হাজার কোটি টাকা সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা আত্মসাত করে জনগণের চোখের সামনে ঘর বসে আরাম করছে। এল জি আর ডি মন্ত্রনালয়ের কোটি-কোটি টাকা লুটপাট ও কাজ না করেও বিল পরিশোধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

কালো বিড়ালের চাপাবাজি, ঘুষের টাকা হাতে-নাতে ধরা পরেও বড় গলায় এখনও কথা বলে। টেলি মন্ত্রনালয়ে বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট নিক্ষেপের ব্যপারে হাজার কোটি টাকারও বেশী অনিয়ম এবং অন্যান্য খাতে দূর্নীতির পাহাড় জমে আছে।

তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদসহ কুইক রেন্টালের বিদ্দুৎ ব্যবস্থাপনায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার বেশী খরচ এবং শিংহ ভাগ টাকা আত্মসাত করার গোপন রিপোর্ট ফাস্‌ করতে গিয়ে সাংবাদিক দম্পতি 'সাগর-রুনী' হত্যা হলো।

সেই নাটক জনগণ এখনো স্বচক্ষে দেখছে। পদ্মাসেতু নিয়ে দেশপ্রেম আর সরকারের কর্তাব্যক্তিদের পারসেন্টিস্‌ খাওয়ার ডাইরী এস এম সি লাভালিনের কারবারি কারসাজীতে শেষপর্যন্ত পাওয়া গেলো।

বিচারের নামে ইস্কাপি কথোপ কথন অযাচিত ঘটনা 'আমারদেশ' পত্রিকায় প্রকাশ হয়ে গেলো। সরকারের রক্তচক্ষু ক্ষমতার তাগদে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান গ্রেপ্তার হলো। একের পর এক রিমান্ড। বড়াই আর ক্ষমতার অপব্যবহারে রিমান্ড এখন রিমান্ডে।

আবার সন্ত্রাসি সোহেল রানার সাথে কুলাকুলী আর চুমু খেয়ে নবম তলা বিশিষ্ট রানপ্লাজার মালিক সরকারের বিপদ ঠেকাতে পারেনি,শেষ পর্যন্ত গার্মেন্টস্‌ শ্রমিকদের ফাটা বিল্ডিং'র চাপায় পরে জীবন দিতে হলো।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গলা বাড়িয়ে বললেন বিরোধী দল ও জামাত শিবির ধাক্কা মেরে বিল্ডিং ফেলে দিয়েছে। তখন ফেইস বুক এবং পত্র-পত্রিকায় ধাক্কা-ধাক্কি শুরু হয়ে গেলো। আর কত ঘটনার কথা বলবো।

তারপর ' শাহাবাগ চত্বরে আবাল বৃদ্ধ বনিতার যৌবনের ধাক্কা আর অংগ-ভংগির তাল-মাতাল অবস্থ দেখে দেশের মানুষের মাথা হেট্‌ হয়ে গেলো। কয়েক জন কুলাঙ্গার ধর্মকে আঘাত করলো, বিশ্বনবি মুহাম্ম (সঃ)'র নামে কুট্‌উক্তি করে ধর্মপ্রাণ মুসলমাদের মাথা গরম করে দিলো।

জন্মনিলো 'হেফাজত ইসলাম'। তাদের আবেগ ভরা তের দফা দাবীর সমাবেশে রাতের অন্ধকারে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে কত নিরিহ এতিম যারা কেউ ভবিষ্যতে কোর'আনে হফেজ ও ইসলামের আলেম হতো, তাদেরকে নির্বিচারে মেরে গণহত্যা চালানো হলো।

ইসলামি টিভি ও দীগন্ত টিভি চ্যানেল সরকারের পেটুয়া বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ সরাসরি দেখাতে গিয়ে বন্ধ হয়ে গেলো। গণতন্ত্রের নামে ফ্যসিবাদী আওয়ামী বাকশালী সরকার বিরোধি মতবাদের টুটি চেপে ধরে সমস্ত নেতা কর্মীদের জেলে ঢুকিয়ে জুলুম নির্যাতনের মাধ্যমে মিথ্যা শিকারোক্তি মূলক জবানবন্দী নিয়ে দেশের মানুষের কাছে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

তত্ত্বাবোধায়ক সরকার নিয়ে এই সরকারের ডিক্‌বাজি খেলা দেশের মানুষের আজ আর অজানা নয়। এখন চলচছে সংলাপ সংকেত। এই চার বছরে সরকার গাছের ডাল-পালার মত নিজেদের দলীয় কর্মিদের উচ্চ পর্যায় থেকে গ্রাসরুট পর্যন্ত নিয়োগ দিয়ে এবং আগামি নির্বাচনে অন্তরবর্তী কালিন সরকারের নির্বাহী প্রধান ক্ষমতায় থেকে আবার ক্ষমতায় আসার ষঢ়যন্ত্র করছে।

বিরোধী দলকে কৌশলে বাগে এনে লোক দেখান অগণতান্ত্রিক এক দলীয় শাসন কায়েম করতে পুনঃ ক্ষমতার স্বপ্ন দেখছে। এক দিকে নাসিম সাহেব বলছেন, বিএনপিকে বিশ্বাস করা যায় না এবং বিশ্বাস করি না।

তাহলে অবিশ্বাসের অন্তর জ্বালা বুকে ধরে নিরদলীয় নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে আলোচনার কোন দরকার আছে বলে বোধগম্য হয়না। যদি সত্যিকার অর্থে দেশের গণতন্ত্র অব্যহত রাখতে হয় তাহলে সুনির্দিষ্ট নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন কালিন সরকার ব্যবস্থা সংসদে পুনঃ বিল পাশ করে বাংলাদেশের জনগণের সস্থি ফিরিয়ে আনুন।

বিদেশে ঘুরে-ঘুরে বিদেশিদের সমর্থন আদায় করার চেয়ে নিজ দেশের মানুষের প্রতি আস্থা রেখে নির্বাচন দিন। তাহলে জননেত্রী,গণনেত্রী, গণতন্ত্রের মানুষকণ্যা হিসাবে মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনার নাম স্বার্থক হবে।

নইলে জনরোষে একদিন যতটুকু অবশিষ্ট্য আছে তাও থাকবে না। যতই দমন-পিড়ন করুন না কেন, যেইছে করণি তেইছে ভরণি। আজ আমার কাল তোমার'। মানিকগঞ্জ শিংগায়ের থানার গণহত্যার রক্তে রঞ্জিত আমল নামা এখনও জনগণের মনে মনে আছে।

ক্ষমতার সুখ স্বপ্নে ঘেরা গণভবন আর মিডিয়া নিয়ন্ত্রন করে অপকর্মের ফল ভোগ করতে হবে বৈকি! আওয়ামী বাকশালী অপশাসন, চরম দূর্নীতি, গণতান্ত্রীক প্রতিষ্ঠান ধ্বংশ, মানবাধিকার লঙঘন, বিচার বিভাগ সম্পূর্ণরুপে দলীয়করণ

তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল, বিরোধীদলর উপর নিপীড়ন, মামলা-হামলা করে অযাচিত রিমান্ড মঞ্জুর, ইসলাম বিরোধী কার্যকালাপ, ভারতের তাবেদারী, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, বেপরোয়া দলীয় সন্ত্রাস,আইন শৃংখলার চরম অবনতি, গণমাধ্যমের মত প্রকাশের উপর হস্তক্ষেপ।

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, প্রশাসন সম্পূর্ণরুপে দলীয়করণসহ নানাবিধ কারণে এই সরকার এখন জনবিচ্ছিন্ন একঘেয়ে সরকার। বড়াই, অহংকার বাদ দিয়ে জনগণের স্বার্থে একটি সমঝতায় ফিরে আসাই উত্তম।

একজন মুসলমান হিসাবে মহান আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করি, আল্লাহ্‌ যেন আমাদেরকে হেদায়েত দান করেন। দেশ ও জাতির শান্তির জন্য ক্ষমতার লোভ বাদ দিয়ে সবাই একযোগে কাজ করি।

এই দেশে আমাদের সকলে মিলেই এই দেশকে আগাইয়া নিতে হবে। নিজেরাই যদি একে অন্যর শত্রুতায় লিপ্ত থাকি প্রতি বেশীরাতো সুযোগ নিবেই। এই সুযোগ কে করে দিচ্ছে তার জন্যও আমাদেরকে সচেতণ থাকতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৭৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File