দেশের শান্তি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি আওয়ামীলীগ চায়না, প্রয়োজন জোরদার আন্দেলন!

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২০ জুলাই, ২০১৩, ০২:২২:৪৩ রাত

একের পর এক জামায়াতের শীর্ষ নেতাদেরকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ড দেওয়ায় জামায়াত সরকার বিরোধী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে লাগাতার কর্মসূচীতে যাবার পরিকল্পনা নিয়েছে।

এ ব্যাপারে দলের নেতারা এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঈদের পর টানা হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত।

সূত্র জানায়, বৈঠকে অনেক নেতা আগামী রোববার থেকে টানা১২০ ঘণ্টার হরতারের প্রস্তাবকরেন। কিন্ত পবিত্র রমজানের কখা মাথায় রেখে জামায়াত নেতারা রোববার থেকে হরতালের বিষয়ে পিছিয়ে ঈদের পর কঠোর কর্মসূচি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

এরমধ্যে টানা হরতাল ও অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি থাকবে বলে সূত্র জানিয়েছে।অজ্ঞাত স্থান থেকে কেন্দ্রীয়মজলিসে শুরুর একজন সদস্য যুগান্তর ডটকমকে জানান, জামায়াত দলীয়ভাবে তার রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েনি।

এমনকি স্বাধীনতা যুদ্ধের পরওনয়। যে যুদ্ধের ভূমিকার জন্যতাদের আজ কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে। বর্তমানে দলের শীর্ষ পর্যায়ের সব নেতাই কারাগারে।এমনকি জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতাদেরও কোন অভিযোগ ছাড়াই আটক করছে সরকার।

দলের দুজন এমপিকেও সাজা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় সারির নেতারাদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কার্যালয়তালাবদ্ধ। এ অবস্থায় পবিত্র রমজান মাসে ইফতার মাহফিল পর্যন্ত আয়োজন করতে পারেনি জামায়াত।

ফলে দলের নেতাদের মুক্ত করতে চুড়ান্ত আন্দোলনে

যাবার বিকল্প নেই বলে ভাবছেন জামায়াতের নেতারা।

জামায়াতের প্রায় সব শীর্ষ নেতাই এখন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত।

অনেকে এ অপরাধে যাবজ্জীবন অথবা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। এ পর্যন্ত জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দলটির সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের ৯০বছর কারাদণ্ড, সেক্রেটারি জেনারের আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ,

নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড এবং আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।

এছাড়া জামায়াতের সাবেক নেতা মাওলানা আবুল কালাম আযাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে নায়েবে আমির একেএম ইউসুফ, সহকারী সেক্রেটারি এটিএম আজহারুল ইসলাম, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর মামলা।

দেশে আর কোন সমশ্যা নেই এক মাত্র সমশ্যা হল জামায়াত সরকারের নিকট।সাধারন জনগণ মনে করেন এই দেশের শান্তি অগ্রগতি স্থীতিশীলতা এবং সৎচরিত্রবান নাগনিক তৈরীর যে কর্মসূচী জামায়াত শিবিরেরই রয়েছে।

আর এটাই হল আওয়ামীলীগের ও বামদের ক্ষতির কারন।এক মাত্র কারন, দেশের মানুষ অসচেতন থাকলে লুটে পুটে অন্যায় ভাবে ভোগ করতে অসুবিধা হয়না।আল্লাহ এই জাতিকে রক্ষা করুন

বিষয়: বিবিধ

১৩২৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File