ট্রাইব্যুনালে রায়: তিন মৃত্যুদন্ড ও দুটি কারাদন্ড,জাতি কলঙ্ক যুক্ত! না কলঙ্ক মুক্ত?

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১৬ জুলাই, ২০১৩, ০৮:৩০:৩৮ রাত

বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে গতকাল প্রদত্ত রায়ের মধ্য দিয়ে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ৫টি মামলার নিষ্পত্তি সম্পন্ন হলো।

এই রায় জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক ভাবে ন্যায় নীতির ভিত্তিতেই সম্পন্ন হয়েছে, এক পক্ষের তথা সরকার পক্ষ,বাম্লীগ নাস্তীকদের দ্বাবী। আরেক পক্ষের দ্বাবী হল এ রায় মিথ্য এবং ভিত্তিহীন যা জাতিকে বিভক্ত করারই ষঢ়যন্ত্র হচ্ছে।

যেখানে রায়ে সত্যর লেশ মাত্র ও নেই, এবং একটা প্রমানও সত্যের পক্ষে তারা দাড়করাতে পারেনি। তাহলে এই প্রহশন কেন? জাতি তাহলে এই রায়ে কি পেল, সে ঐতিহাসিক মিথ্যা ঘোড়ার ডিম্ব?

এবং সাধারণ জনগণ আরো কি বলে, এই প্রহশন মিথ্যা এই ট্রাইব্যুনালের কোন রায়ই জনগণ মানেনা, বরং তা মেনে নেওয়ার কোন যুক্তি সংগত কারনও নেই। এই রায় জাতিকে বিভক্তি করার এক সুগভির ষঢ়যন্ত্র।

সুধূ তাই নয় এই রায় ইসলামকে দূর্বল করার জন্যই এবং জাতি হিসেবে আমরা যেন মাথা উচূকরে দাড়াতে না পারি, পরাধীন হয়েই যেন থাকে সেবাদাশদের। নাস্তিক বাম্লীগের সাজানো এক নাঠক,যা সাধারণ জনগণ মনে করেন।

এর আগে ঘোষিত চারটি রায়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল-১ দিয়েছে একটি, বাকি তিনটি রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল-২। এর তিনটিই সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন।

তন্মধ্যে আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবনের বিরুদ্ধে সরকার ও আসামিপক্ষের দায়ের করা আপিলের শুনানি চলছে। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও কামরুজ্জামানের আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার প্রথম রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল-২। ওই রায়ে জামায়াতের সাবেক সদস্য (রুকন) মাওলানা আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। তার অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। গ্রেফতার এড়িয়ে মাওলানা আযাদ পলাতক রয়েছেন।

৫ ফেব্রুয়ারি একই ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ রায় ঘোষণার পরই শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের নামে ফাঁসির দাবিতে আন্দালন শুরু হয়।

তৃতীয় রায় আসে ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে। ২৮ ফেব্রুয়ারি দেয়া ওই রায়ে জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। এ রায়ের পর সারাদেশে

প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও সহিংসতায় দেড় শতাধিক লোকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

গত ৯ মে চতুর্থ রায়ে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২।এই রায়ে দেশে বিদেশে প্রতিবাদের ঝড়উঠে। দেখাগেল লন্ডন ছেড়ে আমেরিকা পর্যন্ত আন্দোলন চলছে পক্ষে বিপক্ষে।

ঐসব দেশেতো বেকার ভাতা পাওয়া যায়। কাজতো আর নেই বেকার ভাতা হালাল করার জন্য রাজপথে নেমে পড়েছে নাস্তিক বেকার ভাতাভোগীরা।কিন্তু আমাদের দেশেতো আর বেকার ভাতানেই তারপরও আন্দেলন চলছেই।

বিষয়: বিবিধ

১৩৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File