রহমত+ বরকত+ মাগফিরাতের এই মহান রমজানে যতবেশী ইবাদত করা যায়!
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১৩ জুলাই, ২০১৩, ০৫:০৯:১৬ বিকাল
পবিত্রতম রমজান মাস আমাদের জীবনে বার বার আসে, কিন্তু আরেকবার যে আমরা এ মাসটি পাব তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এই মাসটি এতই বরকতপূর্ণযে তার ফজিলত বর্ণনা করে শেষ করা যাবেনা।উম্মাহর জন্য এই মাসটি এক বিরাট নেয়ামতের।
যা অন্য কোন মাসে তা কল্পনা ও করা যায়না।কুরআনুল করিম নাযিলের মাস হিসেবে আল্লাহ পাক এই মাসটিকে ফজিলতের এবং বরকতের জন্য মালামাল করেদিয়েছেন।যা বর্ণনা করে শেষ করা যাবেনা।
এ মাসে বেশি বেশি দান-সাদাকাহ করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
«كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَجْوَدَ النَّاسِ بِالْخَيْرِ ، وَكَانَ أَجْوَدُ مَا يَكُونُ فِي رَمَضَانَ»
‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল আর রমাদানে তাঁর এ দানশীলতা আরো বেড়ে যেত’’ [সহীহ আল-বুখারী : ১৯০২]।
রমাদান মাস নিজকে গঠনের মাস। এ মাসে এমন প্রশিক্ষণ নিতে হবে যার মাধ্যমে বাকি মাসগুলো এভাবেই পরিচালিত হয়। কাজেই এ সময় আমাদেরকে সুন্দর চরিত্র গঠনের অনুশীলন করতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«وَالصِّيَامُ جُنَّةٌ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ فَلاَ يَرْفُثْ يَوْمَئِذٍ وَلاَ يَسْخَبْ فَإِنْ سَابَّهُ أَحَدٌ أَوْ قَاتَلَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّى امْرُؤٌ صَائِمٌ»
‘‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি রোযা রাখে, সে যেন তখন অশস্নীল কাজ ও শোরগোল থেকে বিরত থাকে। রোযা রাখা অবস্থায় কেউ যদি তার সাথে গালাগালি ও মারামারি করতে আসে সে যেন বলে, আমি রোযাদার’’ [সহীহ মুসলিম : ১১৫১]
বিষয়: বিবিধ
১০৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন