মুরসির বিদায়ে লাখ লাখ তৌহিদী জনতার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ এবং বাংলাদেশীদের ভালবাসার বহি প্রকাশ
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৫ জুলাই, ২০১৩, ০১:৪৩:৩০ রাত
বাংলাদেশের লাখ লাখ তৌহিদী জনতা তথা মুরসি ভক্তের হৃদয়ে গভীর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।গভীর ভাল বাসা থাকলেও আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা এমন এক দূর্বল আবস্তায় আছি যে, অনেক কিছু করার ইচ্ছা থাকলেও আমাদের কোন কিছুই করার সাধ্যই এ মূর্হুতে আমাদের নেই। আসল কথা হচ্ছে দূর্বলের স্থান কোথাও নেই। এ সময়ে প্রভূর দরবারে দোয়া করা ছাড়া আর কোন উপায় ও নেই।
মিসরের সামরিক বাহিনী দেশটির সর্বপ্রথম নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে পৃথিবীর ইতিহাসের এক জঘন্যতম কলঙ্ক জন্ম দিয়েছে। আমরা এ জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে আমাদের বাংলাদেশের সামাজিক প্রচার মাধ্যম গুলোতে ও।
বিশেষ করে মুরসির সরকারকে হটানোর বিষয়ে আমাদের বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করার মতো। প্রায় সকলের মন্তব্যেই উঠে আসছে একদিকে মুরসির প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসার বহি প্রকাশ। এবং অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরীয় সামরিক বাহিনীর প্রতি তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছে।
মুরসির অপরাধ কি! তিনি অবাধে যৌনাচারে বাধাদানই তো করেছেন এটাই কি মুরসীর পতন এর কারন? মুরসি নিজের ফ্ল্যাটে থাকতেন, সরকারি বাসভবন নেন নি। শুনেছি বেতন নেননি। নামাজের সময় মসজিদের ইমামতি করেন। আত্মীয় স্বজনদের সরকারি সুবিধা নিতে দেন না।এটাই কি তার অপরাধ
কিন্তু অতীত থেকে গড়ে-ওঠা সুবিধাভোগী রাষ্ট্রযন্ত্রের চোর-ডাকাত কর্মচারী- কর্মজীবিরা এটাকে পছন্দ করেনি। এটা টিক আমাদের বাংলাদেশের ঘুষের লেন-দেনের মতই তো সংস্কৃতি।
হয়ত আমরা এটাও দেখতে বা শুনতে পাব মুরশীর সাপোর্টারদের গুলি করে তাড়িয়ে দিচ্ছে সেনাবাহিনী। কি ছিল হাফেযে কোরআন প্রেসিডেন্ট ড. মুরসির অপরাধ?
কি ছিল একজন সত্যবাদি, সত্যিকার মানুষ, প্রেসিডেন্ট মুরসির দোষ? তিনি
১) ইসরাইল কে ধমকি দিয়েছিল, মুসলমানদের উপরহামলা বন্ধ কর, যদি ফিলিস্তিনের উপর আবারও আক্রমন হয় তাহলে আমরা তোমাদের উপর হামলা করব !
২) ইসরাইল কে হাতের মুঠোই এনে হামাসের সাথে শান্তি চুক্তি করতে বাধ্য করে ছিল।
৩) দুর্নীতিবাজ হুসনী মুবারকের বড় বড় জেনারেলদের আইনের আওতায় এনে আত্মসাতের কোটি কোটি ডলার রাষ্ট্রীয় কুষাগারে জমা করে ছিল।
৪) আমেরিকা ইউরোপসহ মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে হামলা কারীদের চোখে চোখ ডেলে হুংকার দিয়েছিল।
৫) ইসলামী শরীয়াহ মুতাবেক দেশ পরিচালনার আইন বানিয়ে ছিল।
৬) মদ ও নাইট ক্লাবের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
৭) মুহাম্মাদ (সা কে নিয়ে ব্যঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। এবং জাতিসংঘে বক্তৃতা করে মুসলমানদে প্রতিনিধিত্ব করে ছিলেন।
এসব কারনেই কি মুরসিকে সরানো হয়েছে? হায়রে! ফোড়া কপাল মুসলমান নামদারী মিশরের জনগণ! নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ করলি। আমরা আমাদের ভাইদের জন্য দোয়া করছি হে আল্লাহ! তুমি তোমার দ্বীন, এবং তোমার দ্বীনের অনুসারিদেরকে হেফাযত কর, এবং তোমার দ্বীনকে বিশ্বময় প্রতিষ্ঠা কর। এবং আমরা যেন এর অংশীদার হই। আমিন সুম্মা আমিন
বিষয়: বিবিধ
২০৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন