আজ ২৯শে জুন। বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি কালো দিবস।
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২৯ জুন, ২০১৩, ০২:০১:৫২ দুপুর
আজ ২৯শে জুন ২০১০ সালের এইদিনে বিশ্ব নন্দিত মুফাসসিরে কুরআন, অগণন মানুষের হৃদয় স্পন্দন, ইসলামী আন্দোলনের মহা নায়ক আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে হাস্যকর জঘন্য এক মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে শেখ হাসিনার সরকার।
গ্রেফতার করে একদিন দু'দিন নয় টানা ৪১ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয় যা পৃথিবীর জন্য এক নতুন ইতিহাস রিমান্ডের যা আল্লামা সাঈদীকে দেয়া হয়। অত:পর, শতাব্দীর নিকৃষ্টতম মিথ্যাচার করে আল্লামা সাঈদীকে 'যুদ্ধাপরাধী' বানানোর অপচেষ্টা এবং সবশেষে বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়ে আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে আজ্ঞাবহ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ফাসির রায় ঘোষনা করে সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।
আল্লামা সাঈদীর অপরাধ তিনি আল্লাহর একত্ববাদ প্রচার করেন। তার অপরাধ, তিনি কোরআনের দাওয়াত বাংলার প্রতিটি আনাচে কানাচে পৌছে দেন। তার অপরাধ, তিনি ধর্ম নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে কথা বলেন।
তার অপরাধ, তার কথা শোনার জন্য লাখো মানুষ জড়ো হয়। তার অপরাধ, তার মুখে কোরআনের তাফসীর শুনে সহস্রাধিক অমুসলিম ইসলাম গ্রহন করেছে। তার অপরাধ, তাকে লাখো কোটি মানুষ তাদের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসে।
প্রচণ্ড গরম ও নিঃসঙ্গ একাকিত্ব নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির কুঠরিতে বর্তমানে বন্দী জীবন যাপন করছেন আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী।সরকার প্রধান শেখ হাসিনা আল্লামা সাঈদীকে বন্দী করে রাখেনি, বন্দী করে রেখেছে পবিত্র আল কুরআনের পাখিকে।
বন্দী করে রখেছে, ১৬ কোটি জনতার আবেগ-অনুভুতি আর ভালবাসাকে। বন্দী করে রেখেছে কোটি জনতার হৃদয় স্পন্দনকে। আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা রায় ঘোষনার পরে দেশপ্রেমিক জনতা আল্লামা সাঈদীকে কতখানি ভালবাসে তার প্রমান বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছে।
একজন মানুষের বিরুদ্ধে রায় ঘোষনার পরে প্রায় দুইশত মানুষের জীবনদানের ঘটনা পৃথিবীতে আর কোনদিন ঘটেনি। সুতরাং, টালবাহানা না করে অবিলম্বে আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে মুক্তি দিন।
নতুবা এই বাংলাদেশের তৌহিদী জনতা জেলের তালা ভেঙে আল্লামা সাঈদীকে মুক্ত করবে আর আপনাদের নোংরা রাজনীতি বাংলার মাটি থেকে চিরতরে নির্মূল করেদেবে ইনশাআল্লাহ। সুতারাং সময় থাকতেই সু-বুদ্ধির পরিচয় দিন।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন