পশুরাও সমকামিতা করেনা! মানুষ তাহলে পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট..? অথচ মানুষ সৃষ্টির সেরা....

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ৩১ মে, ২০১৩, ১২:৪১:৪৬ দুপুর

মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শ্রেষ্ট জাতি হিসেবে,এবং তাদেরকে দিয়েছেন বিবেক বুদ্ধির ন্যায় অমূল্য সম্পদ। যা দিয়ে মানুষ সৃষ্টিকুলের সকল জিবের উপর নিজেদের শ্রেষ্টত্ব বজায় রেখে, তাদের উপর কর্তিত্ব প্রতিষ্টা করে নিজেদের আয়ত্বে রেখে আল্লাহর দেয়া নেয়ামত সমূহ ভোগ করতে পারে।

অথচ এই মানুষ নাকি নিজেদের শ্রেষ্টত্ব ভূলে এমন কাজ করছে ,যা পশুরাও করেনা। তাহলে কি মানুষ পশুর চেয়ে ও নিকৃষ্ট হয়েগেল? বিবেকের কাছে প্রশ্ন জাগেনা কি করতে যাচ্ছি? সমাজ কি বলবে, সমাজের মানুষ তাকে কি ভাবে মোল্যায়ণ করবে?

সুনেছি সমকামীতা বিষয়ে ইউকের ওলামায়ে কেরামের উদ্বেগ লক্ষ করছি প্রায় বছরখানেক হলো। সম্প্রতি তাঁরা বিলটির বিপক্ষে পাঁচশত আলেমের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আরো নানাভাবে জনমত গঠন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

এগুলো পড়ে সবসময়ই মনে হয়েছে, অন্তত আমাদের হয়ত এমন আন্দোলন কখনো করা লাগবে না। কিন্তু নীচের মতামতটি পড়ে ভাবনায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। লেখক লিখেছেন,

তবে অনেকেই জানেন না যে, বাংলাদেশে সমকামী পুরষের অধিকার আন্দোলনটি গত কযেক বছরে অনেক এগিয়েছে। সামান্য হলেও উল্লেখযোগ্য কিছু বিজয় অর্জিত হয়েছে।

কয়েক সপ্তাহ আগে, ২৯ এপ্রিল জেনেভায় অনুষ্ঠিত ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপুমণি বলেছেন লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডার মানুষদের (সংক্ষেপে এলজিবিটি) অধিকার সংরক্ষণের স্বীকৃতিদানের কথা;

সাংবিধানিকভাবে তাদের সমঅধিকার ও স্বাধীনতা থাকার কথাও বলেন তিনি; একে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষে্ত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন বলা যেতে পারে।

কয়েক মাস আগে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বন্ধু ওয়েলফেয়ার সোসাইটির একটি অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন যে, জাতীয় আইন কমিশনের সহায়তায় তার কমিশন একটি আইনের খসড়া তৈরির কাজ করছে যেটি ব্যক্তির যৌনজীবনের কারণে তার প্রতি বৈষম্য নিষিদ্ধ করবে।

গত বছর আরও তিনজন শান্তিতে নোবেলবিজয়ীর সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি বিবৃতি দেন যেখানে সমলিঙ্গের মানুষদের আইনগত বৈধতা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। শেষ দিকে লিখেছেন:

"ইহুদিধর্ম, খ্রিষ্টধর্ম এবং ইসলামধর্মে প্রথাগতভাবে সমলিঙ্গীয় যৌনআচরণকে পাপ বলে গণ্য করা হত। হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, জৈন এবং শিখধর্মে সমকামিতা সম্পর্কিত অনুশাসন যথেষ্ট পরিষ্কার নয় এবং এসব ধর্মেও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা এ ব্যাপারে বিভিন্ন মত পোষণ করে থাকেন।

বর্তমানে সকল ধর্মেরই কিছু কিছু নেতারা ক্রমশ সমকামিতাকে মেনে নিচ্ছেন, এমনকি সমকামী বিয়েকেও অনুমোদন করছেন। প্রগতিশীল মুসলমান বিদ্বজনদের মধ্যে কেউ কেউ সমকামিতাকে (সমলিঙ্গীয় ভালোবাসা) নিন্দা না করে এর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেছেন।

বহু বাংলাদেশি সমকামী ও উভকামী আছেন যারা নিজেদের ধর্মীয় অনুশাসনের সঙ্গে যৌনপ্রবৃত্তির বিরোধ খুঁজে পান না।

এদের ঈমান আকিদা কি এবং ওরা কি করে নিজেদেরকে মুসলমান দ্বাবী করতে পারে। ধর্মনিরপেক্ষ বাদিরা ধর্মহিনতার বহু দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ইতিমধ্যে তারপরও আমাদের বিবেক জাগ্রত হচ্ছেনা।

বিষয়: বিবিধ

১৫৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File